প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসেই কেটে গেল অর্ধশতক-খুলনায় বিমানবন্দরের জন্য অপেক্ষার শেষ কবে by গৌরাঙ্গ নন্দী
রাজধানীর সঙ্গে বিভাগীয় শহর খুলনা এবং দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলার দ্রুত ও কম সময়ে যোগাযোগের জন্য বিমানবন্দর স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। স্বাধীনতাপূর্বকালেই খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ১৯৬১ সালে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করে জমি অধিগ্রহণও করা হয়।
কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের পর চার দশক পেরিয়ে ২০১২ সালে এসেও খুলনায় বহু কাঙ্ক্ষিত সেই বিমানবন্দর নির্মিত হয়নি। এই অর্ধশত কালের ইতিহাস শুধুই আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি, সম্ভাব্যতা যাচাই, স্থান নির্বাচন, স্থান পরিবর্তন ও আবার নতুন স্থান নির্বাচন, জমি অধিগ্রহণ ইত্যাদি দীর্ঘসূত্রতার। সর্বশেষ খুলনা-মংলা সড়কের পাশে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়। সেখানে মাটি ভরাটের কাজও হয়। কিন্তু ২০০৬ সালের জুন মাসে ওই প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। তারপর থেকেই থমকে আছে বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। তবে এখনো সেখানে পড়ে আছে প্রায় দশ কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি ও যন্ত্রপাতি। অযত্ন-অবহেলায় তা নষ্ট হচ্ছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় তাঁর নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে এই অঞ্চলে বিমানবন্দর না হওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি তাঁর আগের শাসনামলে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণকাজের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে বিমানবন্দর হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের প্রায় চার বছর কেটে গেলেও খুলনা বিমানবন্দরের স্থগিত কাজ আর শুরু হয়নি।
খুলনায় বিমানবন্দর স্থাপনের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৬১ সালে। তখন খুলনা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে মশিয়ালী নামক স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। তখন থেকেই খুলনাবাসী বিমানবন্দরের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। ১৯৮০ সালের দিকে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার কাটাখালীতে নতুন স্থান নির্বাচন করা হয়। অজ্ঞাত কারণে সেই পরিকল্পনাও বাতিল হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে বিমানবন্দর ইস্যুটি আবার জোরদার হয়ে উঠলে তৎকালীন বিএনপি সরকার তৎপর হয়ে ওঠে। শুরু হয় সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্থান নির্বাচনের কাজ। একপর্যায়ে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ফয়লায় স্টল বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য ৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে আরো কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমির মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৪ একর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে ওই জমি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৯৬ সালেই আওয়ামী লীগ সরকারও ক্ষমতায় এসে খুলনাবাসীর প্রাণের দাবি বিমানবন্দর স্থাপন প্রকল্পটি বহাল রাখে। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে প্রস্তাবিত খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে কয়েক মাসে যতটুকু ভূমি উন্নয়ন করা হয়েছিল তারপর আর কোনো কাজ হয়নি। বিগত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে। স্টল বিমানবন্দরের পরিবর্তে মাঝারি ধরনের বিমান ওঠানামার উপযোগী বিমানবন্দর (ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য আগের অধিগ্রহণ করা জমির পাশে আরো ৭১ দশমিক ৮২ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে প্রস্তাবিত জমি শেষ পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল রবিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গাটি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। কয়েক শ গরু চরে বেড়াচ্ছে। ভারী পণ্য পরিবহনের উপযোগী এগারোটি গাড়ি খোলা আকাশের নিচে অযত্নে পড়ে আছে। গাড়ির চাকাগুলো মাটিতে দেবে গেছে। মরিচা ধরে গেছে বডিতে। নির্মাণকাজের সময় শ্রমিকদের থাকার জন্য যে অস্থায়ী কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। পুলিশের ২২ জন সদস্য থাকেন সেখানে। ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, 'কিছুদিন আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে গাড়িগুলো পরীক্ষা করে দেখে বলেছেন এগুলোর ইঞ্জিন এখনো ভালো আছে।'
বিমানবন্দর প্রকল্পে কাজ করতেন সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুছ হোসেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, 'প্রায় দেড় যুগ আগে বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাজের অনেক অগ্রগতিও হয়। কিন্তু ২০০৬ সালের জুন মাস থেকে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। স্টল বিমানবন্দর থেকে ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট করার কথা বলা হয়। কিন্তু তারপর আর কোনো কিছু এগোয়নি। প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটিতে চার হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে, যাতে বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আনা হয়েছিল, যা সেখানে পড়ে থেকে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে।'
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, 'বর্তমান সরকার পদ্মা সেতুর ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়ায় বিমানবন্দরের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। এই খাতে কোনো বাজেট বরাদ্দও রাখা হয়নি। সেতু যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিমানবন্দরও গুরুত্বপূর্ণ। অল্প সময়ে দ্রুত যোগাযোগের জন্য বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে অনেক দেশেই বেসরকারি খাতে বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে।' বিমানবন্দরের দাবি খুলনা অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, 'সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য বিমানবন্দরের কাজটি করা উচিত ছিল।'
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রামপালের ফয়লায় যে বিমানবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছিল, সেটি হলে খুবই ভালো হতো। বিশেষত মংলা বন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ দ্রুত ও সহজ হতো। এতে মংলা বন্দর এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চলের ব্যবহার, বিনিয়োগ ও ব্যবসার সমপ্রসারণ ঘটত। এমনকি এই বন্দরকে নেপাল ও ভুটান ব্যবহার করার যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারত।' তিনি আরো বলেন, 'যশোরে বিমানবন্দর রয়েছে। পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, যশোর-ঢাকা রুটের ৭০ শতাংশেরও বেশি যাত্রী খুলনার। সেদিক বিবেচনায়ও খুলনায় বিমানবন্দর স্থাপনের বিষয়টি অনেক বেশি যৌক্তিক।'
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় তাঁর নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে এই অঞ্চলে বিমানবন্দর না হওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি তাঁর আগের শাসনামলে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণকাজের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে বিমানবন্দর হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের প্রায় চার বছর কেটে গেলেও খুলনা বিমানবন্দরের স্থগিত কাজ আর শুরু হয়নি।
খুলনায় বিমানবন্দর স্থাপনের প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৬১ সালে। তখন খুলনা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে মশিয়ালী নামক স্থানে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। তখন থেকেই খুলনাবাসী বিমানবন্দরের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। ১৯৮০ সালের দিকে বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার কাটাখালীতে নতুন স্থান নির্বাচন করা হয়। অজ্ঞাত কারণে সেই পরিকল্পনাও বাতিল হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে বিমানবন্দর ইস্যুটি আবার জোরদার হয়ে উঠলে তৎকালীন বিএনপি সরকার তৎপর হয়ে ওঠে। শুরু হয় সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্থান নির্বাচনের কাজ। একপর্যায়ে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানার ফয়লায় স্টল বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য ৯৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে আরো কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমির মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৪ একর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে ওই জমি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৯৬ সালেই আওয়ামী লীগ সরকারও ক্ষমতায় এসে খুলনাবাসীর প্রাণের দাবি বিমানবন্দর স্থাপন প্রকল্পটি বহাল রাখে। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে প্রস্তাবিত খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিতে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। সেই সময়ে কয়েক মাসে যতটুকু ভূমি উন্নয়ন করা হয়েছিল তারপর আর কোনো কাজ হয়নি। বিগত চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনে। স্টল বিমানবন্দরের পরিবর্তে মাঝারি ধরনের বিমান ওঠানামার উপযোগী বিমানবন্দর (ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য আগের অধিগ্রহণ করা জমির পাশে আরো ৭১ দশমিক ৮২ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে প্রস্তাবিত জমি শেষ পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল রবিবার প্রকল্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট জায়গাটি গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। কয়েক শ গরু চরে বেড়াচ্ছে। ভারী পণ্য পরিবহনের উপযোগী এগারোটি গাড়ি খোলা আকাশের নিচে অযত্নে পড়ে আছে। গাড়ির চাকাগুলো মাটিতে দেবে গেছে। মরিচা ধরে গেছে বডিতে। নির্মাণকাজের সময় শ্রমিকদের থাকার জন্য যে অস্থায়ী কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। পুলিশের ২২ জন সদস্য থাকেন সেখানে। ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, 'কিছুদিন আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে গাড়িগুলো পরীক্ষা করে দেখে বলেছেন এগুলোর ইঞ্জিন এখনো ভালো আছে।'
বিমানবন্দর প্রকল্পে কাজ করতেন সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউনুছ হোসেন। টেলিফোনে তিনি বলেন, 'প্রায় দেড় যুগ আগে বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কাজের অনেক অগ্রগতিও হয়। কিন্তু ২০০৬ সালের জুন মাস থেকে প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়। স্টল বিমানবন্দর থেকে ডমেস্টিক এয়ারপোর্ট করার কথা বলা হয়। কিন্তু তারপর আর কোনো কিছু এগোয়নি। প্রস্তাবিত বিমানবন্দরটিতে চার হাজার ফুট দীর্ঘ একটি রানওয়ে রয়েছে, যাতে বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করতে প্রায় ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আনা হয়েছিল, যা সেখানে পড়ে থেকে মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে।'
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ-জামান বলেন, 'বর্তমান সরকার পদ্মা সেতুর ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়ায় বিমানবন্দরের বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। এই খাতে কোনো বাজেট বরাদ্দও রাখা হয়নি। সেতু যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বিমানবন্দরও গুরুত্বপূর্ণ। অল্প সময়ে দ্রুত যোগাযোগের জন্য বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে অনেক দেশেই বেসরকারি খাতে বিমানবন্দর গড়ে উঠেছে।' বিমানবন্দরের দাবি খুলনা অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, 'সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য বিমানবন্দরের কাজটি করা উচিত ছিল।'
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'রামপালের ফয়লায় যে বিমানবন্দরটি গড়ে তোলা হচ্ছিল, সেটি হলে খুবই ভালো হতো। বিশেষত মংলা বন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ দ্রুত ও সহজ হতো। এতে মংলা বন্দর এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চলের ব্যবহার, বিনিয়োগ ও ব্যবসার সমপ্রসারণ ঘটত। এমনকি এই বন্দরকে নেপাল ও ভুটান ব্যবহার করার যে প্রস্তাব দিয়েছে তাতেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর খুবই ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারত।' তিনি আরো বলেন, 'যশোরে বিমানবন্দর রয়েছে। পরিসংখ্যান নিলে দেখা যাবে, যশোর-ঢাকা রুটের ৭০ শতাংশেরও বেশি যাত্রী খুলনার। সেদিক বিবেচনায়ও খুলনায় বিমানবন্দর স্থাপনের বিষয়টি অনেক বেশি যৌক্তিক।'
No comments