বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেমন হওয়া উচিত? by ড. নিয়াজ আহমেদ
অবশেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার অবসান হতে চলছে। সরকার বর্তমান উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল হাকিম সরকারকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সচল হবে- এমনটি আশা সবার। এ যেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনরাবৃত্তি মাত্র। সেখানেও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে বাইরে থেকে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করলেও পরে তাঁকে মেনে নেন। ইতিমধ্যে তিনি উপাচার্য প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় দায়িত্ব পালন করছেন, যা ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী যে চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় তার একটিতেও নেই। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু ওই অধ্যাদেশ অনুযায়ী চলে না, সেহেতু প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। এখানে সরকার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে মেনে নেবেন কি না জানি না, তবে তাঁরা বিরোধিতা করলে সেটি হবে অন্যায় এবং তাঁদের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাঁদের দাবি ছিল অপসারণ এবং সরকার ঠিক সেই কাজটিই করেছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, এ পর্যন্ত একজন (যিনি প্রথম ছিলেন) বাদে অন্য কোনো উপাচার্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।
যিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার সরাসরি শিক্ষক হওয়ার সুবাধে ছাত্রাবস্থা থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। একজন মেধাবী শিক্ষক হিসেবে তাঁর রয়েছে দারুণ খ্যাতি। আমরা যাঁরা তাঁর ছাত্র তাঁরা এ কথা অস্বীকার করলে অন্যায় হবে। বাংলাদেশে অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ে যাঁদের পণ্ডিত মনে করা হয় তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এর পাশাপাশি তাঁর রয়েছে প্রশাসনিক ও অন্যান্য দক্ষতা। মোটাদাগে উপাচার্য হওয়ার মতো যত যোগ্যতা একজনের থাকা প্রয়োজন তার বেশির ভাগই তাঁর মধ্যে রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। অতি দ্রুত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের পদচারণে মুখরিত হবে ক্যাম্পাস।
আমার জানা মতে, এ সরকারের সময় এ নিয়ে দুজন উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হলো; যদিও বিগত জোট সরকারের সময় এ সংখ্যা আরো বেশি ছিল। খোদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরপর দুজন উপাচার্যকে অত্যন্ত কষ্টদায়ক অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছিল। সাধারণত মনে করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চলবে। অপেক্ষাকৃত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অধ্যাপক পাওয়া যায় না, সেখানে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকে না। কিন্তু উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দুটির ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়েছে। দুজনই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না। ভবিষ্যতে উপাচার্য নিয়োগে এই বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
একজন উপাচার্যের শুধু রাজনৈতিক পরিচয় থাকাই একমাত্র যোগ্যতা নয়, তাঁর একাডেমিক জ্ঞান, প্রশাসনিক দক্ষতা, প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা, ধীশক্তি প্রয়োজন। মোটাদাগে ওই ব্যক্তিকে হতে হবে সব বিষয়ে কর্মজ্ঞ। পাশাপাশি সততার বিষয়টি সর্বেসর্বা। বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের অবারিত মাঠ, সেখানে অগাধ পাণ্ডিত্য থাকাটা জরুরি। যদি কারো না থাকে তাঁর এ জায়গায় আসা উচিত নয়। ভালো নেতৃত্ব থাকা আরেকটি অন্যতম যোগ্যতা। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেমন- আবদুল মান্নান, আবদুল হালিম চৌধুরী এবং এ কে আজাদ চৌধুরীকে দেখেছি কিভাবে ছাত্রছাত্রী ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। এখনকার সময়ে এটি অনেকটা বিরল। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কাজটি জটিল। প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা থাকা এ জন্য প্রয়োজন যে আগামী শতাব্দীতে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখা এবং এর মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা এমন যে ভবিষ্যতে প্রগতিমনা মানুষের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পারে এমন একটি সমাজ তৈরিতে সহায়তা করতে। অবশ্য বিপরীতও হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একাধিক পক্ষ। অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য, যিনি প্রশাসনিক প্রধান। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষকদের একটি পক্ষ। অন্যটি সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও ছাত্রসংগঠন। এ ছাড়া সরকার যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, তাই তাদের একটি পক্ষ বলা যায়। প্রথম পক্ষের ব্যক্তিকে যেমন পূর্বোক্ত বলা সব গুণের অধিকারী হতে হবে, তেমনি থাকতে হবে সব বিতর্কের উর্ধ্বে। উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির জন্য তাদের শিক্ষাজীবনে ছেদ পড়ে। আর ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির বলে বলীয়ান হয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কথা মাথায় রাখে না। তাঁদের অনেকের কাছে ন্যায় হলো অন্যায় এবং অন্যায় হলো এর বিপরীত অবস্থা। এমনটি ঘটছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সর্বশেষ পক্ষটি সরকার, যাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিজস্ব ধারায় পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। এটি না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন হবে ভূলুণ্ঠিত। সরকার এ ক্ষেত্রেও শতভাগ সফল নয়। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমরা লক্ষ করি।
আমার জানা মতে, আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে এবং প্রতিটিতে নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ থাকবে মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন প্রগতিশীল ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার। দেখতে হবে তিনি ব্যক্তিগত লোভ-লালসা ও বিতর্কের উর্ধ্বে কি না। আমরা চাইব না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জোট সরকারের সময়কালের মতো ইমেজ সংকটে থাকুক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সরকার ভালো ভালো উপাচার্য নিয়োগ দেবে- এ প্রত্যাশায় লেখাটি শেষ করছি।
লেখক : অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
যিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাঁকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। আমার সরাসরি শিক্ষক হওয়ার সুবাধে ছাত্রাবস্থা থেকে আজ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। একজন মেধাবী শিক্ষক হিসেবে তাঁর রয়েছে দারুণ খ্যাতি। আমরা যাঁরা তাঁর ছাত্র তাঁরা এ কথা অস্বীকার করলে অন্যায় হবে। বাংলাদেশে অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ে যাঁদের পণ্ডিত মনে করা হয় তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম। এর পাশাপাশি তাঁর রয়েছে প্রশাসনিক ও অন্যান্য দক্ষতা। মোটাদাগে উপাচার্য হওয়ার মতো যত যোগ্যতা একজনের থাকা প্রয়োজন তার বেশির ভাগই তাঁর মধ্যে রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। অতি দ্রুত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের পদচারণে মুখরিত হবে ক্যাম্পাস।
আমার জানা মতে, এ সরকারের সময় এ নিয়ে দুজন উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হলো; যদিও বিগত জোট সরকারের সময় এ সংখ্যা আরো বেশি ছিল। খোদ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পরপর দুজন উপাচার্যকে অত্যন্ত কষ্টদায়ক অবস্থায় বিদায় নিতে হয়েছিল। সাধারণত মনে করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চলবে। অপেক্ষাকৃত নতুন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অধ্যাপক পাওয়া যায় না, সেখানে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকে না। কিন্তু উপরোক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দুটির ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হয়েছে। দুজনই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও মেয়াদ শেষ করতে পারলেন না। ভবিষ্যতে উপাচার্য নিয়োগে এই বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
একজন উপাচার্যের শুধু রাজনৈতিক পরিচয় থাকাই একমাত্র যোগ্যতা নয়, তাঁর একাডেমিক জ্ঞান, প্রশাসনিক দক্ষতা, প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা, ধীশক্তি প্রয়োজন। মোটাদাগে ওই ব্যক্তিকে হতে হবে সব বিষয়ে কর্মজ্ঞ। পাশাপাশি সততার বিষয়টি সর্বেসর্বা। বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের অবারিত মাঠ, সেখানে অগাধ পাণ্ডিত্য থাকাটা জরুরি। যদি কারো না থাকে তাঁর এ জায়গায় আসা উচিত নয়। ভালো নেতৃত্ব থাকা আরেকটি অন্যতম যোগ্যতা। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেমন- আবদুল মান্নান, আবদুল হালিম চৌধুরী এবং এ কে আজাদ চৌধুরীকে দেখেছি কিভাবে ছাত্রছাত্রী ও ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সফলভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। এখনকার সময়ে এটি অনেকটা বিরল। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কাজটি জটিল। প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা থাকা এ জন্য প্রয়োজন যে আগামী শতাব্দীতে আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখা এবং এর মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা এমন যে ভবিষ্যতে প্রগতিমনা মানুষের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পারে এমন একটি সমাজ তৈরিতে সহায়তা করতে। অবশ্য বিপরীতও হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একাধিক পক্ষ। অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য, যিনি প্রশাসনিক প্রধান। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষকদের একটি পক্ষ। অন্যটি সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও ছাত্রসংগঠন। এ ছাড়া সরকার যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, তাই তাদের একটি পক্ষ বলা যায়। প্রথম পক্ষের ব্যক্তিকে যেমন পূর্বোক্ত বলা সব গুণের অধিকারী হতে হবে, তেমনি থাকতে হবে সব বিতর্কের উর্ধ্বে। উপাচার্যের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির জন্য তাদের শিক্ষাজীবনে ছেদ পড়ে। আর ছাত্রসংগঠনগুলো তাদের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির বলে বলীয়ান হয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কথা মাথায় রাখে না। তাঁদের অনেকের কাছে ন্যায় হলো অন্যায় এবং অন্যায় হলো এর বিপরীত অবস্থা। এমনটি ঘটছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সর্বশেষ পক্ষটি সরকার, যাদের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিজস্ব ধারায় পরিচালনা করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। এটি না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন হবে ভূলুণ্ঠিত। সরকার এ ক্ষেত্রেও শতভাগ সফল নয়। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আমরা লক্ষ করি।
আমার জানা মতে, আগামী বছরের প্রথম দিকে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হবে এবং প্রতিটিতে নতুন করে উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। সরকারের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ থাকবে মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন প্রগতিশীল ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার। দেখতে হবে তিনি ব্যক্তিগত লোভ-লালসা ও বিতর্কের উর্ধ্বে কি না। আমরা চাইব না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জোট সরকারের সময়কালের মতো ইমেজ সংকটে থাকুক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সরকার ভালো ভালো উপাচার্য নিয়োগ দেবে- এ প্রত্যাশায় লেখাটি শেষ করছি।
লেখক : অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
No comments