পদ ১৭১, মন্ত্রীদের সুপারিশই ৫০০- ঢাকা মেডিকেলে নিয়োগ-বাণিজ্যে রেকর্ড
মহাজোট সরকারের এক বছরে অনেক বিষয়েই রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মে সৃষ্ট রেকর্ডই সম্ভবত সর্বশেষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, মন্ত্রণালয় কারোরই তোয়াক্কা করছে না।
নিয়োগ নিয়ে মারাত্মক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত ১৫ জানুয়ারি এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কিছুই থেমে নেই। ব্যাকডেটে প্রতিদিনই পছন্দের লোকজনকে নিয়োগপত্র দেয়া হচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দেয়া নিয়োগপত্র নিয়ে প্রতিদিনই যোগদানপত্র জমা পড়ছে অফিসে। ইন্টারভিউ কার্ড না পেয়েও কেউ কেউ নিয়োগপত্র পেয়ে যাচ্ছেন। অফিস ছুটির পর সংশ্লিষ্টরা বসে বিষয়গুলো ফয়সালা করে। গত রোববার অনুষ্ঠিত এ ধরনের বৈঠকে গ্রহণ করা যোগদানপত্রের সিরিয়াল নম্বর ছিল ২০২। গত সোমবারই হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অথচ শুক্রবারই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, যিনি গঠিত তদন্ত কমিটিরও প্রধান, আমার দেশকে জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়াই হয়নি। এরপর তিনি আমেরিকায় গেছেন, ফিরবেন ৫ ফেব্রুয়ারি। অর্থাত্ তদন্ত কার্যক্রমকে এড়িয়েই সবকিছু করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশও মোটেই পাত্তা পাচ্ছে না। এভাবে নিয়োগ দেয়া নিয়েও ঘটেছে তুঘলকি ঘটনা। এক পদে আবেদন ও সাক্ষাত্কারের পর নিয়োগ দেয়া হয়েছে অন্যপদে। কুক বা মশালচি অথবা এমএলএসএস পদের প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন সুইপার পদে। দুই থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের ভিন্ন পদে নিয়োগ দিলেও বদলির আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। ওপর মহলের সুপারিশের ঠেলাতেই এমনটা হচ্ছে বলে বলা হয়েছে। জনৈক সিনিয়র সচিবের কয়েকজন প্রার্থী ইন্টারভিউ কার্ড না পেলেও নিয়োগপত্র পেয়ে গেছেন। একইভাবে তদন্ত কমিটির প্রধানের সুপারিশও রাখতে হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত আমলারা সবদিক ম্যানেজ করেই এগিয়েছেন। তারা মন্ত্রীদেরও বঞ্চিত করেননি। একজন মন্ত্রীই ২৫০টি সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। এভাবে মন্ত্রীদের সুপারিশের সংখ্যাই প্রায় পাঁচশ’তে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাফ জবাব—এটা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। সবাইকে সামাল দিতে গিয়ে সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা বা উপজাতি কোটা এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও উপেক্ষা করা হয়েছে। সবাই মিলে নিজের পাতে ঝোল ডালতে গিয়ে এভাবে যে নজিরবিহীন তালগোল পাকানো অবস্থার সৃষ্টি করা হলো, তার জের থেকে যাবে আগামী বহু বছর।
বর্তমান সরকারের কাজের প্রতিবিম্বই আসলে ফুটে উঠেছে ঢাকা মেডিকেলের নিয়োগ বাণিজ্যে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবস্থা কমবেশি একই রকম। অথচ নির্বাচনের আগে ও পরে আওয়ামী মহাজোটের শীর্ষ ব্যক্তিরা সুশাসন, জবাবদিহিতা আর গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথাই বলেছিলেন; এখনও বলে চলেছেন। কিন্তু কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজে এসবের ছিটেফোঁটাও লক্ষ্য করা যায় না। সরকারি আধাসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি আর দলবাজি অতীতের সীমা ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। মিডিয়ায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত খবরা-খবরে ক্ষমতাসীনদের বোধোদয় ঘটবে এমনও বিশ্বাস যারা করেন, তারা এখন আর নিজেদের হতাশা চেপে রাখতে পারছেন না। এখানে-ওখানে কান পাতলেই মানুষের মুখ থেকে এমন কথাই শোনা যায়।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দেয়া নিয়োগপত্র নিয়ে প্রতিদিনই যোগদানপত্র জমা পড়ছে অফিসে। ইন্টারভিউ কার্ড না পেয়েও কেউ কেউ নিয়োগপত্র পেয়ে যাচ্ছেন। অফিস ছুটির পর সংশ্লিষ্টরা বসে বিষয়গুলো ফয়সালা করে। গত রোববার অনুষ্ঠিত এ ধরনের বৈঠকে গ্রহণ করা যোগদানপত্রের সিরিয়াল নম্বর ছিল ২০২। গত সোমবারই হাসপাতালের হিসাবরক্ষক জানিয়েছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অথচ শুক্রবারই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, যিনি গঠিত তদন্ত কমিটিরও প্রধান, আমার দেশকে জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়াই হয়নি। এরপর তিনি আমেরিকায় গেছেন, ফিরবেন ৫ ফেব্রুয়ারি। অর্থাত্ তদন্ত কার্যক্রমকে এড়িয়েই সবকিছু করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশও মোটেই পাত্তা পাচ্ছে না। এভাবে নিয়োগ দেয়া নিয়েও ঘটেছে তুঘলকি ঘটনা। এক পদে আবেদন ও সাক্ষাত্কারের পর নিয়োগ দেয়া হয়েছে অন্যপদে। কুক বা মশালচি অথবা এমএলএসএস পদের প্রার্থী নিয়োগ পেয়েছেন সুইপার পদে। দুই থেকে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের ভিন্ন পদে নিয়োগ দিলেও বদলির আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। ওপর মহলের সুপারিশের ঠেলাতেই এমনটা হচ্ছে বলে বলা হয়েছে। জনৈক সিনিয়র সচিবের কয়েকজন প্রার্থী ইন্টারভিউ কার্ড না পেলেও নিয়োগপত্র পেয়ে গেছেন। একইভাবে তদন্ত কমিটির প্রধানের সুপারিশও রাখতে হচ্ছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত আমলারা সবদিক ম্যানেজ করেই এগিয়েছেন। তারা মন্ত্রীদেরও বঞ্চিত করেননি। একজন মন্ত্রীই ২৫০টি সুপারিশ করেছেন বলে জানা গেছে। এভাবে মন্ত্রীদের সুপারিশের সংখ্যাই প্রায় পাঁচশ’তে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাফ জবাব—এটা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। সবাইকে সামাল দিতে গিয়ে সরকারি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা বা উপজাতি কোটা এমনকি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও উপেক্ষা করা হয়েছে। সবাই মিলে নিজের পাতে ঝোল ডালতে গিয়ে এভাবে যে নজিরবিহীন তালগোল পাকানো অবস্থার সৃষ্টি করা হলো, তার জের থেকে যাবে আগামী বহু বছর।
বর্তমান সরকারের কাজের প্রতিবিম্বই আসলে ফুটে উঠেছে ঢাকা মেডিকেলের নিয়োগ বাণিজ্যে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবস্থা কমবেশি একই রকম। অথচ নির্বাচনের আগে ও পরে আওয়ামী মহাজোটের শীর্ষ ব্যক্তিরা সুশাসন, জবাবদিহিতা আর গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থা নিয়ে অনেক কথাই বলেছিলেন; এখনও বলে চলেছেন। কিন্তু কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজে এসবের ছিটেফোঁটাও লক্ষ্য করা যায় না। সরকারি আধাসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি আর দলবাজি অতীতের সীমা ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। মিডিয়ায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত খবরা-খবরে ক্ষমতাসীনদের বোধোদয় ঘটবে এমনও বিশ্বাস যারা করেন, তারা এখন আর নিজেদের হতাশা চেপে রাখতে পারছেন না। এখানে-ওখানে কান পাতলেই মানুষের মুখ থেকে এমন কথাই শোনা যায়।
No comments