সোহেল তাজের চিঠি-মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও বেতন কেন?
তানজিম আহমদ সোহেল তাজ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও কেন তাঁর ব্যাংক হিসাবে সরকারি বেতন-ভাতা যাচ্ছে, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি এ অর্থ ফেরত নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এ ছাড়া অপর এক চিঠিতে কেন তাঁর পদত্যাগ এখনো কার্যকর করা হচ্ছে না তা-ও জানতে চেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
এর মধ্যে একটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার ও আরেকটি আগের দিন সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার কাছে পৌঁছে দেন সোহেল তাজের একজন ব্যক্তিগত সহকারী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব চিঠি দুটি পাওয়ার কথা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পদত্যাগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন (গেজেট নোটিফিকেশন) জারি না হওয়া সোহেল তাজ এখনো দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী। আর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যে পারিতোষিক পান, তা তাঁরা সই করে নেন না। মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় থেকে পারিতোষিক তাঁদের ব্যাংক হিসাবে যায়।
সংবিধানের ৫৮(১)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে, যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ৩৩ মাস পরও দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সোহেল তাজের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা যাচ্ছে। এতে বিব্রত বোধ করছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে গাজীপুর-৪ আসনের এই সাংসদ দুটি চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকে। দুই চিঠির মধ্যে একটিতে প্রতিমন্ত্রীর বেতন ও ভাতা বন্ধ না হওয়ায় বিস্ময় ও উষ্মা প্রকাশ করেন। অপর চিঠিতে পদত্যাগপত্র কেন এখনো কার্যকর করা হয়নি, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে দেওয়া গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) তারিখে লেখা চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, ‘২০০৯ সালের ৩১ মে সংবিধানের ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমার পদত্যাগপত্র দেই। ১ জুন সেই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাই। এর পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি কোথাও কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করিনি, যা এরই মধ্যে চিঠি দিয়ে আপনাকে অবহিত করা হয়েছে। এর পরও ২০০৯ এর আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে একসঙ্গে পাঠানো প্রতিমন্ত্রীর মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বা কাম্য হতে পারে না। কারণ, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে আমার নামে মাসিক বেতন-ভাতার চেক আমি নিজ স্বাক্ষরে গ্রহণ করেছি, যা আপনার জানা আছে।’ চিঠিতে সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি পদত্যাগ করেছি, এ জন্য উল্লিখিত সময়ে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো সব অর্থ ফেরত নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে গতকাল দেওয়া অপর এক চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, ‘২০০৯ সালের ৩১ মে পদত্যাগ করার পরও এখন পর্যন্ত তা গেজেট নোটিফিকেশন করা হয়নি। যা সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ছাড়াও এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’ দ্বিতীয় চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমার পাঠানো পদত্যাগপত্র গেজেট নোটিফিকেশন না করে উল্টো আমার অজান্তে ব্যক্তিগত হিসাবে ২০০৯-এর আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর মাসিক বেতন-ভাতার চেক জমা দেওয়া হয়েছে।’ বিষয়টি লিখিতভাবে তাঁকে জানানোরও অনুরোধ করেছেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে ২০০৯ সালের ৩১ মে সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা দেন। এরপর তিনি ওই বছরের ৮ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
এর মধ্যে একটি চিঠি গতকাল মঙ্গলবার ও আরেকটি আগের দিন সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার কাছে পৌঁছে দেন সোহেল তাজের একজন ব্যক্তিগত সহকারী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব চিঠি দুটি পাওয়ার কথা প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পদত্যাগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন (গেজেট নোটিফিকেশন) জারি না হওয়া সোহেল তাজ এখনো দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী। আর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যে পারিতোষিক পান, তা তাঁরা সই করে নেন না। মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় থেকে পারিতোষিক তাঁদের ব্যাংক হিসাবে যায়।
সংবিধানের ৫৮(১)(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হবে, যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ৩৩ মাস পরও দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সোহেল তাজের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা যাচ্ছে। এতে বিব্রত বোধ করছেন তিনি। বিষয়টি জানিয়ে গাজীপুর-৪ আসনের এই সাংসদ দুটি চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাকে। দুই চিঠির মধ্যে একটিতে প্রতিমন্ত্রীর বেতন ও ভাতা বন্ধ না হওয়ায় বিস্ময় ও উষ্মা প্রকাশ করেন। অপর চিঠিতে পদত্যাগপত্র কেন এখনো কার্যকর করা হয়নি, তা জানতে চেয়েছেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে দেওয়া গত সোমবার (১৬ এপ্রিল) তারিখে লেখা চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, ‘২০০৯ সালের ৩১ মে সংবিধানের ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমার পদত্যাগপত্র দেই। ১ জুন সেই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাই। এর পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি কোথাও কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করিনি, যা এরই মধ্যে চিঠি দিয়ে আপনাকে অবহিত করা হয়েছে। এর পরও ২০০৯ এর আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে একসঙ্গে পাঠানো প্রতিমন্ত্রীর মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বা কাম্য হতে পারে না। কারণ, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে আমার নামে মাসিক বেতন-ভাতার চেক আমি নিজ স্বাক্ষরে গ্রহণ করেছি, যা আপনার জানা আছে।’ চিঠিতে সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘যেহেতু আমি পদত্যাগ করেছি, এ জন্য উল্লিখিত সময়ে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো সব অর্থ ফেরত নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে গতকাল দেওয়া অপর এক চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, ‘২০০৯ সালের ৩১ মে পদত্যাগ করার পরও এখন পর্যন্ত তা গেজেট নোটিফিকেশন করা হয়নি। যা সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও আমার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা ছাড়াও এক বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’ দ্বিতীয় চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমার পাঠানো পদত্যাগপত্র গেজেট নোটিফিকেশন না করে উল্টো আমার অজান্তে ব্যক্তিগত হিসাবে ২০০৯-এর আগস্ট থেকে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর মাসিক বেতন-ভাতার চেক জমা দেওয়া হয়েছে।’ বিষয়টি লিখিতভাবে তাঁকে জানানোরও অনুরোধ করেছেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে ২০০৯ সালের ৩১ মে সাংবাদিকদের কাছে ঘোষণা দেন। এরপর তিনি ওই বছরের ৮ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।
No comments