চরাচর-শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান by সুস্মিতা সাহা
নাগরিক জীবনে ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই। প্রতি মুহূর্তেই ছুটে চলা। কাজের প্রয়োজনের বাইরে কিছুতেই যেন সময় হয় না অন্য কারো খবর নেওয়ার। এমনকি এই তালিকায় অনেক আপনজনও পড়ে যায়। তার ওপর যাঁরা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন জীবনের ওপারে, বিশেষ দিন ছাড়া তাঁদের স্মরণ করাই হয়ে ওঠে না।
এমনই চিত্র দেখা গেল শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও কবরস্থানে। এখানে শুয়ে আছেন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদেরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান ও বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, শহীদ জননী বুদ্ধিজীবী জাহানারা ইমাম, শওকত ওসমান, আবদুল কুদ্দুস মাখন, সাংবাদিক সাদিকীন, নাজিমউদ্দিন মানিক প্রমুখ।
গেটে দাঁড়িয়ে সোজা তাকালেই দেখা যায় স্মৃতিসৌধ। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দৃষ্টিনন্দন এই সৌধ নির্মাণ করা হয়। বেশ বড় জায়গা নিয়ে সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। গেট থেকে সৌধ বরাবর হেঁটে গেলে বাঁ দিকে চোখে পড়বে শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের কবরের স্থানটি। আর সৌধের ঠিক ডান দিকে শহীদদের গণকবর। এখানে ঘুরে দেখা গেল, সৌধের চারপাশে বড় বড় ঘাস গজিয়ে গেছে এবং বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের কবরের সৌধটির নির্মাণকাজ অর্ধেক হয়ে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন অফিস থেকে জানানো হয়, বছরের বিশেষ দিনগুলোর আগে কবরগুলো সংস্কার করা হয়। হামিদুর রহমানের কবরের সৌধটি নির্মাণের দায়িত্ব পিডাব্লিউডির। আগামী ডিসেম্বরের আগেই এটা হয়ে যাবে।
২০১০ সালে আন্তমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিডাব্লিউডি সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায়। কিন্তু তারা এই দায়িত্ব পালন না করায় সিটি করপোরেশনই এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য সিটি করপোরেশন নিয়োজিত প্রহরী রয়েছে। কিন্তু কোনো স্থায়ী স্টাফ নেই। এখানে মোট ৪০টি কবর রয়েছে। সর্বমোট ৮০টি কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বুদ্ধিজীবীদের কবর পাওয়ার ব্যাপারটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সিটি করপোরেশনকে জানালে, সিটি করপোরেশন কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। কবরস্থানের ঘেরা জায়গার বাইরে, সৌধের চারপাশে রয়েছে প্রচুর খোলা জায়গা। ইট দিয়ে সুন্দর করে বাঁধাই করা রাস্তা। হঠাৎ করে না জেনে ঢুকলে মনে হবে, যেন কোনো পার্কে এসে পড়েছি।
কতটা বেদনাস্মৃতি বুকে নিয়ে আছে আমাদের এই স্বাধীনতা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন, তাঁদের যেন আমরা ভুলে না যাই। কারণ আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে মিশে আছে তাঁদের ত্যাগ। তাই হাজারও কাজের মধ্যেও একবার দেখে আসুন তাঁদের, কেমন আছেন তাঁরা।
সুস্মিতা সাহা
গেটে দাঁড়িয়ে সোজা তাকালেই দেখা যায় স্মৃতিসৌধ। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দৃষ্টিনন্দন এই সৌধ নির্মাণ করা হয়। বেশ বড় জায়গা নিয়ে সৌধটি নির্মাণ করা হয়েছে। গেট থেকে সৌধ বরাবর হেঁটে গেলে বাঁ দিকে চোখে পড়বে শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের কবরের স্থানটি। আর সৌধের ঠিক ডান দিকে শহীদদের গণকবর। এখানে ঘুরে দেখা গেল, সৌধের চারপাশে বড় বড় ঘাস গজিয়ে গেছে এবং বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের কবরের সৌধটির নির্মাণকাজ অর্ধেক হয়ে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন অফিস থেকে জানানো হয়, বছরের বিশেষ দিনগুলোর আগে কবরগুলো সংস্কার করা হয়। হামিদুর রহমানের কবরের সৌধটি নির্মাণের দায়িত্ব পিডাব্লিউডির। আগামী ডিসেম্বরের আগেই এটা হয়ে যাবে।
২০১০ সালে আন্তমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পিডাব্লিউডি সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায়। কিন্তু তারা এই দায়িত্ব পালন না করায় সিটি করপোরেশনই এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য সিটি করপোরেশন নিয়োজিত প্রহরী রয়েছে। কিন্তু কোনো স্থায়ী স্টাফ নেই। এখানে মোট ৪০টি কবর রয়েছে। সর্বমোট ৮০টি কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে বুদ্ধিজীবীদের কবর পাওয়ার ব্যাপারটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সিটি করপোরেশনকে জানালে, সিটি করপোরেশন কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। কবরস্থানের ঘেরা জায়গার বাইরে, সৌধের চারপাশে রয়েছে প্রচুর খোলা জায়গা। ইট দিয়ে সুন্দর করে বাঁধাই করা রাস্তা। হঠাৎ করে না জেনে ঢুকলে মনে হবে, যেন কোনো পার্কে এসে পড়েছি।
কতটা বেদনাস্মৃতি বুকে নিয়ে আছে আমাদের এই স্বাধীনতা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন, তাঁদের যেন আমরা ভুলে না যাই। কারণ আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে মিশে আছে তাঁদের ত্যাগ। তাই হাজারও কাজের মধ্যেও একবার দেখে আসুন তাঁদের, কেমন আছেন তাঁরা।
সুস্মিতা সাহা
No comments