বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে যারা ছিল তাদের বিচার হবে- নিহত সদস্যদের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে যারা ছিল তাদেরও বিচারের সম্মুখীন করা হবে। যারা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তাদের খুঁজে বের করা হবে। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে আর যেন না ঘটে তাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সশস্ত্র বাহিনীর নিহত সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের উদ্যোগে রবিবার বিকেলে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "অর্থ আপনজনকে ফিরিয়ে দেয় না। আবার বেঁচে থাকার জন্য অর্থেরও দরকার রয়েছে। আমার বাবার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) মৃত্যুর পর অর্থের অভাবে আমার ছোট বোনটার পড়াশুনাও হয়নি।"
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি যতৰণ আছি, ততৰণ খুনীদের কোন রকম প্রশ্রয় দেয়া হবে না। আমি সাধারণ আইনে আমার বাবার হত্যার বিচার বিচার পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বাষ্পরম্নদ্ধ কণ্ঠে বলেন, "আপনারা তো আপনাদের স্বজনদের লাশগুলোও দেখেছেন। আমি তো আমার বাবা-মা, ভাই-ভাবীদের লাশও দেখিনি। শুধু কবর দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চেক হসত্মানত্মর অনুষ্ঠানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্বজন হারানোর বেদনা, কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পারেননি এতটুকুও। চেক হসত্মানত্মরের পর কুশল বিনিময়কালে পরিবারের সদস্যদের স্বজন হারানোর বুকফাটা কান্নায় হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সানত্ম্বনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। বুকে জড়িয়ে সানত্ম্বনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখেও ছিল শোকের অশ্রম্ন। অনুষ্ঠানের শুরম্নতেই শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শহীদ সেনা সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের সভাপতি নজরম্নল ইসলাম।
আবেগজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন শহীদ সেনা পরিবারকে সহায়তা করে যাব। কেননা আমার চেয়ে স্বজন হারানোর বেদনা কেউ জানে না। আমি আর আমার ছোট বোন শেখ রেহানাকে সানত্ম্বনা দেয়ার মতো আমাদের পাশে কেউ ছিল না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা সহজ ছিল না। কারণ ১৯৭৫ সালের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় খুনীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আর কত আমাদের দেখতে হবে ছেলেহারা মায়ের, পিতৃহারা সনত্মানের, স্বামীহারা স্ত্রীর কান্না? আমরা এ ধরনের ঘটনা আর দেখতে চাই না।
পিলখানায় নিহত প্রত্যেক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় চার লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের উদ্যোগে নিহত প্রত্যেক সদস্যের পরিবারকে দৈনন্দিন খরচের জন্য প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা করে বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। ২০০৯ সালের পহেলা এপ্রিল নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় বছরের জন্য রবিবার ওই সমপরিমাণ টাকার চেক দেন তিনি। ২০০৯ থেকে আগামী দশ বছর এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স নিহত প্রত্যেক সেনা কর্মকর্তার পরিবারকে মাসিক ৪০ হাজার টাকা করে প্রদান করবে। এ্যাসোসিয়েশনভুক্ত ২৬টি ব্যাংক এ অর্থায়ন করছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মেজর জেনারেল (অব) তারেক সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এমএ করিম, তিন বাহিনীর প্রধানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক বছরে যা করা হয়েছে
পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকার থেকে গত এক বছরে বেশকিছু পদৰেপ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান এবং সরকারী বিভিন্ন ফান্ড থেকে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পদবি এবং চাকরিকাল অনুযায়ী ৯০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যনত্ম প্রদান করা হয়েছে। অধিকাংশ পরিবারের পেনশনের অর্থ প্রদান করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট পরিবারবর্গের (৬টি পরিবার) পেনশন প্রদানের প্রক্রিয়া চূড়ানত্ম পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৫৬টি পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ট্রাস্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের পেস্নসমেন্ট শেয়ার প্রদান করা হয়েছে। যে সকল শহীদ সেনা কর্মকর্তার ট্রাস্ট ব্যাংকে ঋণ ছিল, তাদের গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যনত্ম ঋণের ওপর সুদ মওকুফ করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের এ পর্যনত্ম ৩১ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২৮ জনের (স্ত্রী ও সনত্মান) চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দু'শহীদ সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছে। শহীদ পরিবারের আত্মীয়দের কয়েকজনকে বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া হয়েছে।
নিহত সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকা-ের বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি যতৰণ আছি, ততৰণ খুনীদের কোন রকম প্রশ্রয় দেয়া হবে না। আমি সাধারণ আইনে আমার বাবার হত্যার বিচার বিচার পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বাষ্পরম্নদ্ধ কণ্ঠে বলেন, "আপনারা তো আপনাদের স্বজনদের লাশগুলোও দেখেছেন। আমি তো আমার বাবা-মা, ভাই-ভাবীদের লাশও দেখিনি। শুধু কবর দেখেছি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চেক হসত্মানত্মর অনুষ্ঠানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও স্বজন হারানোর বেদনা, কষ্ট লুকিয়ে রাখতে পারেননি এতটুকুও। চেক হসত্মানত্মরের পর কুশল বিনিময়কালে পরিবারের সদস্যদের স্বজন হারানোর বুকফাটা কান্নায় হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সানত্ম্বনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। বুকে জড়িয়ে সানত্ম্বনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখেও ছিল শোকের অশ্রম্ন। অনুষ্ঠানের শুরম্নতেই শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শহীদ সেনা সদস্যদের সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের সভাপতি নজরম্নল ইসলাম।
আবেগজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন শহীদ সেনা পরিবারকে সহায়তা করে যাব। কেননা আমার চেয়ে স্বজন হারানোর বেদনা কেউ জানে না। আমি আর আমার ছোট বোন শেখ রেহানাকে সানত্ম্বনা দেয়ার মতো আমাদের পাশে কেউ ছিল না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা সহজ ছিল না। কারণ ১৯৭৫ সালের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় খুনীদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আর কত আমাদের দেখতে হবে ছেলেহারা মায়ের, পিতৃহারা সনত্মানের, স্বামীহারা স্ত্রীর কান্না? আমরা এ ধরনের ঘটনা আর দেখতে চাই না।
পিলখানায় নিহত প্রত্যেক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় চার লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহায়তায় এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের উদ্যোগে নিহত প্রত্যেক সদস্যের পরিবারকে দৈনন্দিন খরচের জন্য প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা করে বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়। ২০০৯ সালের পহেলা এপ্রিল নিহত সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার চেক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় বছরের জন্য রবিবার ওই সমপরিমাণ টাকার চেক দেন তিনি। ২০০৯ থেকে আগামী দশ বছর এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স নিহত প্রত্যেক সেনা কর্মকর্তার পরিবারকে মাসিক ৪০ হাজার টাকা করে প্রদান করবে। এ্যাসোসিয়েশনভুক্ত ২৬টি ব্যাংক এ অর্থায়ন করছে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মেজর জেনারেল (অব) তারেক সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এমএ করিম, তিন বাহিনীর প্রধানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা ও এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এক বছরে যা করা হয়েছে
পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকার থেকে গত এক বছরে বেশকিছু পদৰেপ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান এবং সরকারী বিভিন্ন ফান্ড থেকে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পদবি এবং চাকরিকাল অনুযায়ী ৯০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যনত্ম প্রদান করা হয়েছে। অধিকাংশ পরিবারের পেনশনের অর্থ প্রদান করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট পরিবারবর্গের (৬টি পরিবার) পেনশন প্রদানের প্রক্রিয়া চূড়ানত্ম পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৫৬টি পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে ট্রাস্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের পেস্নসমেন্ট শেয়ার প্রদান করা হয়েছে। যে সকল শহীদ সেনা কর্মকর্তার ট্রাস্ট ব্যাংকে ঋণ ছিল, তাদের গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যনত্ম ঋণের ওপর সুদ মওকুফ করা হয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্যদের এ পর্যনত্ম ৩১ জন আবেদনকারীর মধ্যে ২৮ জনের (স্ত্রী ও সনত্মান) চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দু'শহীদ সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছে। শহীদ পরিবারের আত্মীয়দের কয়েকজনকে বিভিন্ন সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া হয়েছে।
No comments