পুলিশি নির্যাতনে জাসাস নেতার মৃত্যুর অভিযোগঃ ক্রসফায়ারের বিকল্প?
জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রমনা থানা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম মিন্টুকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। এসব অভিযোগের ন্যায়সঙ্গত ফয়সালা না হওয়ায় মহাজোট সরকারের আমলে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, ‘দুর্বল গণতন্ত্রও মন্দের ভালো’—একথা এখন আর জোর গলায় বলা যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, আমিনুল ইসলাম মিন্টুকে (৩৮) গত মঙ্গলবার পুলিশ রাজধানীর বিজয়নগর থেকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। আইন মোতাবেক তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির না করে থানা হাজতে রেখে তার ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। পুলিশি নির্যাতনে মিন্টুর যখন মৃতপ্রায় অবস্থা তখনই তাকে অথবা তার লাশকে আদালতে ঘুরিয়ে বাহাদুরশাহ পার্কের কাছে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে ফেলে আসা হয়। পুলিশের রহস্যজনক ফোন পেয়ে মিন্টুর আত্মীয়স্বজন হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তার লাশ পেয়েছে। লাশের শরীরে ছিল গুরুতর জখমের একাধিক চিহ্ন।
পুলিশ এ ধরনের পরিস্থিতিতে যা করে থাকে এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটায়নি। শাহবাগ থানা থেকে জানানো হয়েছে, মিন্টুকে আগের দিন আটক করে পরদিনই আদালতে পাঠানো হয়েছিল। পরে কেন কীভাবে তার মৃত্যু ঘটল সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। তারা নাকি থানা হাজতে মিন্টুর শরীরে একটি টোকাও দেয়নি। মিন্টুর লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তারপরও পুলিশ হেফাজতে আঘাতজনিত কারণে মিন্টুর মৃত্যুর ব্যাপারে যে শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না, একথা আগাম বলে দেয়া যায়। গত ২/৩ দিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতারা এই বলে মুখে খই ফোটাচ্ছেন যে, এতদিন পরে দেশে নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নবপ্রতিষ্ঠিত এই আইনের শাসনের চেহারা কেমন, হতভাগ্য মিন্টু নিজের জীবনের বিনিময়ে তা আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেলেন। মইন-ফখরুদ্দীনের জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচার বিভাগকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের এক নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একাধিক প্রথম সারির নেতা নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে এসব নির্যাতনের লোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছেন। কেউ কেউ এমনকি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে সেদিনকার পাশবিক অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন। জাতি আশা করেছিল, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসায় রাষ্ট্রযন্ত্র কলুষমুক্ত হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা আইনের বেঁধে দেয়া গাণ্ডি লঙ্ঘনের অভ্যাস ত্যাগ করবে। কিন্তু হা হতোস্মি! অবস্থা দেখা যাচ্ছে ‘যথা পূর্বং তথা পরং!’ বরং ক্ষেত্রবিশেষে পরের পরিস্থিতি পূর্বের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতীয়মান হচ্ছে। যাকে খুশি তাকে ধরে এনে অকথ্য অত্যাচার চালানোর যেন এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বলাবাহুল্য, এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্র ও সভ্যতার পরিপন্থী।
ক্রসফায়ারের নামে লোকজনকে ধরে এনে বিচারবহির্ভূতভাবে মেরে ফেলার বিরুদ্ধে জনমত দেশে-বিদেশে ক্রমেই সোচ্চার হচ্ছে। ফলে ক্রসফায়ারের তাণ্ডব একেবারে বন্ধ না হলেও কিছুটা কমেছে। তারই পরিপূরক হিসেবে থানায় আসামি পিটিয়ে মেরে ফেলার কালচার গতি পাচ্ছে কিনা আমরা জানি না। তবে এর মধ্যে দিয়ে অরাজকতার যে বীজ রোপিত হচ্ছে তা অঙ্কুরিত হয়ে মহীরূহে পরিণত হলে গোটা জাতিকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
পুলিশ এ ধরনের পরিস্থিতিতে যা করে থাকে এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটায়নি। শাহবাগ থানা থেকে জানানো হয়েছে, মিন্টুকে আগের দিন আটক করে পরদিনই আদালতে পাঠানো হয়েছিল। পরে কেন কীভাবে তার মৃত্যু ঘটল সে সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। তারা নাকি থানা হাজতে মিন্টুর শরীরে একটি টোকাও দেয়নি। মিন্টুর লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তারপরও পুলিশ হেফাজতে আঘাতজনিত কারণে মিন্টুর মৃত্যুর ব্যাপারে যে শেষ পর্যন্ত কিছুই হবে না, একথা আগাম বলে দেয়া যায়। গত ২/৩ দিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতারা এই বলে মুখে খই ফোটাচ্ছেন যে, এতদিন পরে দেশে নাকি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নবপ্রতিষ্ঠিত এই আইনের শাসনের চেহারা কেমন, হতভাগ্য মিন্টু নিজের জীবনের বিনিময়ে তা আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেলেন। মইন-ফখরুদ্দীনের জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচার বিভাগকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র যাকে ইচ্ছা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের এক নারকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একাধিক প্রথম সারির নেতা নিজ নিজ অভিজ্ঞতা থেকে এসব নির্যাতনের লোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছেন। কেউ কেউ এমনকি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে দাঁড়িয়ে সেদিনকার পাশবিক অত্যাচারের বর্ণনা দিয়েছেন। জাতি আশা করেছিল, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসায় রাষ্ট্রযন্ত্র কলুষমুক্ত হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা আইনের বেঁধে দেয়া গাণ্ডি লঙ্ঘনের অভ্যাস ত্যাগ করবে। কিন্তু হা হতোস্মি! অবস্থা দেখা যাচ্ছে ‘যথা পূর্বং তথা পরং!’ বরং ক্ষেত্রবিশেষে পরের পরিস্থিতি পূর্বের চেয়ে ভয়ঙ্কর প্রতীয়মান হচ্ছে। যাকে খুশি তাকে ধরে এনে অকথ্য অত্যাচার চালানোর যেন এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। বলাবাহুল্য, এ ধরনের আচরণ গণতন্ত্র ও সভ্যতার পরিপন্থী।
ক্রসফায়ারের নামে লোকজনকে ধরে এনে বিচারবহির্ভূতভাবে মেরে ফেলার বিরুদ্ধে জনমত দেশে-বিদেশে ক্রমেই সোচ্চার হচ্ছে। ফলে ক্রসফায়ারের তাণ্ডব একেবারে বন্ধ না হলেও কিছুটা কমেছে। তারই পরিপূরক হিসেবে থানায় আসামি পিটিয়ে মেরে ফেলার কালচার গতি পাচ্ছে কিনা আমরা জানি না। তবে এর মধ্যে দিয়ে অরাজকতার যে বীজ রোপিত হচ্ছে তা অঙ্কুরিত হয়ে মহীরূহে পরিণত হলে গোটা জাতিকে কঠিন মূল্য দিতে হবে।
No comments