নিউমুুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দরপত্রে অনিয়ম- মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনে ভাটা
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনে এখন ভাটা পড়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরের ব্যানারে আপাতত কোনো কর্মসূচি দিচ্ছেন
না তিনি। তবে এনসিটি নিয়ে কোনো অনিয়ম হলে মহিউদ্দিন চৌধুরী আবার মাঠে নামবেন বলেও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ স্থানীয় নেতা মনে করছেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন সঠিক ও যথার্থ। তাঁরা বলেন, একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দরপত্রের শর্ত শিথিল করেছে। কারণ একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে ওই শর্ত শিথিল করা হয়, যাতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় চট্টগ্রাম বন্দরের। যদিও আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের বাইরে কিছু করতে দেওয়া হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়ে দিয়েছেন।
এনসিটির দরপত্র-বিতর্ক নিয়ে কেবল স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ বন্দরমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর চলমান আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এত কিছুর পর দরপত্রের অনিয়মসংক্রান্ত অভিযোগের শুনানি চলছে বলে জানা গেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, এনসিটির দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দুটি প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছিল ক্রয়সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ইউনিটের (সিপিটিইউ) কাছে। সরকারি এই সংস্থা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একটি রিভিউ প্যানেল গঠন করেছে। এই রিভিউ প্যানেলে অভিযোগসংক্রান্ত শুনানি এখন চলছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রায় হতে পারে বলে সিপিটিইউ সূত্র জানায়।
রিভিউ প্যানেলের রায় এবং সেই অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়, তা পর্যবেক্ষণ করছেন মহিউদ্দিন। এর পরই আন্দোলনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ও পূর্ব হালিশহর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটির দরপত্রসংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে অবগত আছেন। এ ব্যাপারে আইনের বাইরে কিছু হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন চৌধুরী এ সপ্তাহে কোনো কর্মসূচি রাখেননি। তবে আন্দোলনও স্থগিত করা হয়নি। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে তিনি মাঠে নামতে পারেন। আমাদের ধারণা এনসিটি দরপত্র নিয়ে ক্রয়সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ইউনিটের (সিপিটিইউ) রিভিউ প্যানেলের শুনানি বন্দরের বিপক্ষে যেতে পারে। আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি।’
ইলিয়াছ আরও বলেন, মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষ নিয়ে কাজ করেন। চট্টগ্রামের প্রতি তাঁর দরদ আছে বলেই তিনি বন্দরের দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তাঁর এই কর্মসূচি চট্টগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্দরে কোনো অনিয়ম হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ অবস্থায় আমাদের সবার সংযত থাকা উচিত। রিভিউ প্যানেলের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনকে যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে রেজাউল বলেন, ‘বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাইফ পাওয়ারটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বন্দরের কনেটইনার পরিচালনার কাজ দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠান বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে ২০০৮ সালে দরপত্র আহ্বান করা হলে একই কাজের জন্য আরও অনেক কম দর জমা পড়ে। এ কারণে আমি মনে করি, মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন যৌক্তিক ও যথার্থ। এটা আমাদের স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি।’
আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ স্থানীয় নেতা মনে করছেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন সঠিক ও যথার্থ। তাঁরা বলেন, একটি গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য দরপত্রের শর্ত শিথিল করেছে। কারণ একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে ওই শর্ত শিথিল করা হয়, যাতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় চট্টগ্রাম বন্দরের। যদিও আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনের বাইরে কিছু করতে দেওয়া হবে না বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়ে দিয়েছেন।
এনসিটির দরপত্র-বিতর্ক নিয়ে কেবল স্থানীয় সাংসদ এম এ লতিফ বন্দরমন্ত্রীর পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর চলমান আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এত কিছুর পর দরপত্রের অনিয়মসংক্রান্ত অভিযোগের শুনানি চলছে বলে জানা গেছে।
বন্দর সূত্র জানায়, এনসিটির দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী দুটি প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করেছিল ক্রয়সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ইউনিটের (সিপিটিইউ) কাছে। সরকারি এই সংস্থা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য একটি রিভিউ প্যানেল গঠন করেছে। এই রিভিউ প্যানেলে অভিযোগসংক্রান্ত শুনানি এখন চলছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রায় হতে পারে বলে সিপিটিইউ সূত্র জানায়।
রিভিউ প্যানেলের রায় এবং সেই অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়, তা পর্যবেক্ষণ করছেন মহিউদ্দিন। এর পরই আন্দোলনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ও পূর্ব হালিশহর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটির দরপত্রসংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে অবগত আছেন। এ ব্যাপারে আইনের বাইরে কিছু হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই মহিউদ্দিন চৌধুরী এ সপ্তাহে কোনো কর্মসূচি রাখেননি। তবে আন্দোলনও স্থগিত করা হয়নি। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে তিনি মাঠে নামতে পারেন। আমাদের ধারণা এনসিটি দরপত্র নিয়ে ক্রয়সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ইউনিটের (সিপিটিইউ) রিভিউ প্যানেলের শুনানি বন্দরের বিপক্ষে যেতে পারে। আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি।’
ইলিয়াছ আরও বলেন, মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষ নিয়ে কাজ করেন। চট্টগ্রামের প্রতি তাঁর দরদ আছে বলেই তিনি বন্দরের দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তাঁর এই কর্মসূচি চট্টগ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অনুপ্রাণিত করেছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্দরে কোনো অনিয়ম হবে না বলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ অবস্থায় আমাদের সবার সংযত থাকা উচিত। রিভিউ প্যানেলের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলনকে যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে রেজাউল বলেন, ‘বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সাইফ পাওয়ারটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বন্দরের কনেটইনার পরিচালনার কাজ দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠান বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরে ২০০৮ সালে দরপত্র আহ্বান করা হলে একই কাজের জন্য আরও অনেক কম দর জমা পড়ে। এ কারণে আমি মনে করি, মহিউদ্দিন চৌধুরীর আন্দোলন যৌক্তিক ও যথার্থ। এটা আমাদের স্থানীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি।’
No comments