চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসঃ অর্থনীতির ঝুঁকি কাটেনি
কোনোভাবেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঝুঁকিমুক্ত হতে পারছে না। বিনিয়োগ ছাড়া অর্থনীতির সব সূচকই ইতিবাচক বলার পরও অর্থমন্ত্রী ঝুঁকির কথা স্বীকার করেছেন। বিনিয়োগ পরিস্থিতিকেও তিনি সন্তোষজনক বলতে পারেননি। ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি আর প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাবের কথাও তাকে স্বীকার করে নিতে হয়েছে।
রাজস্ব আদায় রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির আশা প্রকাশ করলেও অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে টার্গেট পূরণ হয়েছে কিনা সেটা তিনি উল্লেখ করেননি। তিন মাস অন্তর জাতীয় সংসদে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন তুলে ধরার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। কেন? তার ব্যাখ্যা নেই। অর্থনীতি সম্পর্কিত এক উচ্চপর্যায়ের আলোচনা সভা রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে দেশের এ সম্পর্কিত হাল-হকিকত তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী।
গত ১১ নভেম্বর জাতীয় সংসদে নির্ধারিত তিন মাসের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন পেশ না করে এখন ছয় মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতিকেই এখনও অর্থনীতির বড় ঝুঁকি বলে উল্লেখ করেছেন। বিনিয়োগ, বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ খুবই হতাশাজনক। অর্থমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন, বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে নানান জটিলতা ও হয়রানির মুখে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যান। মহাজোট সরকারের এক বছর দেশ শাসনের পর এমন স্বীকারোক্তি দেশের অর্থনীতি নিয়ে সব আশাবাদী কথাকে ফুটো বেলুনের মতো চুপসে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলা যায়। দেশে নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ নেই—এটাই বাস্তব সত্য। বিদ্যুত্ ও জ্বালানি পরিস্থিতিও এ কথাই প্রমাণ করে। এ অবস্থা যতদিন অপরিবর্তিত থাকবে ততদিন বিনিয়োগ থমকে থাকবে এটা জোর দিয়ে বলা যায়। বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করার জন্য অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ববোর্ডকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে রেকর্ড সৃষ্টিরও আশা প্রকাশ করেছেন। গত ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার মাত্র ২৮ শতাংশ। পরবর্তী ছয় মাসে এ হার সন্তোষজনক হবে এমনটা অবশ্য বলতে পারেননি তিনি। তবে এক্ষেত্রে অদক্ষতা ও জনবলের অভাবের কথা শোনা গেছে তার মুখে। প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প-পরিচালকরা না থাকায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন। এসব কারণে চলতি অর্থবছরের বিশাল উন্নয়ন বাজেট কাটছাঁট না করে পারা যাবে না। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত আমন ধান উত্পাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া এবং বোরো উত্পাদনে অনিশ্চয়তার খবর ভবিষ্যেক উদ্বেগজনক করে তুলেছে। গত ছয় মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বোঝার জন্য যথেষ্ট বলা যায়।
তারপরও অর্থমন্ত্রীর বিনিয়োগ ছাড়া অর্থনীতির সব সূচকই ইতিবাচক বলার কারণ বুঝতে কষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। খাদ্য উত্পাদনে সঙ্কট ও বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা সবাইকে উদ্বিগ্ন করলেও কৃষিমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদেশের মানুষ ক্ষমতাসীনদের মুখে সব সময় এমন আশার কথা শুনতেই অভ্যস্ত। তারা ক্ষমতার মোহে চোখ বন্ধ রাখাটাই পছন্দ করেন। এটাই তাদের প্রচলিত রীতি। কিন্তু মেঘ কখনও সূর্যের আলোকে ঢেকে রাখতে পারে না। তার প্রকাশ অবধারিত। অর্থনীতির ঝুঁকির কথাও একইভাবে প্রকাশ হয়ে পড়েছে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে। এসব ঝুঁকি দূর করাই এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে বিপর্যয় ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
গত ১১ নভেম্বর জাতীয় সংসদে নির্ধারিত তিন মাসের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন পেশ না করে এখন ছয় মাসের প্রতিবেদন তুলে ধরার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতিকেই এখনও অর্থনীতির বড় ঝুঁকি বলে উল্লেখ করেছেন। বিনিয়োগ, বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ খুবই হতাশাজনক। অর্থমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন, বিনিয়োগকারীরা দেশে এসে নানান জটিলতা ও হয়রানির মুখে শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যান। মহাজোট সরকারের এক বছর দেশ শাসনের পর এমন স্বীকারোক্তি দেশের অর্থনীতি নিয়ে সব আশাবাদী কথাকে ফুটো বেলুনের মতো চুপসে দেয়ার জন্য যথেষ্ট বলা যায়। দেশে নিরাপদ বিনিয়োগের সুযোগ নেই—এটাই বাস্তব সত্য। বিদ্যুত্ ও জ্বালানি পরিস্থিতিও এ কথাই প্রমাণ করে। এ অবস্থা যতদিন অপরিবর্তিত থাকবে ততদিন বিনিয়োগ থমকে থাকবে এটা জোর দিয়ে বলা যায়। বিনিয়োগকারীদের হয়রানি করার জন্য অর্থমন্ত্রী জাতীয় রাজস্ববোর্ডকে অভিযুক্ত করার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে রেকর্ড সৃষ্টিরও আশা প্রকাশ করেছেন। গত ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার মাত্র ২৮ শতাংশ। পরবর্তী ছয় মাসে এ হার সন্তোষজনক হবে এমনটা অবশ্য বলতে পারেননি তিনি। তবে এক্ষেত্রে অদক্ষতা ও জনবলের অভাবের কথা শোনা গেছে তার মুখে। প্রকল্প এলাকায় প্রকল্প-পরিচালকরা না থাকায় তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন। এসব কারণে চলতি অর্থবছরের বিশাল উন্নয়ন বাজেট কাটছাঁট না করে পারা যাবে না। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত আমন ধান উত্পাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া এবং বোরো উত্পাদনে অনিশ্চয়তার খবর ভবিষ্যেক উদ্বেগজনক করে তুলেছে। গত ছয় মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি মাইনাস ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বোঝার জন্য যথেষ্ট বলা যায়।
তারপরও অর্থমন্ত্রীর বিনিয়োগ ছাড়া অর্থনীতির সব সূচকই ইতিবাচক বলার কারণ বুঝতে কষ্ট হওয়াই স্বাভাবিক। খাদ্য উত্পাদনে সঙ্কট ও বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা সবাইকে উদ্বিগ্ন করলেও কৃষিমন্ত্রী খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এদেশের মানুষ ক্ষমতাসীনদের মুখে সব সময় এমন আশার কথা শুনতেই অভ্যস্ত। তারা ক্ষমতার মোহে চোখ বন্ধ রাখাটাই পছন্দ করেন। এটাই তাদের প্রচলিত রীতি। কিন্তু মেঘ কখনও সূর্যের আলোকে ঢেকে রাখতে পারে না। তার প্রকাশ অবধারিত। অর্থনীতির ঝুঁকির কথাও একইভাবে প্রকাশ হয়ে পড়েছে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে। এসব ঝুঁকি দূর করাই এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে বিপর্যয় ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
No comments