ঝরে পড়া শিক্ষার্থী-ফিরিয়ে আনার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে
উদ্বিগ্ন হওয়ার মতোই খবর। যখন দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে একযোগে বই তুলে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই, তখন এসএসসি পর্যায় থেকে এক লাখ ৮৬ হাজার শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার খবরটি মোটেও ভালো নয়।
২০১০ সালের প্রথম জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও অনেক শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। যেখানে ঝরে পড়া রোধ করতেই জেএসসি বা জেডিসি পর্যায়ের পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল, সেখানে দুই বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে, ঝরে পড়া রোধ করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে শুরু করে ওপরের দিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে না পারার প্রথম কারণ হচ্ছে সামাজিক অবস্থা। দেশে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে সাক্ষরের সংখ্যা। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। তার পরও সামাজিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। এই মেয়েদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর অনেক মেয়েরই লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মেয়েদের একটি অংশ মাধ্যমিকের পর থেকেই নিয়মিত হারে ঝরে পড়ে। এর পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ এখনো আমরা শতভাগ শ্রেণীকক্ষমুখী করতে পারিনি। নিশ্চিত করা যায়নি শিক্ষার মান। রাজধানী ঢাকাকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলে দেখা যাবে, এখানকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মান বজায় রাখতে পারছে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষকের কাছে বাণিজ্যটাই প্রধান, শিক্ষা নয়। ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কোচিংমুখী হওয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকের মান নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মানের চেয়ে অন্য যোগ্যতাই বেশি বিবেচনা করা হয়- এমন অভিযোগ মফস্বলের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় নিয়মিতই শোনা যায়। অন্যদিকে এ সত্যটাও মানতে হবে যে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণীকক্ষগুলো একজন শিক্ষার্থীর কাছেও আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় করতে পারিনি। সেই চেষ্টা যে খুব একটা হয়েছে, এমনটিও মনে হয় না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত মুখস্থ বিদ্যা ও শিক্ষকদের সাজেশননির্ভর হয়ে থাকায় বইয়ের ওপর থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তার পরও নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। শহর ও গ্রামের পার্থক্য দূর করতে শিক্ষকদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের পেশাটিকে নিছক চাকরি নয়, ব্রত হিসেবে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে না পারলে আগামী দিনের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার বিকল্প নেই। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে প্রাথমিক থেকে শুরু করে ওপরের দিকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধ করতে না পারার প্রথম কারণ হচ্ছে সামাজিক অবস্থা। দেশে শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে সাক্ষরের সংখ্যা। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। তার পরও সামাজিক অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। এই মেয়েদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর অনেক মেয়েরই লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মেয়েদের একটি অংশ মাধ্যমিকের পর থেকেই নিয়মিত হারে ঝরে পড়ে। এর পাশাপাশি শিক্ষার পরিবেশ এখনো আমরা শতভাগ শ্রেণীকক্ষমুখী করতে পারিনি। নিশ্চিত করা যায়নি শিক্ষার মান। রাজধানী ঢাকাকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলে দেখা যাবে, এখানকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মান বজায় রাখতে পারছে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষকের কাছে বাণিজ্যটাই প্রধান, শিক্ষা নয়। ফলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কোচিংমুখী হওয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকের মান নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মানের চেয়ে অন্য যোগ্যতাই বেশি বিবেচনা করা হয়- এমন অভিযোগ মফস্বলের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রায় নিয়মিতই শোনা যায়। অন্যদিকে এ সত্যটাও মানতে হবে যে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণীকক্ষগুলো একজন শিক্ষার্থীর কাছেও আনন্দদায়ক ও আকর্ষণীয় করতে পারিনি। সেই চেষ্টা যে খুব একটা হয়েছে, এমনটিও মনে হয় না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত মুখস্থ বিদ্যা ও শিক্ষকদের সাজেশননির্ভর হয়ে থাকায় বইয়ের ওপর থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তার পরও নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। শহর ও গ্রামের পার্থক্য দূর করতে শিক্ষকদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষকদের পেশাটিকে নিছক চাকরি নয়, ব্রত হিসেবে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে না পারলে আগামী দিনের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষার বিকল্প নেই। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে।
No comments