ওরা জামিন পাচ্ছে কী করে!-চোরাগোপ্তা হামলা রোধে আন্তরিকতা প্রয়োজন
সারা দেশে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলা, নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের কারণে শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ক্রমেই বাড়ছে। দেশব্যাপী জঙ্গি হামলার দিনগুলোর কথাই কেবল স্মৃতিতে ভেসে উঠছে।
গত এক বছরে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সারা দেশে অর্ধশতাধিক চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এসব হামলায় অনেক মামলা হয়েছে। কিন্তু একটি মামলারও বিচারকাজ নিষ্পন্ন হয়নি; বরং এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা আসামিদের বেশির ভাগই জামিনে বের হয়ে নতুন করে হামলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, আসামিদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে খোদ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। তারা হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা জামায়াত-শিবিরকর্মীদের নিজেদের কর্মী বলে সনদ দিচ্ছে এবং হামলায় জড়িত ছিল না বলে ঘোষণা দিচ্ছে। নিকট অতীতে এসব হামলার জন্য কোনো কোনো মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগ নেতা পুলিশ বা গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। কিন্তু তাঁরা গ্রেপ্তারকৃতদের প্রতি আওয়ামী লীগের এই সহযোগিতা সম্পর্কে কী বলবেন? অভিযোগ আছে, অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা এ ধরনের সনদ দিয়ে থাকেন। যদি সেটি সত্য হয়, তাহলে এসব নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
অপরাধের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে অপরাধ উৎসাহিত হয়। একই কথা সত্য এসব সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রেও। গত এক বছরে অর্ধশতাধিক হামলার ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত একজন হামলাকারীকেও শাস্তি পেতে হয়নি। এসব মামলার পরিণতি কী হচ্ছে, সে সম্পর্কেও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার বিধান থাকলেও তা হচ্ছে না। মতিঝিলে গাড়ি পোড়ানোর কারণে একটি মামলা করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চার্জশিট দেওয়া হয় এর দুই সপ্তাহের মধ্যে। এরপর প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচারকাজ শুরুই হয়নি। আরো একটি বিষয় আমাদের বোধগম্য নয়- রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, প্রচলিত বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, সেই সন্ত্রাসীদের জামিনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সার্টিফিকেট কিভাবে আদালতের বিবেচনায় আসতে পারে, তা দেশবাসীর বোধগম্য হচ্ছে না।
দেশকে যারা জঙ্গিবাদী হামলার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা না গেলে এ ধরনের হামলার ঘটনা বাড়তেই থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিমুখী নীতি আমাদের কেবল হতাশই করছে না, বিস্মিতও করছে। আমরা এর অবসান চাই। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিঘ্নকারী যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের আরো স্বচ্ছতা ও দৃঢ়তা আশা করি।
অপরাধের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে অপরাধ উৎসাহিত হয়। একই কথা সত্য এসব সন্ত্রাসী হামলার ক্ষেত্রেও। গত এক বছরে অর্ধশতাধিক হামলার ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত একজন হামলাকারীকেও শাস্তি পেতে হয়নি। এসব মামলার পরিণতি কী হচ্ছে, সে সম্পর্কেও কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার বিধান থাকলেও তা হচ্ছে না। মতিঝিলে গাড়ি পোড়ানোর কারণে একটি মামলা করা হয় গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চার্জশিট দেওয়া হয় এর দুই সপ্তাহের মধ্যে। এরপর প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচারকাজ শুরুই হয়নি। আরো একটি বিষয় আমাদের বোধগম্য নয়- রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, প্রচলিত বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে, সেই সন্ত্রাসীদের জামিনের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সার্টিফিকেট কিভাবে আদালতের বিবেচনায় আসতে পারে, তা দেশবাসীর বোধগম্য হচ্ছে না।
দেশকে যারা জঙ্গিবাদী হামলার মাধ্যমে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা না গেলে এ ধরনের হামলার ঘটনা বাড়তেই থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বিমুখী নীতি আমাদের কেবল হতাশই করছে না, বিস্মিতও করছে। আমরা এর অবসান চাই। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিঘ্নকারী যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের আরো স্বচ্ছতা ও দৃঢ়তা আশা করি।
No comments