চিনি নিয়ে চালবাজি থামছে নাঃ ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো
মহাজোট সরকারের দিনবদলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীরা অন্য কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। বাজার পরিস্থিতি থেকেই এটা সহজে বোঝা যায়। কারণে-অকারণে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে ক্রেতাসাধারণের পকেট কাটা নিয়ে হৈ চৈ উঠলে ঘটা করে বাজার পরিদর্শন, ব্যবসায়ীদের বৈঠক ও বার বার ঘোষণা দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী কোনো ফল দেখাতে পারেননি।
রোজা ও ঈদের সময় চিনির গলাকাটা দাম কমানো যায়নি। এখন শীতকালেও চিনির দাম বাড়ছে। একে রেকর্ড বলে উল্লেখ করেছেন খোদ ব্যবসায়ীরাই। সাধারণত শীতকালে চিনির চাহিদা তুলনামূলক কম থাকায় বাজারে দামও কমে যায়। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি উল্টে গেছে। গত এক মাসেই চিনির দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। খোলাবাজারে এখন প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৬০ টাকা দরে। গত বছর এ সময় ছিল ৩১ টাকা কেজি। অর্থাত্ দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চিনির এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজনের হাত রয়েছে। একদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর উত্পাদন ক্রমাগত মার খাওয়া, অন্যদিকে র-সুগার আমদানিকারী বেসরকারি চিনিকল (রিফাইনারি) মালিকদের রমরমা ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়ার ফলেই চিনির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি চিনিকলেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আগেই উত্পাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি পলিসির কারণে চিনিকলগুলো চাহিদামত আখ সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে চিনির অভ্যন্তরীণ উত্পাদন কম হওয়ার পাশাপাশি চিনিকলগুলোর লোকসানের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আবার চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখার কথা বলে র-সুগার আমদানির ওপর থেকে শতভাগ শুল্ক প্রত্যাহার এবং সাদা চিনি আমদানির শুল্ক অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দেয়ায় সরকার প্রতি মাসে রাজস্ব হারাচ্ছে ৮০ কোটি টাকা। অথচ বাজারে চিনির দাম কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে। এভাবে ব্যবসায়ীরা নানাভাবে অস্বাভাবিক মুনাফা করলেও কেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না সে প্রশ্ন এখন ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে এবার চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাদা চিনি আমদানির ওপর থেকে শুল্ক পুরোপরি তুলে নেয়ার সুপরিশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া কমিটির তদন্তে একটি বেসরকারি চিনিকলের রফতানির জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে উত্পাদিত চিনি খোলাবাজারে বিক্রি করে মুনাফা লোটার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে চিনি কর্পোরেশন ২০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়লেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানা যায়নি। এক শ্রেণীর অসত্ ব্যবসায়ী নানাভাবে অস্বাভাবিক মুনাফার জন্য রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করলেও বিষয়টি নিয়ে চোখ বুজে রয়েছে সরকার। আর সংসদীয় কমিটিও ব্যবসায়ীদের পক্ষেই কাজ করছে। জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সরকারের ওপর ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের প্রভাবই এর কারণ মনে করলে কাউকে দোষ দেয়া যাবে না। এর ফলে একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দিনবদল আর সাধারণ মানুষের পকেট কাটার কাজ সমানতালে চলছে। মহাজোট সরকার অতীত এবং নিছক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এতই ব্যস্ত যে, বর্তমানের জ্বলন্ত বিষয়গুলো গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এর মাশুল গুনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যদের পক্ষে বোঝা কঠিন বৈকি। সরকারের নীতি-নির্ধারকদের ক্ষেত্রে এটা শতভাগ সত্য—অস্বীকার করা যাবে না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চিনির এই অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পেছনে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট লোকজনের হাত রয়েছে। একদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর উত্পাদন ক্রমাগত মার খাওয়া, অন্যদিকে র-সুগার আমদানিকারী বেসরকারি চিনিকল (রিফাইনারি) মালিকদের রমরমা ব্যবসা করার সুযোগ করে দেয়ার ফলেই চিনির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি চিনিকলেই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আগেই উত্পাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি পলিসির কারণে চিনিকলগুলো চাহিদামত আখ সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে চিনির অভ্যন্তরীণ উত্পাদন কম হওয়ার পাশাপাশি চিনিকলগুলোর লোকসানের পরিমাণ বেড়ে গেছে। আবার চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখার কথা বলে র-সুগার আমদানির ওপর থেকে শতভাগ শুল্ক প্রত্যাহার এবং সাদা চিনি আমদানির শুল্ক অর্ধেকেরও বেশি কমিয়ে দেয়ায় সরকার প্রতি মাসে রাজস্ব হারাচ্ছে ৮০ কোটি টাকা। অথচ বাজারে চিনির দাম কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে। এভাবে ব্যবসায়ীরা নানাভাবে অস্বাভাবিক মুনাফা করলেও কেন তাদের বিরুদ্ধে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না সে প্রশ্ন এখন ক্রমেই বড় হয়ে উঠছে।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে এবার চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাদা চিনি আমদানির ওপর থেকে শুল্ক পুরোপরি তুলে নেয়ার সুপরিশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া কমিটির তদন্তে একটি বেসরকারি চিনিকলের রফতানির জন্য বিশেষ সুবিধা নিয়ে উত্পাদিত চিনি খোলাবাজারে বিক্রি করে মুনাফা লোটার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে চিনি কর্পোরেশন ২০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়লেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানা যায়নি। এক শ্রেণীর অসত্ ব্যবসায়ী নানাভাবে অস্বাভাবিক মুনাফার জন্য রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করলেও বিষয়টি নিয়ে চোখ বুজে রয়েছে সরকার। আর সংসদীয় কমিটিও ব্যবসায়ীদের পক্ষেই কাজ করছে। জাতীয় সংসদে ব্যবসায়ীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং সরকারের ওপর ব্যবসায়ী মন্ত্রীদের প্রভাবই এর কারণ মনে করলে কাউকে দোষ দেয়া যাবে না। এর ফলে একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দিনবদল আর সাধারণ মানুষের পকেট কাটার কাজ সমানতালে চলছে। মহাজোট সরকার অতীত এবং নিছক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এতই ব্যস্ত যে, বর্তমানের জ্বলন্ত বিষয়গুলো গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এর মাশুল গুনতে গিয়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া অন্যদের পক্ষে বোঝা কঠিন বৈকি। সরকারের নীতি-নির্ধারকদের ক্ষেত্রে এটা শতভাগ সত্য—অস্বীকার করা যাবে না।
No comments