উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিঃ পুলিশি তৎপরতা জোরদার করুন
রাজধানীসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছিনতাই, লুটতরাজ, চুরি-ডাকাতির পাশাপাশি চলছে খুন-খারাবির ঘটনা। বাস্তবিক অর্থেই অপরাধীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বারবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হুশিয়ারি সত্ত্বেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে তেমন ভাটা পড়েনি। এর আগে আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ অপরাধ দমন অভিযান জোরদার করার ঘোষণা দিলেও অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। একই দিনে রাজধানীতে তিনটি পৃথক ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গুলি করে টাকা ছিনতাই এবং উত্তরায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খুনের ঘটনা পুলিশি তত্পরতার বেহাল দশাই প্রমাণ করে। এভাবে অপরাধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকায় স্বভাবতই জনগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কৌশল পাল্টিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পহেলা ফেব্রুয়ারি উত্তরায় খুনের ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে, রাজপথে, শত শত লোকের সামনে। ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে উল্লিখিত ছাত্রকে ছুরি মারার পর বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে পথচারীসহ তিনজন আহত হন। নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী জেএমবির সদস্য ছিল। ভুল বুঝাবুঝির কারণে জেএমবি সদস্যরাই তাকে খুন করেছে পরিকল্পিতভাবে। এদিকে ওই দিন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তিনজন। আলাদাভাবে সংঘটিত তিনটি ঘটনাই ঘটেছে প্রকাশ্য দিবালোকে। পুলিশ অকুস্থলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়া গত ২৪ জানুয়ারি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন একজন কলেজছাত্রী ও হস্তরেখাবিদ। বছরের শেষ দিনে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটে রাজধানীতে। এসব খুনখারাবির ঘটনার পাশাপাাশি ছোট-বড় ডাকাতি, ছিনতাই, গাড়ি চুরির ঘটনা তো হচ্ছে হামেশাই। বিভিন্ন নামের অপরাধীচক্রও কমবেশি তত্পর। বাস স্টেশন-টার্মিনাল, স্টিমারঘাট, রেল স্টেশনে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ব্যাগেজ পার্টির উত্পাত লেগেই আছে।
আইনশৃঙ্খলার সার্বিক হালহকিকত দেখে অনুমান করা যায়, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অপরাধীচক্র বহুলাংশে দমন থাকে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তারা ওই সুযোগ নিয়ে মাঠে নামে। বর্তমানে রাজপথের রাজনীতি শান্ত থাকলেও শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তির পরিবেশ ফিরে আসেনি। এই ফাঁকে ছাত্র নামধারী অপরাধীরা সক্রিয় হতেই পারে। ছাত্র সংগঠনগুলোয় অন্তর্বিবাদ এবং তার জের ধরে বিভক্ত গ্রুপে হামলা-পাল্টাহামলা, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি ঘটনা অপরাধীদের উত্সাহিত করে বৈকি। এদিকেও সংশ্লিষ্ট মহলকে নজর দিতে হবে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তারা মেট্রোপলিটন এলাকার সব থানায় ওসিদের নিয়ে সন্ত্রাস দমনসহ অপরাধীচক্রের হোতাদের যে কোনো মূল্যে গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রুখতে সার্বিক তত্পরতা জোরদার করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গর্জন অনুসারে ছিটেফোঁটা বর্ষণও হয়নি। খুনখারাবিসহ ছিঁচকে অপরাধ অব্যাহত থাকায় নিরাপত্তাহীনতার বেড়াজালে আটকে আছে জনজীবন। বলা দরকার, বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর সারা দেশে থানার সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবসহ পরিস্থিতির প্রয়োজনে ভারপ্রাপ্ত থানা কর্মকর্তাদের ব্যাপক রদবদল করা হয়। পুলিশ ও র্যাবের কর্মকাণ্ডেও আনা হয়েছে নানা পরিবর্তন। এতসবের পরও প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে স্রেফ ছুরির আঘাতে একের পর এক খুন-জখম করে দুর্বৃত্তদের নির্বিঘ্নে গা ঢাকা দেয়ার ঘটনা নিশ্চয়ই স্বস্তিকর পরিবেশের প্রমাণ নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর নজরদারিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত সক্রিয়তার বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে রাজনীতির দোহাই দিয়ে অপরাধীদের লাই দেয়ার কালচার।
পহেলা ফেব্রুয়ারি উত্তরায় খুনের ঘটনা ঘটেছে প্রকাশ্যে, রাজপথে, শত শত লোকের সামনে। ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে উল্লিখিত ছাত্রকে ছুরি মারার পর বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে পথচারীসহ তিনজন আহত হন। নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী জেএমবির সদস্য ছিল। ভুল বুঝাবুঝির কারণে জেএমবি সদস্যরাই তাকে খুন করেছে পরিকল্পিতভাবে। এদিকে ওই দিন ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন তিনজন। আলাদাভাবে সংঘটিত তিনটি ঘটনাই ঘটেছে প্রকাশ্য দিবালোকে। পুলিশ অকুস্থলে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়া গত ২৪ জানুয়ারি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মারাত্মক আহত হয়েছেন একজন কলেজছাত্রী ও হস্তরেখাবিদ। বছরের শেষ দিনে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটে রাজধানীতে। এসব খুনখারাবির ঘটনার পাশাপাাশি ছোট-বড় ডাকাতি, ছিনতাই, গাড়ি চুরির ঘটনা তো হচ্ছে হামেশাই। বিভিন্ন নামের অপরাধীচক্রও কমবেশি তত্পর। বাস স্টেশন-টার্মিনাল, স্টিমারঘাট, রেল স্টেশনে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ব্যাগেজ পার্টির উত্পাত লেগেই আছে।
আইনশৃঙ্খলার সার্বিক হালহকিকত দেখে অনুমান করা যায়, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অপরাধীচক্র বহুলাংশে দমন থাকে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তারা ওই সুযোগ নিয়ে মাঠে নামে। বর্তমানে রাজপথের রাজনীতি শান্ত থাকলেও শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তির পরিবেশ ফিরে আসেনি। এই ফাঁকে ছাত্র নামধারী অপরাধীরা সক্রিয় হতেই পারে। ছাত্র সংগঠনগুলোয় অন্তর্বিবাদ এবং তার জের ধরে বিভক্ত গ্রুপে হামলা-পাল্টাহামলা, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি ঘটনা অপরাধীদের উত্সাহিত করে বৈকি। এদিকেও সংশ্লিষ্ট মহলকে নজর দিতে হবে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। তারা মেট্রোপলিটন এলাকার সব থানায় ওসিদের নিয়ে সন্ত্রাস দমনসহ অপরাধীচক্রের হোতাদের যে কোনো মূল্যে গ্রেফতার করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রুখতে সার্বিক তত্পরতা জোরদার করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গর্জন অনুসারে ছিটেফোঁটা বর্ষণও হয়নি। খুনখারাবিসহ ছিঁচকে অপরাধ অব্যাহত থাকায় নিরাপত্তাহীনতার বেড়াজালে আটকে আছে জনজীবন। বলা দরকার, বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর সারা দেশে থানার সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবসহ পরিস্থিতির প্রয়োজনে ভারপ্রাপ্ত থানা কর্মকর্তাদের ব্যাপক রদবদল করা হয়। পুলিশ ও র্যাবের কর্মকাণ্ডেও আনা হয়েছে নানা পরিবর্তন। এতসবের পরও প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে স্রেফ ছুরির আঘাতে একের পর এক খুন-জখম করে দুর্বৃত্তদের নির্বিঘ্নে গা ঢাকা দেয়ার ঘটনা নিশ্চয়ই স্বস্তিকর পরিবেশের প্রমাণ নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কঠোর নজরদারিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত সক্রিয়তার বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে রাজনীতির দোহাই দিয়ে অপরাধীদের লাই দেয়ার কালচার।
No comments