শিশু নির্যাতনকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক- অমানবিক ও অকল্পনীয় ঘটনা
মাত্র ১২ বছরের এক শিশুকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে রেখে তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। মেয়েটি এখন মরণাপন্ন অবস্থায় কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। তার মা-বাবা এত গরিব যে পাঁচ সন্তানের খাওয়া-পরা চালাতে পারছিলেন না। সে জন্য মেয়েকে দিয়েছিলেন এক ধনী পরিবারে।
কথা ছিল তাঁরা নিজেদের সন্তানের মতো প্রতিপালন করবেন। কিন্তু তাকে ঢাকায় এনে বাসার কাজ করানো হতো। ছোটখাটো ভুলের জন্য চালানো হতো নির্যাতন। কম খাবার দেওয়া হতো। এমনকি গৃহকর্তা তার সঙ্গে ‘খারাপ’ ব্যবহারও করতেন।
একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে ভদ্রবেশী একশ্রেণীর লোক যে দাস যুগের মতো এমন অমানবিক ও অমানুষিক নির্যাতন চালাতে পারে, তা অকল্পনীয়।
শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতন রোধে আইন রয়েছে। কিন্তু মনে হয় কিছু লোক আইনের ঊর্ধ্বে। তারা অবলীলায় শিশুদের গৃহবন্দী করে দিনরাত বাসার কাজ করায়। কথায় কথায় নির্যাতন করে। এমনকি অনেক সময় মারতে মারতে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। মাঝেমধ্যে এই ‘অভিজাত’ নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু পরে প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয় আসামিপক্ষ। কখনো তারা গরিব মা-বাবাকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করতে বাধ্য করে। ফলে সমাজে শিশু গৃহপরিচারিকা নির্যাতন ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আধুনিক সমাজে শিশুদের দিয়ে বাসাবাড়ির কাজ করানোর ধারণা অচল হলেও আমাদের দেশে বেঁচে থাকার জন্য অনেক গরিব ঘরের সন্তানকে গৃহ-সহায়কের কাজ করতে হয়। এর সুযোগ নিয়ে এই অসহায় শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানো বা তাদের দাসের মতো খাটানো শুধু অন্যায় নয়, বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে।
অবাক ব্যাপার হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ‘আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে’ বলে জানিয়েছেন। অষ্টগ্রাম থানার ওসি বলেছেন, ঘটনাস্থল ঢাকায় বলে কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়, তা দেখা হচ্ছে। এসবই আসলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের ফাঁকফোকরে পার পাইয়ে দেওয়ার অজুহাত। ইতিমধ্যে মেয়েটির মা-বাবার হাতে মাত্র ৬০০ টাকা গুঁজে দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। শিশু নির্যাতনকারীর দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে ভদ্রবেশী একশ্রেণীর লোক যে দাস যুগের মতো এমন অমানবিক ও অমানুষিক নির্যাতন চালাতে পারে, তা অকল্পনীয়।
শিশুদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতন রোধে আইন রয়েছে। কিন্তু মনে হয় কিছু লোক আইনের ঊর্ধ্বে। তারা অবলীলায় শিশুদের গৃহবন্দী করে দিনরাত বাসার কাজ করায়। কথায় কথায় নির্যাতন করে। এমনকি অনেক সময় মারতে মারতে মেরে ফেলতেও দ্বিধা করে না। মাঝেমধ্যে এই ‘অভিজাত’ নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু পরে প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয় আসামিপক্ষ। কখনো তারা গরিব মা-বাবাকে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে সমঝোতা করতে বাধ্য করে। ফলে সমাজে শিশু গৃহপরিচারিকা নির্যাতন ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আধুনিক সমাজে শিশুদের দিয়ে বাসাবাড়ির কাজ করানোর ধারণা অচল হলেও আমাদের দেশে বেঁচে থাকার জন্য অনেক গরিব ঘরের সন্তানকে গৃহ-সহায়কের কাজ করতে হয়। এর সুযোগ নিয়ে এই অসহায় শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানো বা তাদের দাসের মতো খাটানো শুধু অন্যায় নয়, বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধও বটে।
অবাক ব্যাপার হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ‘আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে’ বলে জানিয়েছেন। অষ্টগ্রাম থানার ওসি বলেছেন, ঘটনাস্থল ঢাকায় বলে কীভাবে আইনের আওতায় আনা যায়, তা দেখা হচ্ছে। এসবই আসলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের ফাঁকফোকরে পার পাইয়ে দেওয়ার অজুহাত। ইতিমধ্যে মেয়েটির মা-বাবার হাতে মাত্র ৬০০ টাকা গুঁজে দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। শিশু নির্যাতনকারীর দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
No comments