অন্য রকম প্রতিবাদ-জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে
প্রতিবাদের ধরন এবার অন্য রকম। ২ জুন যশোরের ভবদহ এলাকার বিল কপালিয়ায় এক সহিংস ঘটনা ঘটেছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল মানুষ। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সরকারি গাড়ি। লাঞ্ছিত হয়েছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ। ঘটনার পর মামলা হয়। আটক করা হয়েছিল অভিযুক্ত অনেককে।
আটকদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সেখানে আত্মঘাতী হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী গত সোমবার সেখানে সমবেত হতে থাকে জনতা। জেলা প্রশাসক সেখানে গিয়ে একটি সন্তোষজনক সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও বিষ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন।
যে প্রকল্প নিয়ে এই সংকট, তাকে সংক্ষেপে বলা হয় টিআরএম। এর ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায় টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট। বাংলায় একে বলা হয় জোয়ার-আধার। প্রকৃতপক্ষে এটা হচ্ছে, জোয়ারের পানি ব্যবস্থাপনা। আবার বলা যেতে পারে, জোয়ারের পানিতে আসা পলি ব্যবস্থাপনা। প্রকৃতপক্ষে জোয়ারের পানি পরিকল্পিতভাবে বিলে প্রবেশ করিয়ে বিলের নিচু ভূমিতে পলি অবক্ষেপণের মাধ্যমে বিলভূমি উঁচু করাকে জোয়ার-আধার বা টিআরএম বলা হচ্ছে।
বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে অনেক সমস্যা। একদিকে বদ্ধ পানি বিল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে তলিয়ে দিতে পারে মানুষের আবাসস্থল। তলিয়ে দিতে পারে মানুষের কৃষিজমি। তাতে মানুষকেই কষ্টে পড়তে হয়। আবার একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই জলাবদ্ধতার সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিল এলাকায় অনেক খাস জমি আছে। এই খাস জমিতে ঘের রয়েছে। এই স্বার্থান্বেষী মহলের দৃষ্টি সেদিকেই। এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চায়। চায় প্রবহমান নদী। চায় ফসলের নিশ্চয়তা। এর জন্য উত্তম ব্যবস্থা টিআরএম। এ ব্যবস্থাটি এলাকাবাসীরই উদ্যোগে প্রমাণিত। এখন পাউবোর কর্মকর্তারাও বলেন, এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র উপায় টিআরএম বাস্তবায়ন করা। এতে নদী বাঁচবে, নিষ্কাশন পথ উন্মুক্ত হবে এবং জলাবদ্ধতা দূরীভূত হবে। দেশের বিশেষজ্ঞরাও একই মত দিয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে আস্থাহীনতার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর আস্থাশীল হতে পারছে না স্থানীয় মানুষ। আস্থাহীন জনগণকে আস্থায় আনার জন্য পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ জন্য সামাজিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি ছিল। টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য বছরের পর বছর যেসব নাগরিক সংগঠন আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ দাবিটি জনপ্রিয় করে তুলেছে, এই আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করেছে, তাদের পাউবো কাজে লাগাতে পারত। কিন্তু পাউবো সে পথে না হেঁটে শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ফলে স্বার্থান্বেষীরা অতিসহজেই সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলে।
আইন হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। আবার আইন হাতে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জনগণকে উস্কানি দেওয়াটাও অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক মতদ্বৈধতা যুক্ত হলে তা সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। জনগণকে আস্থায় নিয়ে, একই সঙ্গে জনগণের আস্থা অর্জন করে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকেই দৃষ্টি দেবে বলে আমাদের আশা।
যে প্রকল্প নিয়ে এই সংকট, তাকে সংক্ষেপে বলা হয় টিআরএম। এর ব্যাখ্যা করলে দাঁড়ায় টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট। বাংলায় একে বলা হয় জোয়ার-আধার। প্রকৃতপক্ষে এটা হচ্ছে, জোয়ারের পানি ব্যবস্থাপনা। আবার বলা যেতে পারে, জোয়ারের পানিতে আসা পলি ব্যবস্থাপনা। প্রকৃতপক্ষে জোয়ারের পানি পরিকল্পিতভাবে বিলে প্রবেশ করিয়ে বিলের নিচু ভূমিতে পলি অবক্ষেপণের মাধ্যমে বিলভূমি উঁচু করাকে জোয়ার-আধার বা টিআরএম বলা হচ্ছে।
বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে অনেক সমস্যা। একদিকে বদ্ধ পানি বিল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে তলিয়ে দিতে পারে মানুষের আবাসস্থল। তলিয়ে দিতে পারে মানুষের কৃষিজমি। তাতে মানুষকেই কষ্টে পড়তে হয়। আবার একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই জলাবদ্ধতার সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশের অধিকাংশ বিল এলাকায় অনেক খাস জমি আছে। এই খাস জমিতে ঘের রয়েছে। এই স্বার্থান্বেষী মহলের দৃষ্টি সেদিকেই। এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি চায়। চায় প্রবহমান নদী। চায় ফসলের নিশ্চয়তা। এর জন্য উত্তম ব্যবস্থা টিআরএম। এ ব্যবস্থাটি এলাকাবাসীরই উদ্যোগে প্রমাণিত। এখন পাউবোর কর্মকর্তারাও বলেন, এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনের একমাত্র উপায় টিআরএম বাস্তবায়ন করা। এতে নদী বাঁচবে, নিষ্কাশন পথ উন্মুক্ত হবে এবং জলাবদ্ধতা দূরীভূত হবে। দেশের বিশেষজ্ঞরাও একই মত দিয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে আস্থাহীনতার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর আস্থাশীল হতে পারছে না স্থানীয় মানুষ। আস্থাহীন জনগণকে আস্থায় আনার জন্য পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ জন্য সামাজিক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি ছিল। টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য বছরের পর বছর যেসব নাগরিক সংগঠন আন্দোলন-সংগ্রাম করে এ দাবিটি জনপ্রিয় করে তুলেছে, এই আন্দোলন-সংগ্রামের সঙ্গে মানুষকে সম্পৃক্ত করেছে, তাদের পাউবো কাজে লাগাতে পারত। কিন্তু পাউবো সে পথে না হেঁটে শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিল কপালিয়ায় টিআরএম প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। ফলে স্বার্থান্বেষীরা অতিসহজেই সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলে।
আইন হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। আবার আইন হাতে তুলে নেওয়ার ব্যাপারে জনগণকে উস্কানি দেওয়াটাও অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক মতদ্বৈধতা যুক্ত হলে তা সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠা অস্বাভাবিক নয়। জনগণকে আস্থায় নিয়ে, একই সঙ্গে জনগণের আস্থা অর্জন করে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেদিকেই দৃষ্টি দেবে বলে আমাদের আশা।
No comments