তারেকের পথেই জয়- জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবীদের আত্মতৃপ্তি
তারেক রহমান অপোয় বাংলাদেশ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অনুষ্ঠানে বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা বলেন, শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদার পথ ধরে তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মসূচী দেশের ভিত্তি রচনা করেছিল।
আর সে কারণে এখনও বেঁচে আছে বাংলাদেশ মনত্মব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবীরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই তারেক রহমানের বন্ধনায় ছিলেন মুগ্ধ। দলের অনৈক্য ও বিভাজন দূর করতে তারেক রহমানকে দ্রম্নত বাংলাদেশে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে শহীদ জিয়া, খালেদা ও তারেক রহমানের নামে জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ বলে সেস্নস্নাগান দেয়া হয়।সোমবার বিকেলে ডিপেস্নামা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন প্রকাশিত তারেক রহমান অপেৰায় বাংলাদেশ গ্রন্থের উন্মোচন করে বেগম খালেদা জিয়া মঞ্চে বসে আলোচকদের বক্তব্য শোনেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃব্য রাখেন বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ারউলস্নাহ চৌধুরী, আনত্মর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম মাহবুবউলস্নাহ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রেসকাবের সভাপতি শওকত মাহমুদ, চ্যানেল ওয়ানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকাশিত গ্রন্থের সম্পাদনা পরিষদের সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস-চেয়ারম্যান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সদস্যসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও বিএনপি ঘরানা বুদ্ধিজীবী, শিাবিদ, সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর আলোচকদের বক্তব্য শোনেন তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে শওকত মাহমুদ বলেন, তারেক রহমান শুধু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সনত্মান নন, দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করে ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রমাণ করেছেন তারেক। তৃণমূল নেতাকর্মীদের চিনত্মভাবনাকে সামনে রেখে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ১/১১-এর সরকারের চাপের মুখে তারেক রহমানকে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে। এমন অবস্থা ছিল যে ওয়ান-ইলেভেনের মূল টার্গেট ছিল তারেক। তিনতলা থেকে ফেলে দিয়ে তাকে বলা হয়েছিল, জিয়ার মতো গ্রামে হেঁটে হেঁটে রাজনীতি করা যাবে না। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন লন্ডনে। তিনি এখন সুস্থ হওয়ার পথে। তিনি প্রতিহিংসার শিকার। দেশের মানুষ আজ তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখতে চায়। শওকত মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অনুসরণ করে রাজনীতিতে এসেছেন। তারেক রহমান বগুড়া থেকে বিএনপির রাজনীতির সদস্য পদ পেয়েছেন। আর রংপুর থেকে জয় সদস্যপদ নিয়েছেন। জয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন এজন্য তাঁকে স্বাগত জানাই। কিনত্মু রাজনীতি করতে হলে তাঁকে মার্কিন নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে তাঁর ঠিকানা থাকতে হবে। কারণ ১/১১-এর সময় দেশের মানুষ যখন ষড়যন্ত্রের শিকার তখন জয় যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে বসে মইন উ আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সেজন্য তাঁকে জাতির কাছে মা চাইতে হবে। ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা এনে দেবে সচ্ছলতা সেস্নস্নাগানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তারেক রহমান দেশকে স্বনির্ভর করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেন। কিন্তু একটি মহল তারেক রহমানের এই উদ্যোগ ভাল চোখে নেয়নি।
গ্রন্থের সম্পাদনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, জাতীয় প্রেসকাবের সভাপতি শওকত মাহমুদ, চ্যানেল ওয়ান-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজেদুল ইসলাম ও কবি আবদুল হাই শিকদারসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এছাড়াও তারেক রহমানের রাজনৈতিক আদর্শের প্রচার ও দেশকে এগিয়ে নেয়ার ভিশন সম্পর্কে লিখেছেন জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিাবিদ, সাংবাদিক, রাজনীতিক ও পেশাজীবীরা। প্রকাশনা অনুষ্ঠানের শুরম্নতেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিগত ১৯৯৯ সালে কৃষিবিদ, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের উদ্যোগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়। ২০০৬ সালে ভিডিও চিত্রটি নির্মিত হয়। ফাউন্ডেশনের মূল কথা হলো 'একটু উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা-স্বনির্ভরতা।'
No comments