‘আলবদরের সমাবেশে মুজাহিদ দুশমন খতমের শপথ করান’- শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষ্য
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষী ইতিহাসবিদ, লেখক-সাংবাদিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির তাঁর জবানবন্দীতে বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ নবেম্বর বদর দিবস পালন
উপলক্ষে আলবদরদের এক সমাবেশে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ তাঁর ভাষায় পাকিস্তান এবং ‘ইসলামের দুশমন ও ভারতীয় এজেন্টদের’ খতম করার শপথ পরিচালনা করেন। পাকিস্তান হচ্ছে আল্লাহ্র ঘর। পাকিস্তানকে হেফাজত করার জন্য জেহাদ করতে হবে। তিনি ছিলেন আলবদর বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনীর সবচেয়ে নৃশংস অপরাধ ছিল সুপরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা। অপরদিকে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নবম সাক্ষী ৬৬ বছর বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মোল্লা কাদের মোল্লার নেতৃত্বে মিরপুরের আলকদি গ্রামে এক সঙ্গে প্রায় ৪০০ নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যার ঘটনার বিবরণ দেন। রবিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ জবানবন্দী পেশ করেন প্রসিকিউশন পক্ষের এ দুই সাক্ষী। অন্যদিকে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ৮ম সাক্ষী নূরজাহান বেগমের জেরা শেষ করেছে আসামিপক্ষ।
ট্রাইব্যুনালে শাহরিয়ার কবির তাঁর জবানবন্দীতে বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আলবদর বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছিল। আর বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে আলবদর বাহিনী জড়িত। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে গোলাম আযম, নিজামী ও মুজাহিদ প্রমুখ শীর্ষ নেতারা বলেছেন পাকিস্তান হচ্ছে আল্লাহ্র ঘর, পাকিস্তানকে রক্ষা করতে জেহাদ করতে হবে। তাদের এই তথাকথিত জেহাদের লক্ষ্য হচ্ছে মরণè সংগ্রামে নিয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য নিবেদিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সহযোগী বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত নেতারা ইসলাম ও পাকিস্তান রক্ষার দোহাই দিয়ে একাত্তরের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধকে বৈধতা দিয়েছে, এই অপরাধ সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ ও পরিকল্পনা করে, যে কারণে এই গণহত্যা এতটা নৃশংস ও বিস্তৃত ছিল। তিনি বলেন, সেই সময় পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী, সংঘের সভাপতি ছিলেন এই মামলার আাসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াতের অন্যতম নেতা কামারুজ্জামান ও মীর কাশেম আলী ছিলেন ছাত্র সংঘ ও আলবদর কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতা।
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনীর সবচেয়ে নৃশংস অপরাধ ছিল সুপরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা। ১৯৭১ সালের ৫ নবেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলবদর বাহিনীর ঘাতকেরা তালিকা প্রস্তুত করে হাজার হাজার বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হত্যা করেছে। যার মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা। এঁদের মধ্যে অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর যারা সরাসরি আমার শিক্ষক ছিলেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে সমগ্র পাকিস্তানে একটি অগ্রগণ্য নাম ছিল শহীদুল্লাহ কায়সার। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদরের ঘাতকরা তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। শাহরিয়ার কবির বলেন, শহীদুল্লাহ কায়সার আমার বড়দা, আমার আপন জেঠাত ভাই। তিনি শুধু আমার বড়দাই ছিলেন না, আমাদের গোটা পরিবারের অভিভাবকও ছিলেন।
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি হানাদারকবলিত ঢাকার মিরপুর মুক্ত করতে গিয়ে মুক্তিবাহিনীর শতাধিক সদস্যের সঙ্গে শহীদ হয়েছিলেন আমার অপর জেঠাত ভাই বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক জহির রায়হান। জহির রায়হান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ’৭১-এর গণহত্যার অসামান্য প্রামাণ্যচিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’সহ মুক্তিযুদ্ধের ওপর চারটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন। তিনি বলেন, জহির রায়হান ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরে এসে বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্তে একটি নাগরিক কমিশন গঠন করেছিলেন। ডিসেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে কমিশনের এক সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের নজিরবিহীন বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য জহির রায়হান আলবদরকে দায়ী করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সেলিম মনসুর খানের লেখা ‘আলবদর’ বই ও অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে বলতে পারি ’৭১ সালে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ‘ইসলামী ছাত্রসংঘ’ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আলবদর বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছিল। আর এ বাহিনীর নেতা হিসেবে নিজামী, মুজাহিদ কী করেছেন তার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় ’৭১ সালের জামায়াতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রামসহ অন্যান্য সংবাদপত্রে। এবং স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত আরও অনেক মিডিয়ায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছে, পরে তা আমার এবং প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের লেখা বইয়েও রয়েছে। ‘আলবদর’ বইটির ওপর ভিত্তি করে ২৬ আগস্ট থেকে মুনতাসীর মামুন দৈনিক জনকণ্ঠে ধারাবাহিকভাবে আলবদরের ইতিহাস লেখা শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, শান্তি কমিটির ওপর জামায়াতে ইসলামীর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব ছিল না। নিজেদের একটি ঘাতক বাহিনী গঠন করার প্রয়োজনে তারা আল বদর ও রাজাকার বাহিনী গঠন করেছিল। এ দুটির ভিতরে আলবদর বাহনী গঠন করা হয়েছিল জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসলামাী ছাত্রসংঘের নেতৃবৃন্দ দ¦ারা। যে নেতাদের ভেতরে আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ অন্যতম। শাহরিয়ার কবির বলেন, রাজাকার, আলবদর, আল-শামসের ঘাতক বাহিনী জামায়াতের হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ’৭১-এ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছিল। তাই এই কারণে মাননীয় আদালতের কাছে আমার প্রার্থনা- ব্যক্তি মুজাহিদের পাশাপাশি তার দল জামায়াতের এবং এর সহযোগী সংগঠন রাজাকার, আলবদর ও আল-শামসের বিচারও এ ট্রাইব্যুনালে হওয়া উচিত।
শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য জার্মানির নুরেমবার্গে যে ঐতিহাসিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল সেখানে ২১ জন শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীর বিচারের পাশাপাশি সাতটি সংগঠনেরও বিচার করা হয়েছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই সংগঠনগুলো যে অপরাধ করেছে এবং যে কারণে এই অপরাধগুলো করেছে সেই রাজনীতি, সেই আদর্শে তারা এখনও অনুসরণ করছে।
তিনি আরও বলেন, আলবদর গ্রন্থে লেখক আলবদরদের উদ্ধৃত করে তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন, একাত্তরে পাকিস্তানী সৈন্যরা অস্ত্র সমর্পণ করলেও আলবদরের সদস্যরা অস্ত্র সমর্পণ করেনি। তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখনও সক্রিয় এবং এই আলবদর বাহিনী দাবি করে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে তাদের জন্যই সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেয়া হয়েছিল।
শাহরিয়ার কবির জবানবন্দীতে আরও বলেন, ১৯৭১-এর গণত্যাকারী মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আমরা গত ৪০ বছর ধরে আন্দোলন করছি। আমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভিকটিম, ত্রিশ লাখ হীদের পরিবারের সদস্য এবং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শীরা একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচারের জন্য ১৯৯২-এর ১৯ জানুয়ারি আমরা শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করি। এর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠন করি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ৭১এর ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিট।
এই সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ১৯৯২ এর ২৬ মার্চ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতা গোলাম আযমের প্রতীকী বিচার অনুষ্ঠিত হয়। তৎকালীন সরকারের সকল বাধা উপেক্ষা করে সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল এ গণআদালতে। এরপর আমরা মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করি একাত্তরের গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের জন্য বরেণ্য কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে জাতীয় গণতদন্ত কমিশন গঠন করি। এই কমিশন মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে এবং বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে ১৬ জন সম্পর্কে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার প্রামণ সংগ্রহ করেছে। এই ১৬ জনের অন্যতম হচ্ছেন বর্তমান মামলার আসামি আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ।
শাহরিয়ার কবির তাঁর জবানবন্দীর শুরুতে পরিচয় পর্বের পরে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে ২ মে পর্যন্ত আমি মহাখালীর বাড়িতে ছিলাম। এর পরে আমি ভারতে চলে যাই। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমি দেশে ফিরে আসি। শাহরিয়ার কবিরের জবানবন্দী শেষে তাঁকে জেরা শুরু করেন আসামি পক্ষ্যে আইনজীবী এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম। একটি প্রশ্ন করার পরে এ মামলার কার্যক্রম ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করে ট্রাইব্যুনাল।
আব্দুল কাদের মোল্লা
মধ্যাহ্ন বিরতির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ’৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৮ম সাক্ষী নূরজাহান বেগমকে জেরা শেষ করে আসামি পক্ষ। জেরা শেষে রাষ্ট্রপক্ষে নবম সাক্ষী মোঃ আমির হোসেন মোল্লা তাঁর জবানবন্দী পেশ করা শুরু করেন। ৬৬ বছার বয়স্ক এই মুক্তিযোদ্ধা তাঁর জবানবন্দীতে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে প্রায় ৪০০ নিরীহ মানুষকে হত্যার বিবরণ তুলে ধরেন।
আমির হোসেন মোল্লা তাঁর জবানবন্দীতে বলেন, তাঁর বাড়ি মিরপুরের দুয়ারীপাড়া গ্রামে যা বর্তমান রূপনগর থানার অন্তর্ভুক্ত। তাঁর বাড়ি থেকে আলকদি গ্রাম প্রায় ১শত ৫০ গজ দূরে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। দেশের সার্বিক অবস্থা ভয়াবহ দেখে ২৩ বা ২৪ মার্চ আমি আমার পিতামাতা ও পরিবারের লোকদের নিয়ে সাভারে চলে যাই। সেখানে প্রথমে একটি স্কুলে এবং পরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেই। তিনি বলেন, ২২ কি ২৩ এপ্রিল আমাদের ধান কাটার জন্য আমার বাবাকে নিয়ে আমাদের গ্রামে আসি। ধান কেটে আমার খালু রোস্তম আলী বোপারির বাড়িতে রাত্রি যাপন করি। ২৪ এপ্রিল সকালে ফজরের আজানের সময় আলোকদি গ্রামের পশ্চিম দিকে তুরাগ নদীর পাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে পাঞ্জাবীরা এসে নামে এবং পূর্বদিক থেকে কাদের মোল্লার নেতৃত্বে এক থেকে দেড় শ’ বিহারী ও বাঙালীর সঙ্গে কিছু পাঞ্জাবীও ছিল, তারা এসে চতুর্দিক থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করে, তখন কিছু লোক মারা যায়। পরে বাড়ি বাড়ি ঢুকে প্রায় ৬৪ থেকে ৬৫ জন লোককে গ্রামের উত্তর দিকে লাইনে দাঁড় করায় এবং ধান কাটতে আসা ৩০০ থেকে ৪০০ লোককেও ধরে এনে একই জায়গায় দাঁড় করায়। পরে কাদের মোল্লা ও আক্তার মোল্লার হাতে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি শুরু করে সেই সঙ্গে অন্যান্য পাঞ্জাবী ও বিহারীরাও গুলি চালায়। এতে প্রায় ৪০০ জন লোক প্রাণ হারায়।
এর পর আমির হোসেন মোল্লার জবানবন্দী সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করে ট্রাইব্যুনাল।
No comments