দুই সেরার লড়াই
ক্রিস গেইল জ্যামাইকান-ঝড় জাতীয় দলের হয়ে প্রথম সফরেই (ইংল্যান্ড, ২০০০) একটা কালির ছোপ লেগেছিল ক্রিস গেইলের নামের পাশে। দলের সিনিয়রদের প্রতি তেমন একটা শ্রদ্ধাবোধ নাকি ছিল না তাঁর। গেইলের চরিত্রে সেই শ্রদ্ধার অভাবটা এখনো আছে, তবে সেটার ভুক্তভোগী এখন প্রতিপক্ষ বোলাররা।
প্রতিপক্ষের সবচেয়ে কিপটে বোলারটিকে ‘উদার’ হতে হয় গেইলের সামনে। যেকোনো বোলিং আক্রমণকে নিমেষে ধ্বংস করাতেই যেন সৃষ্টিসুখের উল্লাস এই জ্যামাইকানের। এটা টি-টোয়েন্টির যুগ। আর ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলই টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংকে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটা এসেছে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকেই। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পোলক-এনটিনি-ফিল্যান্ডারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ৫৭ বলে করেছিলেন ১১৭। সেই শুরু। এরপর ২০ ওভারের ক্রিকেটটা যখন ডালপালা ছড়াল ক্রিকেট-দুনিয়ার আনাচ-কানাচে, সব জায়গাতেই গেইল। বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে—সব দেশই মাত করলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। সবচেয়ে বেশি আটটি সেঞ্চুরির মালিক গেইলই টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। গত দুই বছর ভাড়াটে সৈনিক হয়ে মাতিয়েছেন বিশ্ব। এবার জন্মভূমির হয়ে লঙ্কাজয়ের অপেক্ষায় টি-টোয়েন্টির প্রতিভূ।
সাঈদ আজমল
দুসরার ফেরিওয়ালা
আইসিসিও কি বিভ্রান্ত সাঈদ আজমলে? পাকিস্তানি অফ স্পিনারের দুসরার মতোই কি তাঁকে পড়তে ব্যর্থ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার জুরিরা? নাকি ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে যুক্তি করেই বাদ দেওয়া হলো তাঁকে? ব্যাটসম্যানরা ষড়যন্ত্র করতেই পারেন। গত কিছুদিনে তাঁদের তো কম ভোগাননি আজমল। অস্ট্রেলীয়দেরই জিজ্ঞেস করুন। মাত্রই শেষ হওয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ শব্দটার মানে তাঁরা খুব ভালোই বুঝেছেন। আসলে তাঁদের বুঝিয়ে ছেড়েছেন আজমলই। ওয়ানডে সিরিজে ১০ উইকেটে নেওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে ২-এর নামতা গুনে ৬ উইকেট, আজমলের মুন্সিয়ানারই প্রমাণ।
৩০ ছাড়িয়ে জাতীয় দলে অভিষেক আজমলের। অভিষেকের পরের বছরই দলকে জেতালেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে জোড় বেঁধে বেঁধে রাখলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। ২০০৯ সালের ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট ছিল তাঁর। ২০ ওভারের ক্রিকেটে গত সোয়া তিন বছরে খেলেছেন ৪২টি ম্যাচ। ১৫.৪৮ গড়ে ৬০ উইকেট, কমপক্ষে ১০০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গড় আজমলের। আবার এসেছে ছোট বিশ্বকাপ। ৩৪ বছর বয়সী আজমলের সামনে আবার সুযোগ বিশ্বজয়ের। সুযোগ দুসরার পসরায় বিশ্বকে মোহিত করার।
সোলায়মান
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরিটা এসেছে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকেই। প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পোলক-এনটিনি-ফিল্যান্ডারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ৫৭ বলে করেছিলেন ১১৭। সেই শুরু। এরপর ২০ ওভারের ক্রিকেটটা যখন ডালপালা ছড়াল ক্রিকেট-দুনিয়ার আনাচ-কানাচে, সব জায়গাতেই গেইল। বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে—সব দেশই মাত করলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। সবচেয়ে বেশি আটটি সেঞ্চুরির মালিক গেইলই টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। গত দুই বছর ভাড়াটে সৈনিক হয়ে মাতিয়েছেন বিশ্ব। এবার জন্মভূমির হয়ে লঙ্কাজয়ের অপেক্ষায় টি-টোয়েন্টির প্রতিভূ।
সাঈদ আজমল
দুসরার ফেরিওয়ালা
আইসিসিও কি বিভ্রান্ত সাঈদ আজমলে? পাকিস্তানি অফ স্পিনারের দুসরার মতোই কি তাঁকে পড়তে ব্যর্থ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার জুরিরা? নাকি ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে যুক্তি করেই বাদ দেওয়া হলো তাঁকে? ব্যাটসম্যানরা ষড়যন্ত্র করতেই পারেন। গত কিছুদিনে তাঁদের তো কম ভোগাননি আজমল। অস্ট্রেলীয়দেরই জিজ্ঞেস করুন। মাত্রই শেষ হওয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ শব্দটার মানে তাঁরা খুব ভালোই বুঝেছেন। আসলে তাঁদের বুঝিয়ে ছেড়েছেন আজমলই। ওয়ানডে সিরিজে ১০ উইকেটে নেওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে ২-এর নামতা গুনে ৬ উইকেট, আজমলের মুন্সিয়ানারই প্রমাণ।
৩০ ছাড়িয়ে জাতীয় দলে অভিষেক আজমলের। অভিষেকের পরের বছরই দলকে জেতালেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে জোড় বেঁধে বেঁধে রাখলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। ২০০৯ সালের ওই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট ছিল তাঁর। ২০ ওভারের ক্রিকেটে গত সোয়া তিন বছরে খেলেছেন ৪২টি ম্যাচ। ১৫.৪৮ গড়ে ৬০ উইকেট, কমপক্ষে ১০০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো গড় আজমলের। আবার এসেছে ছোট বিশ্বকাপ। ৩৪ বছর বয়সী আজমলের সামনে আবার সুযোগ বিশ্বজয়ের। সুযোগ দুসরার পসরায় বিশ্বকে মোহিত করার।
সোলায়মান
No comments