বিশ্লেষণ- কঠিন পথে হাঁটতে হচ্ছে মুরসিকে
মিসরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে কঠিন এক পথে হাঁটতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত ইসলামবিরোধী চলচ্চিত্রকে কেন্দ্র করে অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো মিসরে মার্কিনবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ তাঁকে কঠিন এই পথে নিয়ে গেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মিসরের জনগণের মার্কিনবিরোধী এই ক্ষোভের সময় মুরসি নিজেকে ‘ততটা মার্কিনপন্থী নন’ বলে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুত কোটি কোটি ডলার সহায়তা পাওয়ার বিষয়টিও তাঁকে বিবেচনা করতে হচ্ছে। দুই দিক ঠিক রাখতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতিই মোকাবিলা করতে হচ্ছে মুরসিকে।
মিসরে গত মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে দেয়াল ভেঙে ফেলা ও মার্কিন পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় মুরসি তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেননি। কিন্তু খুব দ্রুত ইসলামবিরোধী ওই চলচ্চিত্রের নিন্দা জানান। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘ওয়াশিংটন কায়রোকে শত্রুও মনে করে না, মিত্র বলেও বিবেচনা করে না।’ কিন্তু মুরসির ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পরদিনই বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়, ‘মিসর যুক্তরাষ্ট্রের শুধু মিত্র নয়, দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ অংশীদারও।’
মুরসির মিসরকে প্রতিবছর সামরিক সহায়তা হিসেবে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। এ ছাড়া কায়রো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে, যে চুক্তির আওতায় মিসরের ১০০ কোটি ডলারের ঋণ মওকুফ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকদের মতে, মূলত এই বিষয়টি বিবেচনা করে হোয়াইট হাউসের বার্তার পরদিনই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বক্তব্য দেন মুরসি। তিনি বলেন, ‘আমরা মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ ও বিদ্রূপ করার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু আমাদের দেশে বিদেশি অতিথিদের রক্ষার দায়িত্বও আমাদেরই।’
মিসরে দায়িত্ব পালন করা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল কার্টজার বলেন, ‘মুরসি নিজেকে ও দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান এ ব্যাপারে দেশটির বর্তমান প্রশাসন তাঁকে বেশ স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে আমি মনে করি, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের মতো মুরসি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হতে চাইলে তিনি চাপে পড়বেন। আমার মনে হয়, প্রশাসন এ ব্যাপারে বেশ স্পর্শকাতর।’ কার্টজার আরও বলেন, ‘প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মুরসির উচিত এই ক্ষোভ যাতে সহিংসতায় পরিণত না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব মিডল ইস্ট স্টাডিজের পরিচালক জোসুয়া ল্যান্ডিস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মুরসি কঠিন এক পথে হাঁটার চেষ্টা করছেন।’ এএফপি।
মিসরে গত মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে দেয়াল ভেঙে ফেলা ও মার্কিন পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় মুরসি তাৎক্ষণিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেননি। কিন্তু খুব দ্রুত ইসলামবিরোধী ওই চলচ্চিত্রের নিন্দা জানান। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘ওয়াশিংটন কায়রোকে শত্রুও মনে করে না, মিত্র বলেও বিবেচনা করে না।’ কিন্তু মুরসির ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য পরদিনই বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়, ‘মিসর যুক্তরাষ্ট্রের শুধু মিত্র নয়, দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ অংশীদারও।’
মুরসির মিসরকে প্রতিবছর সামরিক সহায়তা হিসেবে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। এ ছাড়া কায়রো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে, যে চুক্তির আওতায় মিসরের ১০০ কোটি ডলারের ঋণ মওকুফ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকদের মতে, মূলত এই বিষয়টি বিবেচনা করে হোয়াইট হাউসের বার্তার পরদিনই রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বক্তব্য দেন মুরসি। তিনি বলেন, ‘আমরা মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ওপর যেকোনো ধরনের আক্রমণ ও বিদ্রূপ করার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু আমাদের দেশে বিদেশি অতিথিদের রক্ষার দায়িত্বও আমাদেরই।’
মিসরে দায়িত্ব পালন করা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল কার্টজার বলেন, ‘মুরসি নিজেকে ও দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান এ ব্যাপারে দেশটির বর্তমান প্রশাসন তাঁকে বেশ স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে আমি মনে করি, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের মতো মুরসি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হতে চাইলে তিনি চাপে পড়বেন। আমার মনে হয়, প্রশাসন এ ব্যাপারে বেশ স্পর্শকাতর।’ কার্টজার আরও বলেন, ‘প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মুরসির উচিত এই ক্ষোভ যাতে সহিংসতায় পরিণত না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া।’
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অব মিডল ইস্ট স্টাডিজের পরিচালক জোসুয়া ল্যান্ডিস বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মুরসি কঠিন এক পথে হাঁটার চেষ্টা করছেন।’ এএফপি।
No comments