সংবর্ধনা-যেতে হবে অনেক দূর
প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে অন্য রকম বাংলাদেশ গড়তে কৃতী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানালেন গুণীজনেরা। কৃতী শিক্ষার্থীরাও এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করল। নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ওই অনুষ্ঠানেই গুণীজনদের আহ্বান আর কৃতীদের এই প্রত্যয়ের কথা শোনা যায়। প্রথম আলোর আয়োজনে ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবি) সহযোগিতায় এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে নীলফামারীর সাত শতাধিক কৃতীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মাগুরায়ও ৪৫০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নীলফামারী: সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা, গান, আবৃত্তি, নৃত্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ টি এম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘তোমাদের আলোয় জ্বলজ্বল করছে মিলনায়তন। এ আলো ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে, আলোকিত হোক সবাই।’ কৃতীদের অভিনন্দন জানিয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জেলা শাখার সভাপতি নরেশচন্দ্র রায় বলেন, ‘জীবনে আরও সাফল্য বয়ে আনতে হবে। সামনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এই পথ তোমাদেরই পাড়ি দিতে হবে।’
নীলফামারী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আমীর আলী বলেন, ‘তোমরা এমন একটা সময় জন্মেছ, যে সময়টাতে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ চলছে। প্রযুক্তির এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তোমরা অন্য রকম বাংলাদেশ গড়বে।’
কৃতীদের মাদক ও দুর্নীতিকে ‘না’ বলার শপথ পাঠ করান প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আবুল হাসনাত। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান। আরও বক্তব্য দেন, নীলফামারী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার ও সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কৃতী শিক্ষার্থী শামীমা আফরোজ।
বক্তৃতা পর্ব শেষে বন্ধুসভার সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। এ সময় কৃতীদের মধ্যে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে। কৌতুক পরিবেশন করে ট্যাঙ্গনমারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাজিউল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের রোকনুজ্জামান। গান গেয়ে শোনায় সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তানজিম আলম ও শিহাবুল ইসলাম।
দুপুর ১২টার দিকে কৃতীদের হাতে অভিনন্দনপত্র ও সঞ্চারক তুলে দেওয়া হয়।
মাগুরা: মাগুরার আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘বদলে যাও বদলে দাও’ গানের সঙ্গে বন্ধুসভার ছন্দা পালের পরিচালনায় দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই অনুষ্ঠানের এমন শুরু সবাইকে চমকে দেয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃতী শিক্ষার্থীদের মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়। মঞ্চে তাদের ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ছোট্ট বন্ধু সেবন্তি। পরে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কবির হোসেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে যারপরনাই খুশি কৃতী শিক্ষার্থী শিকদার সঞ্চিতা তাসনিম। সে বলে, ‘ভাবতাম, যদি এ রকম অনুষ্ঠানে কৃতীদের সঙ্গে বসতে পারতাম! আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
বন্ধুসভার উপদেষ্টা মফুজার রহমান বলেন, ‘মানুষ অনন্ত সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়। চেষ্টাই সেই সম্ভাবনাকে বিকশিত করে।’ তিনি নিজ উদ্যোগে ‘গোল্ডেন জিপিএ’ পাওয়া শিক্ষার্থীদের একটি করে বই উপহার দেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ এলিয়াছ হোসেন। কৃতীদের উদ্দেশে প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক জাফর আহমদ বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকে সফল হও, তাতে বাংলাদেশ সফল হবে।’
বক্তৃতা পর্বের পর কৃতীদের মধ্যে অভিনন্দনপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ফলাফলের দিক থেকে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার রায়ের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল চমক। ছোট্ট শিশুদের দলীয় নাচ, আবৃত্তি এবং ইভ টিজিংয়ের ওপর মূকাভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করে।
গতকাল মাগুরায়ও ৪৫০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নীলফামারী: সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা, গান, আবৃত্তি, নৃত্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ টি এম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘তোমাদের আলোয় জ্বলজ্বল করছে মিলনায়তন। এ আলো ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে, আলোকিত হোক সবাই।’ কৃতীদের অভিনন্দন জানিয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জেলা শাখার সভাপতি নরেশচন্দ্র রায় বলেন, ‘জীবনে আরও সাফল্য বয়ে আনতে হবে। সামনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। এই পথ তোমাদেরই পাড়ি দিতে হবে।’
নীলফামারী সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আমীর আলী বলেন, ‘তোমরা এমন একটা সময় জন্মেছ, যে সময়টাতে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ চলছে। প্রযুক্তির এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে তোমরা অন্য রকম বাংলাদেশ গড়বে।’
কৃতীদের মাদক ও দুর্নীতিকে ‘না’ বলার শপথ পাঠ করান প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আবুল হাসনাত। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর নীলফামারী প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান। আরও বক্তব্য দেন, নীলফামারী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ সরকার ও সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের কৃতী শিক্ষার্থী শামীমা আফরোজ।
বক্তৃতা পর্ব শেষে বন্ধুসভার সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। এ সময় কৃতীদের মধ্যে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে। কৌতুক পরিবেশন করে ট্যাঙ্গনমারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের রাজিউল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের রোকনুজ্জামান। গান গেয়ে শোনায় সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের তানজিম আলম ও শিহাবুল ইসলাম।
দুপুর ১২টার দিকে কৃতীদের হাতে অভিনন্দনপত্র ও সঞ্চারক তুলে দেওয়া হয়।
মাগুরা: মাগুরার আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় ‘বদলে যাও বদলে দাও’ গানের সঙ্গে বন্ধুসভার ছন্দা পালের পরিচালনায় দলীয় নৃত্যের মাধ্যমে। কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই অনুষ্ঠানের এমন শুরু সবাইকে চমকে দেয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃতী শিক্ষার্থীদের মঞ্চে ডেকে নেওয়া হয়। মঞ্চে তাদের ফুল ছিটিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ছোট্ট বন্ধু সেবন্তি। পরে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মাগুরা প্রতিনিধি কবির হোসেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসতে পেরে যারপরনাই খুশি কৃতী শিক্ষার্থী শিকদার সঞ্চিতা তাসনিম। সে বলে, ‘ভাবতাম, যদি এ রকম অনুষ্ঠানে কৃতীদের সঙ্গে বসতে পারতাম! আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।’
বন্ধুসভার উপদেষ্টা মফুজার রহমান বলেন, ‘মানুষ অনন্ত সম্ভাবনা নিয়ে জন্মায়। চেষ্টাই সেই সম্ভাবনাকে বিকশিত করে।’ তিনি নিজ উদ্যোগে ‘গোল্ডেন জিপিএ’ পাওয়া শিক্ষার্থীদের একটি করে বই উপহার দেন। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ এলিয়াছ হোসেন। কৃতীদের উদ্দেশে প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক জাফর আহমদ বলেন, ‘তোমরা প্রত্যেকে সফল হও, তাতে বাংলাদেশ সফল হবে।’
বক্তৃতা পর্বের পর কৃতীদের মধ্যে অভিনন্দনপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া ফলাফলের দিক থেকে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার রায়ের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পরে সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল চমক। ছোট্ট শিশুদের দলীয় নাচ, আবৃত্তি এবং ইভ টিজিংয়ের ওপর মূকাভিনয় সবাইকে মুগ্ধ করে।
No comments