ধর্ম-আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি ভালোবাসা by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
সমগ্র সৃষ্টি তার স্রষ্টাকে ভালোবাসে, আর স্রষ্টা নিজে তাঁর সর্বোত্তম সৃষ্টি ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে ভালোবাসেন। মানবীয় গুণাবলির বিকাশ সাধন, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং পরপারে পরিত্রাণ লাভ নবী করিম (সা.)-এর সুমহান আদর্শ বাস্তবায়ন ও তাঁর মুহাব্বত অন্তরে স্থান দেওয়া ব্যতীত কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
আল্লাহর প্রতি মুহাব্বত সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সুতরাং এই ভালোবাসা সত্যিকারভাবে আল্লাহর আনুগত্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হবে। যাকে জান-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসা যায়, তার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করাই হচ্ছে ভালোবাসার প্রকৃত পরিচয়। এটাই মূলত মুহাব্বত ও গভীরতম ভালোবাসার আদর্শ। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে মানবপ্রেম সম্পর্কে ঘোষণা করেছেন, ‘এবং তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে পরস্পর ভালোবাসা ও দয়া।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত-২১)
ইসলামি শরিয়তে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি মুহাব্বত ও ভালোবাসা পোষণ করা একটি অপরিহার্য কর্তব্য, যার অবর্তমানে ঈমানই পরিশুদ্ধ হয় না। তাঁর প্রতি মুহাব্বত ঈমান লাভ ও ঈমানি বলে বলীয়ান হওয়ার পূর্বশর্ত এবং নাজাতের উসিলা। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-এর মুহাব্বতে মাতোয়ারা হয়ে তাঁকে ‘হাবিবুল্লাহ’ খেতাবে ভূষিত করে মর্যাদার উচ্চাসনে স্থান দিয়েছেন। ‘হাবিবুল্লাহ’ অর্থ ‘মাহবুবুল্লাহ’ তথা আল্লাহর প্রিয়। তাঁর প্রতি ভালোবাসা পোষণের নমুনা পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে লক্ষ করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুহাম্মদ! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ করো। আমাকে অনুসরণ করলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন এবং আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত-৩১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন একজন আদর্শ মহামানব, যাঁর প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধা, অকৃত্রিম ভক্তি ও হূদয় নিংড়ানো ভালোবাসা সীমাহীন। যিনি সকলের প্রশংসার ঊর্ধ্বে, যাঁর চরিত্র মাধুরীকে পবিত্র কোরআনে ‘খুলুকে আযীম’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রাক-ইসলামি যুগেও যিনি শত্রুদের মধ্যে ছিলেন ‘আল-আমীন’ বা বিশ্বাসী ও ‘আস-সাদিক’ বা সত্যবাদী নামে অভিহিত। যাঁর নাম মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গে মনের অজান্তে হূদয় আঙিনায় অজস্র শ্রদ্ধা, ভক্তি, মায়া-মমতা ও ভালোবাসা জমা হয়। আর শুকনো হূদয় নবীপ্রেমের অজস্র বারিধারায় সিক্ত হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর মুহাব্বতের দাবিদার, তার কথায়, কাজে, চিন্তায়, চর্চায় এককথায় জীবনের প্রতিটি স্তরে মহানবী (সা.)-এর পরিপূর্ণ অনুসরণ পরিলক্ষিত হবে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘রাসুল তোমাদের যা আদেশ করেছেন তোমরা তা পালন করো এবং যা নিষেধ করেছেন তোমরা তা বর্জন করো।’ (সূরা আল-হাশর, আয়াত-৭)
একবার জনৈক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে মুহাব্বতের দাবি করল, এ কথা শুনে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘দারিদ্র্য ও দুঃখ-কষ্টের জন্য তৈরি হও।’ তারপর সে লোকটি আবার বলল, ‘আমি আল্লাহকে মুহাব্বত করি।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তাহলে বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো।’ অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, একজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে রাসুলুল্লাহ (সা.)! কিয়ামত কবে হবে?’ এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে নবীজি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করে বললেন, ‘যে কিয়ামতের অপেক্ষায় তুমি আছ তার জন্য তোমার প্রস্তুতি কী?’ এ প্রশ্ন শুনে সাহাবি বড় ঘাবড়ে গেলেন। অতঃপর বললেন, ‘কিয়ামতের জন্য আমার কোনো প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আমার একটি জিনিস আছে আর তা হচ্ছে আল্লাহর হাবিবের প্রতি অন্তরের ভালোবাসা।’ সাহাবির মুখে এ কথা শুনে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘তোমার অন্তরের সম্পর্ক যার সঙ্গে আছে, তোমার হাশরও হবে তার সঙ্গে।’
সৃষ্টিগত দাবি অনুসারেই মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহ যার পথ অনুসরণ করতে বলেছেন, তার পথ অনুসরণ করবে। সে ভালোবাসা হবে সব ভালোবাসার ঊর্ধ্বে এবং সে পথ হবে সব পথের ঊর্ধ্বে; তাহলেই হবে সৃষ্টির সার্থকতা। স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সুসম্পর্ক। মহানবী (সা.)-এর অনুসরণের জন্য মানুষকে দুটি পুরস্কারের ঘোষণা রয়েছে, ১. আল্লাহ তাআলা মানুষকে মুহাব্বত করবেন, ২. তার গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর এ দুটি প্রাপ্তি আসবে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে মুহাব্বত করার মাধ্যমে। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকে মুহাব্বত করল, যে ব্যক্তি আমাকে মুহাব্বত করল সে যেন বেহেশতে আমারই সান্নিধ্যে থাকবে।’ (তিরমিজি) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালোবাসা মানে আল্লাহকে ভালোবাসা, তাঁর প্রতি আনুগত্য আল্লাহর প্রতিই আনুগত্য, তাঁর হাতে বায়আত গ্রহণ আল্লাহর হাতেই বায়আত গ্রহণ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা আপনার কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছেই আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর কুদরতের হাত তাদের হাতের ওপর রয়েছে।’ (সূরা আল-ফাতহ, আয়াত-১০)
অতএব, আল্লাহ তাআলার কৃপাদৃষ্টি লাভ করতে হলে তাঁর প্রিয়তম রাসুলে করিম (সা.)-এর প্রতি সর্বাধিক মুহাব্বত রাখতে হবে এবং তাঁর পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে। মহান আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমা পেতে হলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। আসুন, ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে’ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি মুহাব্বত ও ভালোবাসা প্রকাশ করে ইহকালীন ও পরকালীন সুখ লাভ করি। বিশ্বনবী (সা.)-এর প্রতি পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা রেখে তাঁর নীতি-আদর্শ, শিক্ষা তথা আল্লাহর বিধানগুলো ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ-রাষ্ট্র ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর সুন্নত পালনে ও প্রশিক্ষণে সর্বতোভাবে সফল হতে পারি এবং তাঁর খাঁটি উম্মত হিসেবে আল্লাহর দরবারে কবুলিয়াত হাসিল করতে সমর্থ হই এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আদর্শ-শিক্ষা ও নীতিমালার প্রতি অনুপ্রাণিত করতে পারি মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক একাডেমি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
dr.munimkhan@yahoo.com
ইসলামি শরিয়তে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি মুহাব্বত ও ভালোবাসা পোষণ করা একটি অপরিহার্য কর্তব্য, যার অবর্তমানে ঈমানই পরিশুদ্ধ হয় না। তাঁর প্রতি মুহাব্বত ঈমান লাভ ও ঈমানি বলে বলীয়ান হওয়ার পূর্বশর্ত এবং নাজাতের উসিলা। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-এর মুহাব্বতে মাতোয়ারা হয়ে তাঁকে ‘হাবিবুল্লাহ’ খেতাবে ভূষিত করে মর্যাদার উচ্চাসনে স্থান দিয়েছেন। ‘হাবিবুল্লাহ’ অর্থ ‘মাহবুবুল্লাহ’ তথা আল্লাহর প্রিয়। তাঁর প্রতি ভালোবাসা পোষণের নমুনা পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে লক্ষ করা যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুহাম্মদ! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ করো। আমাকে অনুসরণ করলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহগুলো মাফ করে দেবেন এবং আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত-৩১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন একজন আদর্শ মহামানব, যাঁর প্রতি মানুষের গভীর শ্রদ্ধা, অকৃত্রিম ভক্তি ও হূদয় নিংড়ানো ভালোবাসা সীমাহীন। যিনি সকলের প্রশংসার ঊর্ধ্বে, যাঁর চরিত্র মাধুরীকে পবিত্র কোরআনে ‘খুলুকে আযীম’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। প্রাক-ইসলামি যুগেও যিনি শত্রুদের মধ্যে ছিলেন ‘আল-আমীন’ বা বিশ্বাসী ও ‘আস-সাদিক’ বা সত্যবাদী নামে অভিহিত। যাঁর নাম মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গে মনের অজান্তে হূদয় আঙিনায় অজস্র শ্রদ্ধা, ভক্তি, মায়া-মমতা ও ভালোবাসা জমা হয়। আর শুকনো হূদয় নবীপ্রেমের অজস্র বারিধারায় সিক্ত হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর মুহাব্বতের দাবিদার, তার কথায়, কাজে, চিন্তায়, চর্চায় এককথায় জীবনের প্রতিটি স্তরে মহানবী (সা.)-এর পরিপূর্ণ অনুসরণ পরিলক্ষিত হবে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘রাসুল তোমাদের যা আদেশ করেছেন তোমরা তা পালন করো এবং যা নিষেধ করেছেন তোমরা তা বর্জন করো।’ (সূরা আল-হাশর, আয়াত-৭)
একবার জনৈক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে মুহাব্বতের দাবি করল, এ কথা শুনে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘দারিদ্র্য ও দুঃখ-কষ্টের জন্য তৈরি হও।’ তারপর সে লোকটি আবার বলল, ‘আমি আল্লাহকে মুহাব্বত করি।’ এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তাহলে বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবত সহ্য করার শক্তি সঞ্চয় করো।’ অন্য একটি বর্ণনায় এসেছে, একজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে রাসুলুল্লাহ (সা.)! কিয়ামত কবে হবে?’ এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে নবীজি তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করে বললেন, ‘যে কিয়ামতের অপেক্ষায় তুমি আছ তার জন্য তোমার প্রস্তুতি কী?’ এ প্রশ্ন শুনে সাহাবি বড় ঘাবড়ে গেলেন। অতঃপর বললেন, ‘কিয়ামতের জন্য আমার কোনো প্রস্তুতি নেই। কিন্তু আমার একটি জিনিস আছে আর তা হচ্ছে আল্লাহর হাবিবের প্রতি অন্তরের ভালোবাসা।’ সাহাবির মুখে এ কথা শুনে নবী করিম (সা.) বললেন, ‘তোমার অন্তরের সম্পর্ক যার সঙ্গে আছে, তোমার হাশরও হবে তার সঙ্গে।’
সৃষ্টিগত দাবি অনুসারেই মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসবে এবং আল্লাহ যার পথ অনুসরণ করতে বলেছেন, তার পথ অনুসরণ করবে। সে ভালোবাসা হবে সব ভালোবাসার ঊর্ধ্বে এবং সে পথ হবে সব পথের ঊর্ধ্বে; তাহলেই হবে সৃষ্টির সার্থকতা। স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির সুসম্পর্ক। মহানবী (সা.)-এর অনুসরণের জন্য মানুষকে দুটি পুরস্কারের ঘোষণা রয়েছে, ১. আল্লাহ তাআলা মানুষকে মুহাব্বত করবেন, ২. তার গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর এ দুটি প্রাপ্তি আসবে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে মুহাব্বত করার মাধ্যমে। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকে মুহাব্বত করল, যে ব্যক্তি আমাকে মুহাব্বত করল সে যেন বেহেশতে আমারই সান্নিধ্যে থাকবে।’ (তিরমিজি) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালোবাসা মানে আল্লাহকে ভালোবাসা, তাঁর প্রতি আনুগত্য আল্লাহর প্রতিই আনুগত্য, তাঁর হাতে বায়আত গ্রহণ আল্লাহর হাতেই বায়আত গ্রহণ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা আপনার কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছেই আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর কুদরতের হাত তাদের হাতের ওপর রয়েছে।’ (সূরা আল-ফাতহ, আয়াত-১০)
অতএব, আল্লাহ তাআলার কৃপাদৃষ্টি লাভ করতে হলে তাঁর প্রিয়তম রাসুলে করিম (সা.)-এর প্রতি সর্বাধিক মুহাব্বত রাখতে হবে এবং তাঁর পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে। মহান আল্লাহর দয়া, করুণা ও ক্ষমা পেতে হলে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। আসুন, ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে’ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি মুহাব্বত ও ভালোবাসা প্রকাশ করে ইহকালীন ও পরকালীন সুখ লাভ করি। বিশ্বনবী (সা.)-এর প্রতি পরম ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা রেখে তাঁর নীতি-আদর্শ, শিক্ষা তথা আল্লাহর বিধানগুলো ব্যক্তি-পরিবার, সমাজ-রাষ্ট্র ও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর সুন্নত পালনে ও প্রশিক্ষণে সর্বতোভাবে সফল হতে পারি এবং তাঁর খাঁটি উম্মত হিসেবে আল্লাহর দরবারে কবুলিয়াত হাসিল করতে সমর্থ হই এবং সারা পৃথিবীর মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আদর্শ-শিক্ষা ও নীতিমালার প্রতি অনুপ্রাণিত করতে পারি মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামিক একাডেমি, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments