কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ লঙ্ঘনঃ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায় জড়াচ্ছে বেসরকারি ব্যাংক
অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা খাটাচ্ছে বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক। নির্ধারিত ব্যাংকিং ব্যবসায় আইনি সীমারেখা অতিক্রম করে এসব ব্যাংক গাঁটছড়া বেঁধেছে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসার সঙ্গে এবং সেখানে গোপন বিনিয়োগ করছে।
এ ধরনের অভিযোগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা না মানার অভিযোগও উঠেছে কতিপয় বেসরকারি ব্যাংকের ওপর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নির্দেশ রয়েছে, সার্ভিস চার্জ কমানোসহ চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে বেসরকারি ব্যাংক কোনো ধরনের ফি আদায় করবে না এবং আমানত ও ঋণের সুদের ব্যবধান (ষেম্রড) নামিয়ে আনবে পাঁচ শতাংশের নিচে। এ নির্দেশনারও তোয়াক্কা করছে না কয়েকটি ব্যাংক।
জানা গেছে, নিয়ম লঙ্ঘনকারী ব্যাংকগুলো ব্যাংকিং বিধি উপেক্ষা করে প্লট এবং হাউজিং ব্যবসা, ক্রয়-বিক্রয় ও লিজ নেয়াসহ ভোক্তাঋণের মতো ঝুঁকিবহুল ব্যবসায় জড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কোনো কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং তাদের পরিচালকরা অবৈধভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে চলছেন। বিগত বছরের বিনিয়োগ স্থবিরতা এবং ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে থাকার সুযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো এসব অনিয়ম বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু ১৯৯১ সালের ব্যাংক ঘোষণা আইন অনুসারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম কেবল ব্যাংকিং বিনিয়োগ ও ব্যবসার কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য কোনো ব্যবসা এ আইনের সুষমষ্ট লঙ্ঘন। অভিজ্ঞমহলের মতে, এই অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ কোনো ব্যাংকের জন্য যে শুভ নয়, তার অনেক দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংকের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সম্প্রতি ব্যাংকের পলিসি ও রেগুলেশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে। কবে থেকে তা কার্যকর হবে আপাতত তা অনিশ্চিত। এদিকে ঋণ ও আমানতের সুদের হার কমিয়ে আনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশও মানছে না অভিযুক্ত ব্যাংকগুলো। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে দেয়া নির্দেশ কার্যকর হয়নি আজ পর্যন্ত। এ অবস্থায় গত ১১ ডিসেম্বর চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে কোনো ধরনের চার্জ আদায় না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথম জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। যদি তাই হয় তাহলে এ ব্যাপারে কোনো অসচ্ছতা থাকার অবকাশ নেই।
বলা দরকার, বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকও ঋণের সুদের হার কমিয়ে এনেছে। যুক্তরাজ্যের মতো দেশে কমানো হয়েছে সাত দফায়। এসব লক্ষ্য রেখেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবৃদ্ধি ও পরিচালনা ব্যয় সংক্রান্ত কিছু ধারা এবং শর্ত শিথিল করার ব্যাপারে মনোযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো যত দক্ষতা অর্জন করবে ততই সফলভাবে প্রতিযোগিতায় নামতে সক্ষম হবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে। তাতে উদ্ভূত জটিলতা কম-বেশি হ্রাস পাবে, এমনটি বলা যায়। কারণ, ব্যাংকিং কার্যক্রমে সার্বিক গতিশীলতা সৃষ্টি করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা সৃষ্টি একটি আবশ্যিক শর্ত। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। বলা হয়েছে, কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো প্রকার চার্জ আরোপ করা যাবে না। মাত্র ১০ টাকা দিলেই হিসাব খুলতে বাধ্য থাকবে সব রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক এবং বিশেষায়িত ব্যাংক। তবে প্রকৃত কৃষক নির্ণয় করার ক্ষেত্রে ব্যাংক কি পন্থা অবলম্বন করবে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ ও দুর্নীতি থাকলে ভালো পদক্ষেপটি নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে বৈকি! এ নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকেও হিসাব কষে দেখতে হবে, বিধি লঙ্ঘন করে বাণিজ্য করার ব্যাপারে তাদের সমঝে চলা দরকার কিনা।
বস্তুত, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে অভিজ্ঞ ব্যাংকার ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া দরকার। দেশীয় বাস্তবতার অলোকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তও অস্বীকার করার উপায় নেই। সবচেয়ে বড় কথা, শক্তিশালী ব্যাংক ব্যবস্থা একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। দেশীয় আঙ্গিকে সংস্কার করতে হবে রাষ্ট্রীয় ও বাণিজ্যিক সব ব্যাংককে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব আসবে। খেলাপি ঋণের বোঝা কমে আসবে ক্রমেই। এজন্য শর্ত হচ্ছে, ব্যাংকিং বিধিমালা মেনে চলা। প্রয়োজনে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন। তাহলেই কমে আসবে উত্থাপিত অভিযোগের ভার ।
জানা গেছে, নিয়ম লঙ্ঘনকারী ব্যাংকগুলো ব্যাংকিং বিধি উপেক্ষা করে প্লট এবং হাউজিং ব্যবসা, ক্রয়-বিক্রয় ও লিজ নেয়াসহ ভোক্তাঋণের মতো ঝুঁকিবহুল ব্যবসায় জড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, কোনো কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং তাদের পরিচালকরা অবৈধভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে চলছেন। বিগত বছরের বিনিয়োগ স্থবিরতা এবং ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে থাকার সুযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো এসব অনিয়ম বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু ১৯৯১ সালের ব্যাংক ঘোষণা আইন অনুসারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম কেবল ব্যাংকিং বিনিয়োগ ও ব্যবসার কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য কোনো ব্যবসা এ আইনের সুষমষ্ট লঙ্ঘন। অভিজ্ঞমহলের মতে, এই অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ কোনো ব্যাংকের জন্য যে শুভ নয়, তার অনেক দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংকের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সম্প্রতি ব্যাংকের পলিসি ও রেগুলেশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালকদের কাছে। কবে থেকে তা কার্যকর হবে আপাতত তা অনিশ্চিত। এদিকে ঋণ ও আমানতের সুদের হার কমিয়ে আনার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশও মানছে না অভিযুক্ত ব্যাংকগুলো। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে দেয়া নির্দেশ কার্যকর হয়নি আজ পর্যন্ত। এ অবস্থায় গত ১১ ডিসেম্বর চলতি ও সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে কোনো ধরনের চার্জ আদায় না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথম জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হওয়ার কথা। যদি তাই হয় তাহলে এ ব্যাপারে কোনো অসচ্ছতা থাকার অবকাশ নেই।
বলা দরকার, বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকও ঋণের সুদের হার কমিয়ে এনেছে। যুক্তরাজ্যের মতো দেশে কমানো হয়েছে সাত দফায়। এসব লক্ষ্য রেখেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবৃদ্ধি ও পরিচালনা ব্যয় সংক্রান্ত কিছু ধারা এবং শর্ত শিথিল করার ব্যাপারে মনোযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো যত দক্ষতা অর্জন করবে ততই সফলভাবে প্রতিযোগিতায় নামতে সক্ষম হবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে। তাতে উদ্ভূত জটিলতা কম-বেশি হ্রাস পাবে, এমনটি বলা যায়। কারণ, ব্যাংকিং কার্যক্রমে সার্বিক গতিশীলতা সৃষ্টি করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা সৃষ্টি একটি আবশ্যিক শর্ত। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। বলা হয়েছে, কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো প্রকার চার্জ আরোপ করা যাবে না। মাত্র ১০ টাকা দিলেই হিসাব খুলতে বাধ্য থাকবে সব রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক এবং বিশেষায়িত ব্যাংক। তবে প্রকৃত কৃষক নির্ণয় করার ক্ষেত্রে ব্যাংক কি পন্থা অবলম্বন করবে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ ও দুর্নীতি থাকলে ভালো পদক্ষেপটি নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে বৈকি! এ নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকেও হিসাব কষে দেখতে হবে, বিধি লঙ্ঘন করে বাণিজ্য করার ব্যাপারে তাদের সমঝে চলা দরকার কিনা।
বস্তুত, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে অভিজ্ঞ ব্যাংকার ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়া দরকার। দেশীয় বাস্তবতার অলোকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তও অস্বীকার করার উপায় নেই। সবচেয়ে বড় কথা, শক্তিশালী ব্যাংক ব্যবস্থা একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। দেশীয় আঙ্গিকে সংস্কার করতে হবে রাষ্ট্রীয় ও বাণিজ্যিক সব ব্যাংককে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। তাহলে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনায় পেশাদারিত্ব আসবে। খেলাপি ঋণের বোঝা কমে আসবে ক্রমেই। এজন্য শর্ত হচ্ছে, ব্যাংকিং বিধিমালা মেনে চলা। প্রয়োজনে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন। তাহলেই কমে আসবে উত্থাপিত অভিযোগের ভার ।
No comments