পদত্যাগের গেজেট কেন হয়নি জানতে চান সোহেল তাজ
প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পরও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পদত্যাগের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি না করায় এবং তাঁর ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা জমা দেওয়ায় বিব্রত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তাঁর এ মনোভাব তিনি চিঠি মাধ্যমে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে।
সেই সঙ্গে তাঁর ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা বাবদ জমা দেওয়া অর্থ ফেরত নেওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন গাজীপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় এই সংসদ সদস্য।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সোহেল তাজ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাওসারের মাধ্যমে দুটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁর পদত্যাগের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি না করা এবং পদত্যাগ করার পরও তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতার চেক জমা দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে। আরেকটি চিঠিতে তিনি পদত্যাগ করার পর তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতার চেক ফেরত নেওয়ার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চেক আর জমা না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত : মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ওই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেহেতু তিনি (সোহেল তাজ) প্রতিমন্ত্রী, তাই তাঁর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।' প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাচনার আগে এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো 'পদত্যাগ গেজেট নোটিফিকেশন প্রসঙ্গে' শিরোনামের চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, 'আমি ৩১ মে ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমার পদত্যাগপত্র প্রদান করি এবং ১ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমার পদত্যাগপত্র প্রেরণ করি। কিন্তু অদ্যাবধি আমার পদত্যাগ গেজেট নোটিফিকেশন হয় নাই। পদত্যাগ নোটিফিকেশন না করায় বর্তমানে সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।'
'প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদি প্রসঙ্গে' শিরোনামের অপর চিঠিতে সোহেল তাজ উল্লেখ করেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে পাঠানো প্রতিমন্ত্রির মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদির চেক (আগস্ট ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১১) কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বা কাম্য নয়। ওই চিঠিতে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঠানো মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদির চেক প্রত্যাহার করার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চেক না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
পদত্যাগের পর ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩২ মাসের বেতন-ভাতা জমা পড়েছে তাজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো সোহেল তাজের এই চিঠির পরে তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী বলা যায় কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সংবিধানের ৫৮(১) ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে- যদি তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা বা না করার কোনো বিধান সংবিধানে না থাকায় পদত্যাগপত্র দিলেই তা গৃহীত হবে। সংবিধান অনুসারে ২০০৯ সালের ১ জুন থেকে আর প্রতিমন্ত্রী নন সোহেল তাজ। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট সোহেল তাজকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করে গেজেট জারি করাটা ছিল অসাংবিধানিক।
পদত্যাগের পর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বেতন দেওয়া অবৈধ : সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহির কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের পর সোহেল তাজকে আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রাখার কোনো সুযোগ নেই সংবিধানে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী রাখতে কিংবা বেতন-ভাতা দিতে পারে না। সেটা অবৈধ।'
জোর করে প্রতিমন্ত্রী বানানো যায় না : এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেহেতু সোহেল তাজ নিজে মনে করেন- তিনি আর প্রতিমন্ত্রী নন, সেহেতু তাঁর ক্ষেত্রে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রীর অস্তিত্ব নেই। কেউ নিজে না চাইলে তাঁকে জোর করে প্রতিমন্ত্রী বানানো যায় না।' তিনি বলেন, সোহেল তাজের দাবি অনুযায়ী সরকারের উচিত, তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া এবং এ ব্যাপারে গেজেট জারি করা।
এর আগে দপ্তর অথবা দপ্তরবিহীন কোনোটিতেই সোহেল তাজের নাম সুস্পষ্ট না থাকায় তাঁকে বেতন-ভাতা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। ওই কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির জবাবে গত বছরের ১৬ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, 'যেহেতু তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়নি, যেহেতু তিনি অব্যাহতভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদে বহাল রয়েছেন মর্মে বিবেচনা করে তাঁর বকেয়া বেতন-ভাতা মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা যেতে পারে।'
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সোহেল তাজ তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাওসারের মাধ্যমে দুটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁর পদত্যাগের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি না করা এবং পদত্যাগ করার পরও তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতার চেক জমা দেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে। আরেকটি চিঠিতে তিনি পদত্যাগ করার পর তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতার চেক ফেরত নেওয়ার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চেক আর জমা না দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত : মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া ওই চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেহেতু তিনি (সোহেল তাজ) প্রতিমন্ত্রী, তাই তাঁর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।' প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাচনার আগে এ ব্যাপারে আর কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো 'পদত্যাগ গেজেট নোটিফিকেশন প্রসঙ্গে' শিরোনামের চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, 'আমি ৩১ মে ২০০৯ তারিখে বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমার পদত্যাগপত্র প্রদান করি এবং ১ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আমার পদত্যাগপত্র প্রেরণ করি। কিন্তু অদ্যাবধি আমার পদত্যাগ গেজেট নোটিফিকেশন হয় নাই। পদত্যাগ নোটিফিকেশন না করায় বর্তমানে সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।'
'প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদি প্রসঙ্গে' শিরোনামের অপর চিঠিতে সোহেল তাজ উল্লেখ করেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে একসঙ্গে পাঠানো প্রতিমন্ত্রির মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদির চেক (আগস্ট ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১১) কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বা কাম্য নয়। ওই চিঠিতে তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঠানো মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদির চেক প্রত্যাহার করার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের চেক না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন।
পদত্যাগের পর ২০০৯ সালের আগস্ট থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত ৩২ মাসের বেতন-ভাতা জমা পড়েছে তাজের ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো সোহেল তাজের এই চিঠির পরে তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী বলা যায় কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সংবিধানের ৫৮(১) ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীর পদ শূন্য হবে- যদি তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা বা না করার কোনো বিধান সংবিধানে না থাকায় পদত্যাগপত্র দিলেই তা গৃহীত হবে। সংবিধান অনুসারে ২০০৯ সালের ১ জুন থেকে আর প্রতিমন্ত্রী নন সোহেল তাজ। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট সোহেল তাজকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করে গেজেট জারি করাটা ছিল অসাংবিধানিক।
পদত্যাগের পর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বেতন দেওয়া অবৈধ : সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহির কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের পর সোহেল তাজকে আর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে রাখার কোনো সুযোগ নেই সংবিধানে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী রাখতে কিংবা বেতন-ভাতা দিতে পারে না। সেটা অবৈধ।'
জোর করে প্রতিমন্ত্রী বানানো যায় না : এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেহেতু সোহেল তাজ নিজে মনে করেন- তিনি আর প্রতিমন্ত্রী নন, সেহেতু তাঁর ক্ষেত্রে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রীর অস্তিত্ব নেই। কেউ নিজে না চাইলে তাঁকে জোর করে প্রতিমন্ত্রী বানানো যায় না।' তিনি বলেন, সোহেল তাজের দাবি অনুযায়ী সরকারের উচিত, তাঁর বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া এবং এ ব্যাপারে গেজেট জারি করা।
এর আগে দপ্তর অথবা দপ্তরবিহীন কোনোটিতেই সোহেল তাজের নাম সুস্পষ্ট না থাকায় তাঁকে বেতন-ভাতা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কার্যালয়। ওই কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির জবাবে গত বছরের ১৬ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, 'যেহেতু তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়নি, যেহেতু তিনি অব্যাহতভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদে বহাল রয়েছেন মর্মে বিবেচনা করে তাঁর বকেয়া বেতন-ভাতা মাননীয় প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক ব্যাংক হিসাবে প্রদান করা যেতে পারে।'
No comments