পদ্মা সেতু-দুর্নীতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলল বিশ্বব্যাংক by শওকত হোসেন
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ পরিচালক (কান্ট্রি ডিরেক্টর) অ্যালেন গোল্ডস্টেইন গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
অ্যালেন গোল্ডস্টেইন এ সময় আরও বলেন, তাঁরা গত সেপ্টেম্বর থেকেই পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির গুরুতর তথ্য সরকারকে দিয়ে আসছেন। সংস্থাটি মনে করে, এ নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে তদন্ত করেছে, তা সঠিক।
৭০ লাখ টাকার অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সরে যেতে হয়েছে গত সোমবার। এর ঠিক এক দিন পরই পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হলো বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে। বিশ্বব্যাংক গত সেপ্টেম্বরে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য দিয়েছিল।
গতকাল দেওয়া বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সংক্ষিপ্ত বিবৃতির পূর্ণ বিবরণ হচ্ছে, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে গুরুতর দুর্নীতির তথ্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়া শুরু করে। বিশ্বব্যাংক নিজস্ব তদন্তে আস্থা রাখে এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জোরালো অনুরোধ করব, যেন দেশের নিজস্ব আইন অনুসারে এই গুরুতর বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যদি কোনো তথ্যপ্রমাণ সরকারকে দিয়ে থাকে, তবে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে পারে সরকার। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০-৩০ বছর ধরেই এ ধরনের অভিযোগ উঠছে। তাই সরকারের অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কেননা, এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগত ঘটতে থাকলে দাতারা অর্থায়নে উৎসাহ হারাবে।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া দুর্নীতির তথ্য: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে গেলে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদনটি তাঁকে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতুর মূল অংশের প্রাক্-যোগ্যতা চুক্তি-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি-সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। অভিযোগগুলো মূলত যোগাযোগমন্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি সাকোর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যোগাযোগমন্ত্রী ও সাকোর কর্মকর্তারা মিলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেন যে সাকো হলো পদ্মা সেতু নির্মাণের যেকোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একধরনের নীরব প্রতিনিধি (সাইলেন্ট এজেন্ট)। কোনো কাজ পেতে হলে বা প্রাক্-যোগ্যতায় টিকতে হলে সাকোকে অর্থ দিতে হবে। সাকোর পক্ষ থেকে ঠিকাদারদের ভয়ভীতি দেখানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে। তাঁরা অবশ্য ভয় পাচ্ছিলেন। যাঁরা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ বিশ্বব্যাংককে দিয়েছেন, তাঁদের একটাই শর্ত ছিল, কোনোভাবেই তথ্যসূত্র যেন প্রকাশ করা না হয়। আশ্বাস দেওয়ার পরই তাঁরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেন এবং তথ্যপ্রমাণ হাজির করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাকোরই একজন প্রতিনিধি বিশ্বব্যাংককে জানান, পদ্মা সেতুর মূল অংশের জন্য যে চুক্তিমূল্য হবে, তার একটি নির্দিষ্ট অংশ সাকোর জন্য রাখার ব্যাপারে সৈয়দ আবুল হোসেনেরই নির্দেশনা ছিল। বলা হয়, সাকোকে নির্দিষ্ট কমিশন হিসাবে দেওয়া হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করবেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাকোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও যথেষ্ট পরিমাণ তথ্যপ্রমাণ বিশ্বব্যাংক পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত নভেম্বরে সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করলেও কোনো দুর্নীতি খুঁজে পায়নি বলে সরকারকে জানিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে কানাডার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের ওপর বিশ্বব্যাংক সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বিশ্বব্যাংককে আবুল হোসেনের চিঠি: পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি দাবি করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিককে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। সেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। সূত্র জানায়, চিঠিতে সৈয়দ আবুল হোসেন লেখেন, ‘কিছু ব্যর্থ দরদাতার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় আমি অবাক হয়েছি।’ চিঠিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ও নিজের ওপর থেকে ভিত্তিহীন অভিযোগের ব্যাপারে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে রবার্ট জোয়েলিকের প্রতি আবুল হোসেন আহ্বান জানান।
এই চিঠির বিষয়ে যোগাযোগ করলে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়। তবে বিশ্বব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, তাদের মনোভাব বিবৃতি আকারে দিয়েছেন অ্যালেন গোল্ডস্টেইন। বিশ্বব্যাংক মনে করে, দুর্নীতির তথ্য তারা সরকারকে বিভিন্ন সময়ে দিয়েছে এবং সরকারের উচিত তদন্ত করে স্থানীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। কেননা, এই দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা না হলে পদ্মা সেতুর স্থগিত হওয়া ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করে, এর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে চুক্তি করতে হলে তার আগে দাতাদের সঙ্গে করা চুক্তি অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, দাতা-সংক্রান্ত বিষয় দেখার দায়িত্ব ইআরডির। আর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুদক পদ্মা সেতু নিয়ে তদন্ত করেছে। নতুন করে তদন্ত করার কিছু নেই।
৭০ লাখ টাকার অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে সরে যেতে হয়েছে গত সোমবার। এর ঠিক এক দিন পরই পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হলো বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে। বিশ্বব্যাংক গত সেপ্টেম্বরে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য দিয়েছিল।
গতকাল দেওয়া বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরের সংক্ষিপ্ত বিবৃতির পূর্ণ বিবরণ হচ্ছে, ‘বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের কাছে পদ্মা সেতু প্রকল্পে গুরুতর দুর্নীতির তথ্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়া শুরু করে। বিশ্বব্যাংক নিজস্ব তদন্তে আস্থা রাখে এবং আমরা বাংলাদেশ সরকারকে জোরালো অনুরোধ করব, যেন দেশের নিজস্ব আইন অনুসারে এই গুরুতর বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক যদি কোনো তথ্যপ্রমাণ সরকারকে দিয়ে থাকে, তবে বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে পারে সরকার। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০-৩০ বছর ধরেই এ ধরনের অভিযোগ উঠছে। তাই সরকারের অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কেননা, এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগত ঘটতে থাকলে দাতারা অর্থায়নে উৎসাহ হারাবে।
বিশ্বব্যাংকের দেওয়া দুর্নীতির তথ্য: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে গেলে গত ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদনটি তাঁকে দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতুর মূল অংশের প্রাক্-যোগ্যতা চুক্তি-প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি-সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছে বিশ্বব্যাংক। অভিযোগগুলো মূলত যোগাযোগমন্ত্রী ও তাঁর মালিকানাধীন কোম্পানি সাকোর শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যোগাযোগমন্ত্রী ও সাকোর কর্মকর্তারা মিলে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেন যে সাকো হলো পদ্মা সেতু নির্মাণের যেকোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একধরনের নীরব প্রতিনিধি (সাইলেন্ট এজেন্ট)। কোনো কাজ পেতে হলে বা প্রাক্-যোগ্যতায় টিকতে হলে সাকোকে অর্থ দিতে হবে। সাকোর পক্ষ থেকে ঠিকাদারদের ভয়ভীতি দেখানোর কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই প্রতিবেদনটি সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে। তাঁরা অবশ্য ভয় পাচ্ছিলেন। যাঁরা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ বিশ্বব্যাংককে দিয়েছেন, তাঁদের একটাই শর্ত ছিল, কোনোভাবেই তথ্যসূত্র যেন প্রকাশ করা না হয়। আশ্বাস দেওয়ার পরই তাঁরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেন এবং তথ্যপ্রমাণ হাজির করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাকোরই একজন প্রতিনিধি বিশ্বব্যাংককে জানান, পদ্মা সেতুর মূল অংশের জন্য যে চুক্তিমূল্য হবে, তার একটি নির্দিষ্ট অংশ সাকোর জন্য রাখার ব্যাপারে সৈয়দ আবুল হোসেনেরই নির্দেশনা ছিল। বলা হয়, সাকোকে নির্দিষ্ট কমিশন হিসাবে দেওয়া হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করবেন সৈয়দ আবুল হোসেন।
সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাকোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও যথেষ্ট পরিমাণ তথ্যপ্রমাণ বিশ্বব্যাংক পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর গত নভেম্বরে সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি তদন্ত করলেও কোনো দুর্নীতি খুঁজে পায়নি বলে সরকারকে জানিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে কানাডার প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের ওপর বিশ্বব্যাংক সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বিশ্বব্যাংককে আবুল হোসেনের চিঠি: পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি দাবি করে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিককে সম্প্রতি একটি চিঠি দিয়েছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। সেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। সূত্র জানায়, চিঠিতে সৈয়দ আবুল হোসেন লেখেন, ‘কিছু ব্যর্থ দরদাতার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় আমি অবাক হয়েছি।’ চিঠিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ও নিজের ওপর থেকে ভিত্তিহীন অভিযোগের ব্যাপারে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিতে রবার্ট জোয়েলিকের প্রতি আবুল হোসেন আহ্বান জানান।
এই চিঠির বিষয়ে যোগাযোগ করলে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেয়নি বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়। তবে বিশ্বব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, তাদের মনোভাব বিবৃতি আকারে দিয়েছেন অ্যালেন গোল্ডস্টেইন। বিশ্বব্যাংক মনে করে, দুর্নীতির তথ্য তারা সরকারকে বিভিন্ন সময়ে দিয়েছে এবং সরকারের উচিত তদন্ত করে স্থানীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। কেননা, এই দুর্নীতির অভিযোগের সুরাহা না হলে পদ্মা সেতুর স্থগিত হওয়া ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করে, এর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবে চুক্তি করতে হলে তার আগে দাতাদের সঙ্গে করা চুক্তি অবশ্যই বাতিল করতে হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, দাতা-সংক্রান্ত বিষয় দেখার দায়িত্ব ইআরডির। আর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুদক পদ্মা সেতু নিয়ে তদন্ত করেছে। নতুন করে তদন্ত করার কিছু নেই।
No comments