ক্ষমতা ছাড়া কেউ দুর্নীতি করতে পারে না by গোলাম রহমান
দুর্নীতির সঙ্গে ক্ষমতার একটি সম্পর্ক আছে। দুর্নীতি করতে হলে যেকোনো ধরনের ক্ষমতার প্রয়োজন। ক্ষমতা ছাড়া কেউ দুর্নীতি করতে পারে না। আর রাজনীতির সঙ্গেও দুর্নীতি ও ক্ষমতা বিদ্যমান সবচেয়ে বেশি। এটা রাজনীতির একটি হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি শেষ দুটি নির্বাচনের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব,
দুটি নির্বাচনেই জনগণের কাছে দুর্নীতির বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। জনগণ দুর্নীতির প্রশ্নকে গুরুত্ব দিয়েছে। সুতরাং এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই দুর্নীতির প্রসার ও বিস্তারের প্রতিষেধক রয়েছে। অনেকে দুর্নীতির ব্যাপারে গণতান্ত্রিক সরকারকে অধিক দায়ী করেন। কিন্তু স্বেচ্ছাচারী বা অগণতান্ত্রিক সরকারের সময় কখনোই দুর্নীতি কমেনি। বরং জ্যামিতিক হারে বাড়তে দেখা গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করতে পারেন বা করে থাকেন; কিন্তু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমাধান। আরেকটি বিষয় হলো, দুর্নীতির সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের একটি সম্পর্ক দেখা যায়। ব্যবসা হলো প্রফিট মোটিভ একটি বিষয়। সুতরাং রাজনীতিতে এই প্রফিট মোটিভ লোকজন যত বেশি ঢুকবে, তত দুর্নীতির আশঙ্কা বাড়বে। এদের রাজনীতিতে যতটা কম সম্ভব নিয়োজিত করার বিষয়টি রাজনীতিবিদদেরই দেখতে হবে। রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য দেশ ও জনগণের সেবা করা, দেশ ও জনগণের সম্পদ রক্ষা করে তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধন করা। সেখানে প্রফিট মোটিভ কাজ করলে তা ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হলো, আমাদের যে আইন কাঠামো আছে তা তেমন বাইটিং নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা। আইন ব্যবসায়ীরা অর্থ ও ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন। অত্যন্ত উঁচু দরের এবং প্রখ্যাত আইন ব্যবসায়ীরা এ কাজটি করে থাকেন। ওনারা নগদ নারায়ণের পূজা করেন। ফলে আইনের ফাঁকফোকর গলে বড় বড় অপরাধী বেরিয়ে যায়। এ কারণে আইনি সংস্কার প্রয়োজন এবং সেটা রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে। দুর্নীতির আইনে ইনডিভিজুয়াল রাইটকে জোর দেওয়া হয়। অথচ দুর্নীতি হচ্ছে একটি কালেকটিভ অপরাধ। এখানে প্রমাণ করতে হয় যে একজন ব্যক্তি অপরাধী। কিন্তু প্রয়োজন ছিল একজন ব্যক্তি নিরপরাধ সেটা প্রমাণ করার। থ্যাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম- এসব দেশের দুর্নীতির আইনের তুলনায় আমাদের দেশের আইনগুলোর অনেক দুর্বলতা রয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেছেন এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা তাঁর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। আমরা তাঁর এপিএস, ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। তাঁর ছেলের সম্পদের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তবে এসব তদন্ত করতে গিয়ে যদি তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে নিশ্চয়ই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় হলো, আমাদের যে আইন কাঠামো আছে তা তেমন বাইটিং নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছে দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা। আইন ব্যবসায়ীরা অর্থ ও ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেন। অত্যন্ত উঁচু দরের এবং প্রখ্যাত আইন ব্যবসায়ীরা এ কাজটি করে থাকেন। ওনারা নগদ নারায়ণের পূজা করেন। ফলে আইনের ফাঁকফোকর গলে বড় বড় অপরাধী বেরিয়ে যায়। এ কারণে আইনি সংস্কার প্রয়োজন এবং সেটা রাজনীতিবিদদেরই করতে হবে। দুর্নীতির আইনে ইনডিভিজুয়াল রাইটকে জোর দেওয়া হয়। অথচ দুর্নীতি হচ্ছে একটি কালেকটিভ অপরাধ। এখানে প্রমাণ করতে হয় যে একজন ব্যক্তি অপরাধী। কিন্তু প্রয়োজন ছিল একজন ব্যক্তি নিরপরাধ সেটা প্রমাণ করার। থ্যাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম- এসব দেশের দুর্নীতির আইনের তুলনায় আমাদের দেশের আইনগুলোর অনেক দুর্বলতা রয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করেছেন এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা তাঁর দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছি না। আমরা তাঁর এপিএস, ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি। তাঁর ছেলের সম্পদের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তবে এসব তদন্ত করতে গিয়ে যদি তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে নিশ্চয়ই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments