বিড়ির প্যাকেটে হেরোইন-দোষীরা শাস্তি পাবে কি?
গোয়েন্দাদের তৎপরতায় হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হলো বিপুল পরিমাণ হেরোইন। বিড়ির প্যাকেটে পুরে এ হেরোইন পাচার করা হচ্ছিল মালয়েশিয়ায়। হেরোইন পাচারের ঘটনা গুরুতর অপরাধ নিশ্চয়ই। কিন্তু এর অন্য তাৎপর্যও রয়েছে।
হেরোইনের মতো ভয়ঙ্কর নেশাদ্রব্য বাংলাদেশ হয়ে যদি কোনো দেশে পাচার হয় তবে এর সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জড়িত হয়ে পড়ে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে হেরোইন পাচারের ঘটনায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে রফতানি খাতে নানা রকমের বিধিনিষেধ ও নজরদারি বাড়ে। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ পণ্যের রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গত কারণেই দেশের ও রফতানিকারকদের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে এ ধরনের নেশাদ্রব্য পাচার হওয়ার আগেই নজরদারি বাড়ানো দরকার। শ্রমবাজারের নিরিখে মালয়েশিয়া গুরুত্বপূর্ণ দেশ। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে আসছে মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশ। এর পেছনে নানাবিধ কারণ আছে। কিন্তু সেসব কারণের সঙ্গে যদি হেরোইন পাচারের মতো গুরুতর ঘটনা যুক্ত হয়ে যায় তবে ভাবমূর্তি নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ হেরোইন সেখানে পেঁৗছালে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারত। সেটি হয়নি, বাংলাদেশেই হেরোইন আটক হয়েছে। এমন ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ অবশ্যই ধন্যবাদ পাবে। তবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য পাচারের উদ্যোক্তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি দেশের ভেতরে হেরোইন পাচারকারী চক্রের জালও ছিন্ন করা দরকার। কেননা, হেরোইন শুধু এ দেশ হয়ে বাইরে পাচার হচ্ছে না। এ দেশেও বহু তরুণ-তরুণী নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তরুণ প্রজন্মকে হেরোইনের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য হেরোইন চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হওয়া দরকার।
No comments