আমাদের রবীন্দ্রনাথ-সত্তায় অখণ্ড, চেতনায় অবিচ্ছেদ্য
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমাদের প্রাণের কবি। সব সময় আমাদের সংকটে তিনি আমাদের পরম আশ্রয়। আমাদের ব্যক্তি, সমাজ এমনকি জাতীয় জীবনে রবীন্দ্রনাথ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন। কালজয়ী মানুষ তিনি। নোবেলজয়ী প্রথম বাঙালি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে তিনি পূর্ণতা দিয়েছেন। সাহিত্যের সব শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতার পথে রবীন্দ্রনাথই দিশারী, দিকনির্দেশক। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সত্তার এক অবিভাজ্য অংশ। কবিগুরুর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গত বছর আয়োজিত বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তি ও ১৫১তম জন্মবার্ষিকীর উদ্বোধন হয়েছে গত রবিবার।
বাঙালির মানসলোক নির্মাণে যিনি নিরলস কাজ করেছেন তিনি রবীন্দ্রনাথ। বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক তিনি। তাঁর জীবনে বাংলাদেশের প্রভাব যেমন পড়েছে, তেমনি বাঙালির জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব পড়েছে। রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করার উপায় নেই বাঙালির। বাঙালির সংকটে ও সম্ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ সব সময় আশ্রয় হিসেবেই বিবেচিত হয়েছেন। আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা তিনি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে তাঁর গান ও কবিতা। একটি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্য কোনো কবি এভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন- এমন উদাহরণ আর একটি বোধ হয় মিলবে না। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রবীন্দ্রনাথ সব সময় আমাদের প্রেরণা। কেউ কেউ বলে থাকেন, রবীন্দ্রনাথ এ বিশ্বের এক মহাবিস্ময়। জন্মের ১৫১ বছর পরও রবীন্দ্র সাহিত্য আজ পাঠকের কাছে সমান আগ্রহের বিষয়। শুধু বাংলা ভাষাভাষী বা বাঙালিকে নয়, বিশ্বসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ আজ বহুল পঠিত। দেশের সীমানা অতিক্রম করেছেন তিনি। স্বদেশ-বন্দনায় রবীন্দ্রনাথ নিজেই উপমহাদেশের সব বিচ্ছিন্ন ও বিপরীত মানবসত্তাকে এক মহামানবের কাতারে শামিল করতে চেয়েছেন। সেখানেও থেমে থাকেননি। জীবনের পরিণত অন্তিম সময়ে বিশ্বের সভ্যতাগ্রাসী সমরশক্তির বিরুদ্ধে সব মানবজাতির ঐক্য কামনা করে আহ্বান জানিয়েছেন এক মহামানবকে। মানুষের ঐক্যবদ্ধ শুভশক্তির অভ্যুত্থান চেয়েছেন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। কালজয়ী রবীন্দ্রনাথ ১৫১ বছর পরও আজও শুধু বাংলাভাষীর কাছেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী এমনকি ক্ষুদ্র আঞ্চলিক জাতিসত্তার মানুষের কাছেও প্রাসঙ্গিক।
পাকিস্তান আমলে, পরাধীনতার সময়ে রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করার নানা চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু তাঁকে আমাদের জীবন থেকে মুছে ফেলা যায়নি। রবীন্দ্রনাথ সব সময় আমাদের ছুঁয়ে আছেন তাঁর অসাধারণ সৃজনশীলতা দিয়ে। তাঁকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাঁকে মুছে ফেলার সব চেষ্টা তাই ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অপচেষ্টা যাঁরা করেছিলেন ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে তাঁরা নিক্ষিপ্ত; কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আজও ভাস্বর আমাদের সবার কাছে। রবীন্দ্রনাথ নিজেও লিখেছেন, 'আসব যাব চিরদিনের এই আমি। এভাবেই তিনি নিজেই নিজেকে নানাভাবে চির অম্লান, চিরঞ্জীব করে রেখে গেছেন। বাংলা ১৪০০ সনের কথা মনে করে ১৩০২ সনের ২ ফাল্গুন তিনি লিখে গেছেন : 'আজি হতে শতবর্ষ পরে/কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি/কৌতূহলভরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে!' শতবর্ষ পরেই নয়, দেড় শ বছর পরও রবীন্দ্রনাথ সমান আগ্রহে পঠিত। আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং সমাজের সর্বস্তরে পালন করা হচ্ছে কবিগুরুর জন্মদিন।
আগেই বলা হয়েছে, বাঙালির সত্তা থেকে রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার কাঁচি চালিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দ্বিখণ্ডিত করা যায়নি, বাঙালি সংস্কৃতিকে দ্বিখণ্ডিত করা যায়নি। বাঙালির সত্তায় রবীন্দ্রনাথ অখণ্ড, অবিচ্ছেদ্যই রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য, আমাদের সম্মুখগামিতা, আমাদের প্রগতি ও অমরত্বের প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ আমাদের চিন্তাচেতনা ও আবেগে অমর ও অবিনশ্বর।
আজ কবিগুরুর ১৫১তম জন্মদিনে আমরা তাঁকে স্মরণ করি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।
বাঙালির মানসলোক নির্মাণে যিনি নিরলস কাজ করেছেন তিনি রবীন্দ্রনাথ। বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক তিনি। তাঁর জীবনে বাংলাদেশের প্রভাব যেমন পড়েছে, তেমনি বাঙালির জীবনে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব পড়েছে। রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করার উপায় নেই বাঙালির। বাঙালির সংকটে ও সম্ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ সব সময় আশ্রয় হিসেবেই বিবেচিত হয়েছেন। আমাদের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা তিনি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে তাঁর গান ও কবিতা। একটি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্য কোনো কবি এভাবে প্রভাব বিস্তার করেছেন- এমন উদাহরণ আর একটি বোধ হয় মিলবে না। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রবীন্দ্রনাথ সব সময় আমাদের প্রেরণা। কেউ কেউ বলে থাকেন, রবীন্দ্রনাথ এ বিশ্বের এক মহাবিস্ময়। জন্মের ১৫১ বছর পরও রবীন্দ্র সাহিত্য আজ পাঠকের কাছে সমান আগ্রহের বিষয়। শুধু বাংলা ভাষাভাষী বা বাঙালিকে নয়, বিশ্বসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ আজ বহুল পঠিত। দেশের সীমানা অতিক্রম করেছেন তিনি। স্বদেশ-বন্দনায় রবীন্দ্রনাথ নিজেই উপমহাদেশের সব বিচ্ছিন্ন ও বিপরীত মানবসত্তাকে এক মহামানবের কাতারে শামিল করতে চেয়েছেন। সেখানেও থেমে থাকেননি। জীবনের পরিণত অন্তিম সময়ে বিশ্বের সভ্যতাগ্রাসী সমরশক্তির বিরুদ্ধে সব মানবজাতির ঐক্য কামনা করে আহ্বান জানিয়েছেন এক মহামানবকে। মানুষের ঐক্যবদ্ধ শুভশক্তির অভ্যুত্থান চেয়েছেন অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। কালজয়ী রবীন্দ্রনাথ ১৫১ বছর পরও আজও শুধু বাংলাভাষীর কাছেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী এমনকি ক্ষুদ্র আঞ্চলিক জাতিসত্তার মানুষের কাছেও প্রাসঙ্গিক।
পাকিস্তান আমলে, পরাধীনতার সময়ে রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করার নানা চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু তাঁকে আমাদের জীবন থেকে মুছে ফেলা যায়নি। রবীন্দ্রনাথ সব সময় আমাদের ছুঁয়ে আছেন তাঁর অসাধারণ সৃজনশীলতা দিয়ে। তাঁকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাঁকে মুছে ফেলার সব চেষ্টা তাই ব্যর্থ হয়ে গেছে। এই অপচেষ্টা যাঁরা করেছিলেন ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে তাঁরা নিক্ষিপ্ত; কিন্তু রবীন্দ্রনাথ আজও ভাস্বর আমাদের সবার কাছে। রবীন্দ্রনাথ নিজেও লিখেছেন, 'আসব যাব চিরদিনের এই আমি। এভাবেই তিনি নিজেই নিজেকে নানাভাবে চির অম্লান, চিরঞ্জীব করে রেখে গেছেন। বাংলা ১৪০০ সনের কথা মনে করে ১৩০২ সনের ২ ফাল্গুন তিনি লিখে গেছেন : 'আজি হতে শতবর্ষ পরে/কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি/কৌতূহলভরে, আজি হতে শতবর্ষ পরে!' শতবর্ষ পরেই নয়, দেড় শ বছর পরও রবীন্দ্রনাথ সমান আগ্রহে পঠিত। আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে এবং সমাজের সর্বস্তরে পালন করা হচ্ছে কবিগুরুর জন্মদিন।
আগেই বলা হয়েছে, বাঙালির সত্তা থেকে রবীন্দ্রনাথকে মুছে ফেলার অনেক চেষ্টা হয়েছে; কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার কাঁচি চালিয়ে রবীন্দ্রনাথকে দ্বিখণ্ডিত করা যায়নি, বাঙালি সংস্কৃতিকে দ্বিখণ্ডিত করা যায়নি। বাঙালির সত্তায় রবীন্দ্রনাথ অখণ্ড, অবিচ্ছেদ্যই রয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য, আমাদের সম্মুখগামিতা, আমাদের প্রগতি ও অমরত্বের প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ আমাদের চিন্তাচেতনা ও আবেগে অমর ও অবিনশ্বর।
আজ কবিগুরুর ১৫১তম জন্মদিনে আমরা তাঁকে স্মরণ করি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়।
No comments