অভিযুক্ত সাংসদদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত-সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য
সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, এমন কোনো সদস্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নিযুক্ত হবেন না, যাঁর ব্যক্তিগত, আর্থিক ও প্রত্যক্ষ স্বার্থ কমিটিতে বিবেচিত হতে পারে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ বিধিটি উপেক্ষা করে অন্তত ১৫ জন সাংসদকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য কোনো আর্থিক বা প্রত্যক্ষ স্বার্থ রয়েছে, যা বিভিন্ন সময় কমিটির বিবেচ্য বিষয় হতে পারে। তাঁদের কেউ কেউ শুধু সদস্যই নন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিও। অর্থাত্ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুবিধা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটা শুধু বিধিবহির্ভূত বিষয়ই নয়, অনৈতিকও বটে।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে চিফ হুইপ সংসদীয় কমিটি গঠন করেন, যা সংসদে অনুমোদনের পর কার্যকর হয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে চিফ হুইপের একটি দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেছেন, সাংসদদের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই স্থায়ী কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। তিনি এমনও বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ কেউ দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট সাংসদদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখানে দুটি প্রশ্ন ওঠে। প্রথমত, সাংসদেরা সঠিক তথ্য দিয়েছিলেন কি না, আর যদি সঠিক না হয়ে থাকে তাহলে তাঁরা শপথ লঙ্ঘন করেছেন কি না। কারণ সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে (১৪৮ অনুচ্ছেদ) বর্ণিত শপথে তাঁরা বলেছেন, ‘... এবং সংসদ-সদস্যরূপে আমার কর্তব্য পালনকে ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত হইতে দিব না।’ স্থায়ী কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রদত্ত তথ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্টতার সম্ভাব্য দিকগুলো যদি তাঁরা উল্লেখ না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কার্যত শপথবাক্যের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ কাজ করেছেন। সুতরাং বিষয়টি চিফ হুইপের যাচাই করে দেখা উচিত।
দ্বিতীয়ত, প্রথম আলোয় ওই সংবাদ প্রকাশের পর আট দিন পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে চিফ হুইপের কোনো বক্তব্য পাওয়া গেল না। অথচ প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তিনি বলেছিলেন। কেউ প্রমাণ দিতে আসবে, এমন আশা না করে বরং বিষয়টির তদন্তের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। সেটা না করায় প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী, মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে কি তাহলে ধরে নিতে হবে যে অভিযোগ সত্য? না হলে তিনি তো অন্তত একটু খোঁজখবর নিয়ে সংসদে এ ব্যাপারে হ্যাঁ-না কিছু বলতে পারতেন। এ রকম একটি গুরুতর বিষয়ে নীরবতা অবলম্বন কতটা যুক্তিসংগত?
বিশেষত, সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সদস্য যখন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সাংসদ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় তদবির করেছেন, যার ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে কার্যপ্রণালি বিধি উপেক্ষা করা হয়েছে। যদি এটা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে তদন্ত করে ফলাফল সংসদকে জানানো উচিত। চিফ হুইপের বলা উচিত, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এমন সাংসদ আছেন কি না, যাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কার্যপ্রণালি বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। এমন সাংসদ থাকলে তাঁদের ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে চিফ হুইপ সংসদীয় কমিটি গঠন করেন, যা সংসদে অনুমোদনের পর কার্যকর হয়। সুতরাং এ ক্ষেত্রে চিফ হুইপের একটি দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেছেন, সাংসদদের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই স্থায়ী কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। তিনি এমনও বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্টতার প্রমাণ কেউ দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট সাংসদদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখানে দুটি প্রশ্ন ওঠে। প্রথমত, সাংসদেরা সঠিক তথ্য দিয়েছিলেন কি না, আর যদি সঠিক না হয়ে থাকে তাহলে তাঁরা শপথ লঙ্ঘন করেছেন কি না। কারণ সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে (১৪৮ অনুচ্ছেদ) বর্ণিত শপথে তাঁরা বলেছেন, ‘... এবং সংসদ-সদস্যরূপে আমার কর্তব্য পালনকে ব্যক্তিগত স্বার্থের দ্বারা প্রভাবিত হইতে দিব না।’ স্থায়ী কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রদত্ত তথ্যে ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্টতার সম্ভাব্য দিকগুলো যদি তাঁরা উল্লেখ না করে থাকেন, তাহলে তাঁরা কার্যত শপথবাক্যের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ কাজ করেছেন। সুতরাং বিষয়টি চিফ হুইপের যাচাই করে দেখা উচিত।
দ্বিতীয়ত, প্রথম আলোয় ওই সংবাদ প্রকাশের পর আট দিন পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে চিফ হুইপের কোনো বক্তব্য পাওয়া গেল না। অথচ প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তিনি বলেছিলেন। কেউ প্রমাণ দিতে আসবে, এমন আশা না করে বরং বিষয়টির তদন্তের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। সেটা না করায় প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী, মৌনতা সম্মতির লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে কি তাহলে ধরে নিতে হবে যে অভিযোগ সত্য? না হলে তিনি তো অন্তত একটু খোঁজখবর নিয়ে সংসদে এ ব্যাপারে হ্যাঁ-না কিছু বলতে পারতেন। এ রকম একটি গুরুতর বিষয়ে নীরবতা অবলম্বন কতটা যুক্তিসংগত?
বিশেষত, সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সদস্য যখন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সাংসদ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন সময় তদবির করেছেন, যার ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে কার্যপ্রণালি বিধি উপেক্ষা করা হয়েছে। যদি এটা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই এ বিষয়ে তদন্ত করে ফলাফল সংসদকে জানানো উচিত। চিফ হুইপের বলা উচিত, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এমন সাংসদ আছেন কি না, যাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্টতা থাকার কারণে কার্যপ্রণালি বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। এমন সাংসদ থাকলে তাঁদের ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments