আমার ভাষা আমার একুশ-ভাষা জরিপ ও তথ্য সংগ্রহ কেন প্রয়োজন by সৌরভ সিকদার
আজ থেকে এক শ বছর আগে জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন ‘ভারতীয় ভাষাসমূহের জরিপ’ (Linguistic Survey of India) শুরু করেন। ১৮৯৮ সালে জরিপ শুরু করে ৩০ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি ১৯২৭ সালে প্রকাশ করেন বিপুলায়তনের ২০ খণ্ডের গ্রন্থ।
এ জরিপে তিনি ভারতবর্ষে প্রচলিত ১৭৯টি ভাষা এবং ৫৪৪টি উপভাষার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার এবং ভাষার নমুনা উপস্থাপন করেন। এখন পর্যন্ত এটি ভারতবর্ষের মধ্যে ভাষাবিষয়ক গবেষণা-জরিপের সর্ববৃহত্ কাজই নয়, ‘ভারতীয় ভাষাসমূহের জরিপ’ আকর গ্রন্থরূপে বিবেচিত। এই গ্রন্থের পঞ্চম খণ্ডে রয়েছে বাংলা ভাষাবিষয়ক আলোচনা। এরপর অনেক বছর পার হলেও বাংলা ভাষা বিষয়ে আর কোনো জরিপ হয়নি। অথচ ভাষা-পরিকল্পনা শুধু নয়, ভাষাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ভাষিক তথ্য-উপাত্ত খুবই জরুরি। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব মানচিত্র হলেও আমাদের ভাষা বিষয়ে সমকালীন কোনো সম্পূর্ণ তথ্য বা তথ্যভাণ্ডার আমরা তৈরি করতে পারিনি। ২০০৭ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি ‘বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা’ নামে প্রকাশিত গ্রন্থের ষষ্ঠ খণ্ডে বাংলাদেশের ১৫টি অঞ্চলের উপভাষার পরিচয় এবং ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে প্রচলিত ভাষাগুলোর পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে পারে এমন কাজ আমরা করতে পারিনি।
জরিপ বা সার্ভে বলতে বোঝায়, মূলত কোনো কিছু পরিমাপ বা ধারণা করার জন্য উপাত্ত সংগ্রহ। ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা জরিপ ভাষার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এবং ভাষাবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রয়োজন। অথচ বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা নিবন্ধ আমাদের চোখে পড়ে না। মূলত আঞ্চলিক ভাষার বৈচিত্র্য বা ভিন্নতা পর্যবেক্ষণ করতেই শুরু হয়েছিল ভাষা জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। পরে ভাষাবিজ্ঞানে এ শাখাটির উন্নয়ন ও বিস্তার ঘটেছে বিশ্বব্যাপী। বিশ শতকে এসে ভাষা জরিপ তার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং ম্যাক্রোলিঙ্গুইস্টিক পর্যায়ে তার বিচরণ নিশ্চিত করেছে। ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা জরিপ অন্য দশটি সাধারণ জরিপের মতোই। তবে এ গবেষণা ও প্রয়োগের ক্ষেত্র ভিন্ন। কতসংখ্যক বক্তা রয়েছেন, কোনো নির্দিষ্ট ভাষা তাঁরা ব্যবহার করেন, যার মধ্যে প্রশ্ন বলার ধরন এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন—ভৌগোলিক অবস্থান, বয়স এবং প্রজন্ম, স্বাক্ষরতা, লিঙ্গ, বর্ণ, শ্রেণী এবং আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের অনেক সুযোগ থাকে। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ভাষাতাত্ত্বিক জরিপের।
প্রায় সব দেশেই সরকারি উদ্যোগে আদমশুমারি বা জনগণনা করা হয়। আমাদের দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে এই বিশাল জরিপ করা হয়ে থাকে, অনেক সময় এই জরিপের মধ্যেই ভাষাবিষয়ক তথ্য পাওয়া যায়। যদিও ২০০১ সালের আমাদের জরিপে (পিএসআর) এ তথ্য নেই। ভারতীয় শুমারিতে দ্বিভাষিকতার অন্তর্ভুক্তি আপেক্ষিকভাবে বেশি বলে এটিকেও গুরুত্বসহকারে গণনা করা হয়।
নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন-পরিকল্পনার পূর্বশর্ত হচ্ছে হাতের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত থাকা। আর এই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার উপায় হচ্ছে গবেষণা এবং জরিপ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত শুধু ভাষাভিত্তিক কোনো জরিপ বা সার্ভে হয়নি। ২০০১-এর পূর্ব পর্যন্ত যে জনগণ বা পপুলেশন সেন্সাস রিপোর্ট হতো, সেখানে ভাষাবিষয়ক কিছু তথ্য পাওয়া যেত। যেমন—চাকমা বা সাঁওতালি ভাষার কথক কতজন, খুমিদের জনসংখ্যা কত প্রভৃতি। কিন্তু ২০০১ সালের জনগণনায় এ তথ্য সংগ্রহ বাদ পড়ে যায়। ফলে এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়া এ দেশে অন্য ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এবং তাদের ভাষিক অবস্থান সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ ভারতে প্রতি ১০ বছর পর পর যে জনগণনা হয়, সেখানে একই সঙ্গে ভাষাভিত্তিক প্রশ্নমালা সংযোজন করে সেখানকার কতজন কোন কোন ভাষায় কথা বলে, তাদের দ্বিতীয় ভাষা কী, তারা কোন কোন অঞ্চলে বাস করে—এসব তথ্য সংগ্রহ করে প্রদেশভিত্তিক ‘সেন্সাস অব ইন্ডিয়া: ল্যাঙ্গুয়েজ’ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। গত শতকের আশির দশকে প্রায় ১০ বছরের প্রচেষ্টায় শুধু উড়িষ্যা রাজ্যের ভাষা জরিপ সমাপ্ত করে তা ২০০২ সালে প্রকাশ করেছে। ক্রমান্বয়ে তারা অন্যান্য প্রদেশের ভাষা জরিপ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং আয়তন বিবেচনা করে পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এ রকম একটি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো সরকারই এ উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেনি কোনো সরকার।
এ বিষয়ে ভাষাবিজ্ঞানী মনিরুজ্জামান আমাদের জানান— ‘বাংলাদেশে ভাষা জরিপ না হওয়ার প্রধান কারণ, এটি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয় সে সম্পর্কে আমাদের চেতনা এবং সচেতনতা কোনোটিই নেই। অথচ এটি প্রয়োজন ছিল এ জন্য যে, এর ফলে আমরা বাংলা ভাষা এবং এর উপভাষা বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পেতাম, দ্বিতীয়ত ভাষা-বৈচিত্র্য বিষয়ে আমাদের ধারণা স্পষ্ট হতে এবং তৃতীয়ত ভাষার প্রকৃত ইতিহাস ও বিবর্তন জানতে ভাষিক উপাত্ত প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ভাষা বিষয়ে আমাদের প্রত্নধারণাকেও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম। ভাষা জরিপ না হওয়ায় আমাদের উন্নয়ন ও গবেষণা ক্ষেত্রে ভাষাবিষয়ক পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন সম্ভব হচ্ছে না। আমি মনে করি, অন্তত জনগণনায় ভাষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যাঁরা এ বিষয়ে কাজ করবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তা সম্ভব এবং সে সুযোগও আমাদের আছে, নেই শুধু উদ্যোগ। সরকার যদি এ বিষয়ে মনোযোগ দেয় তাহলে দেশ উপকৃত হবে। আমরা পৃথিবীকেও জানাতে পারব আমাদের ভাষা নিয়ে কাজ করার যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত তৈরি রয়েছে। বাংলাদেশে ভাষা জরিপ করা শুধু প্রয়োজনই নয়, জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণও।’
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ভাষা জরিপের গুরুত্ব অধিক বলে ভাষাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। এ ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশে অর্থাভাবে বৃহত্ জরিপ (যেমন LSI) সম্ভব না হলেও জাতীয় প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সীমিত আয়তনের ভাষা জরিপ, এমনকি স্থানীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা বিষয়ে জরিপ করা খুব কঠিন কাজ নয়। প্রয়োজন সরকার বা রাষ্ট্রের আন্তরিকতা এবং উদ্যোগী ভাষা-গবেষক।
সৌরভ সিকদার: অধ্যাপক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জরিপ বা সার্ভে বলতে বোঝায়, মূলত কোনো কিছু পরিমাপ বা ধারণা করার জন্য উপাত্ত সংগ্রহ। ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা জরিপ ভাষার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এবং ভাষাবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রয়োজন। অথচ বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা নিবন্ধ আমাদের চোখে পড়ে না। মূলত আঞ্চলিক ভাষার বৈচিত্র্য বা ভিন্নতা পর্যবেক্ষণ করতেই শুরু হয়েছিল ভাষা জরিপের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। পরে ভাষাবিজ্ঞানে এ শাখাটির উন্নয়ন ও বিস্তার ঘটেছে বিশ্বব্যাপী। বিশ শতকে এসে ভাষা জরিপ তার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং ম্যাক্রোলিঙ্গুইস্টিক পর্যায়ে তার বিচরণ নিশ্চিত করেছে। ভাষাবিজ্ঞানে ভাষা জরিপ অন্য দশটি সাধারণ জরিপের মতোই। তবে এ গবেষণা ও প্রয়োগের ক্ষেত্র ভিন্ন। কতসংখ্যক বক্তা রয়েছেন, কোনো নির্দিষ্ট ভাষা তাঁরা ব্যবহার করেন, যার মধ্যে প্রশ্ন বলার ধরন এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য যেমন—ভৌগোলিক অবস্থান, বয়স এবং প্রজন্ম, স্বাক্ষরতা, লিঙ্গ, বর্ণ, শ্রেণী এবং আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের অনেক সুযোগ থাকে। আর এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ভাষাতাত্ত্বিক জরিপের।
প্রায় সব দেশেই সরকারি উদ্যোগে আদমশুমারি বা জনগণনা করা হয়। আমাদের দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে এই বিশাল জরিপ করা হয়ে থাকে, অনেক সময় এই জরিপের মধ্যেই ভাষাবিষয়ক তথ্য পাওয়া যায়। যদিও ২০০১ সালের আমাদের জরিপে (পিএসআর) এ তথ্য নেই। ভারতীয় শুমারিতে দ্বিভাষিকতার অন্তর্ভুক্তি আপেক্ষিকভাবে বেশি বলে এটিকেও গুরুত্বসহকারে গণনা করা হয়।
নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়ন-পরিকল্পনার পূর্বশর্ত হচ্ছে হাতের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত থাকা। আর এই তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার উপায় হচ্ছে গবেষণা এবং জরিপ। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত শুধু ভাষাভিত্তিক কোনো জরিপ বা সার্ভে হয়নি। ২০০১-এর পূর্ব পর্যন্ত যে জনগণ বা পপুলেশন সেন্সাস রিপোর্ট হতো, সেখানে ভাষাবিষয়ক কিছু তথ্য পাওয়া যেত। যেমন—চাকমা বা সাঁওতালি ভাষার কথক কতজন, খুমিদের জনসংখ্যা কত প্রভৃতি। কিন্তু ২০০১ সালের জনগণনায় এ তথ্য সংগ্রহ বাদ পড়ে যায়। ফলে এ মুহূর্তে বাংলা ছাড়া এ দেশে অন্য ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এবং তাদের ভাষিক অবস্থান সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ ভারতে প্রতি ১০ বছর পর পর যে জনগণনা হয়, সেখানে একই সঙ্গে ভাষাভিত্তিক প্রশ্নমালা সংযোজন করে সেখানকার কতজন কোন কোন ভাষায় কথা বলে, তাদের দ্বিতীয় ভাষা কী, তারা কোন কোন অঞ্চলে বাস করে—এসব তথ্য সংগ্রহ করে প্রদেশভিত্তিক ‘সেন্সাস অব ইন্ডিয়া: ল্যাঙ্গুয়েজ’ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। গত শতকের আশির দশকে প্রায় ১০ বছরের প্রচেষ্টায় শুধু উড়িষ্যা রাজ্যের ভাষা জরিপ সমাপ্ত করে তা ২০০২ সালে প্রকাশ করেছে। ক্রমান্বয়ে তারা অন্যান্য প্রদেশের ভাষা জরিপ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং আয়তন বিবেচনা করে পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে এ রকম একটি কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। অথচ আজ পর্যন্ত কোনো সরকারই এ উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেনি কোনো সরকার।
এ বিষয়ে ভাষাবিজ্ঞানী মনিরুজ্জামান আমাদের জানান— ‘বাংলাদেশে ভাষা জরিপ না হওয়ার প্রধান কারণ, এটি যে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় বিষয় সে সম্পর্কে আমাদের চেতনা এবং সচেতনতা কোনোটিই নেই। অথচ এটি প্রয়োজন ছিল এ জন্য যে, এর ফলে আমরা বাংলা ভাষা এবং এর উপভাষা বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পেতাম, দ্বিতীয়ত ভাষা-বৈচিত্র্য বিষয়ে আমাদের ধারণা স্পষ্ট হতে এবং তৃতীয়ত ভাষার প্রকৃত ইতিহাস ও বিবর্তন জানতে ভাষিক উপাত্ত প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে ভাষা বিষয়ে আমাদের প্রত্নধারণাকেও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম। ভাষা জরিপ না হওয়ায় আমাদের উন্নয়ন ও গবেষণা ক্ষেত্রে ভাষাবিষয়ক পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন সম্ভব হচ্ছে না। আমি মনে করি, অন্তত জনগণনায় ভাষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। যাঁরা এ বিষয়ে কাজ করবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তা সম্ভব এবং সে সুযোগও আমাদের আছে, নেই শুধু উদ্যোগ। সরকার যদি এ বিষয়ে মনোযোগ দেয় তাহলে দেশ উপকৃত হবে। আমরা পৃথিবীকেও জানাতে পারব আমাদের ভাষা নিয়ে কাজ করার যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত তৈরি রয়েছে। বাংলাদেশে ভাষা জরিপ করা শুধু প্রয়োজনই নয়, জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণও।’
উন্নয়নশীল দেশের জন্য ভাষা জরিপের গুরুত্ব অধিক বলে ভাষাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। এ ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশে অর্থাভাবে বৃহত্ জরিপ (যেমন LSI) সম্ভব না হলেও জাতীয় প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সীমিত আয়তনের ভাষা জরিপ, এমনকি স্থানীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষা বিষয়ে জরিপ করা খুব কঠিন কাজ নয়। প্রয়োজন সরকার বা রাষ্ট্রের আন্তরিকতা এবং উদ্যোগী ভাষা-গবেষক।
সৌরভ সিকদার: অধ্যাপক, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments