১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাফিজ, দ্বীন ও সোবহান দায়ীঃ এনএসআই
চট্টগ্রামের একটি বিশেষ আদালতে এনএসআইয়ের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এনামুর রহমান চৌধুরীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই সপ্তাহ পর চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র আটক এবং চোরাচালান মামলা দুটির কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।
আদালতে দেয়া সাক্ষ্য ঘটনা তদন্তে সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটির অন্যতম এ সদস্য বলেন, ‘‘চোরাচালানী হাফিজসহ দ্বীন মোহাম্মদ ও হাজী সোবহান এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন।’’চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় এবং এক ঘণ্টার লাঞ্চ বিরতির পর বেলা পাঁচটা পর্যন্ত চলে।
মামলার কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণ আগে জামায়াত নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটক ১০ আসামিকে কড়া প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। সিইউএফএল এর সাবেক জিএম এনামুল হক অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি বলে জানানো হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এনামুর বলেন, “এই তিনজনের জড়িত থাকার বিষয় তিনি স্বচক্ষে দেখেননি, পরবর্তীতে তদন্তে এদের নাম জানতে পারেন।”
তিনজনই বর্তমানে এই মামলার আসামি। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান ও দীন মোহাম্মদ ঘটনাস্থলের লেবার সাপ্লাইয়ার ও ক্যারিং কন্ট্রাক্টর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অপরদিকে যে দুটি ট্রলারে করে অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল তার একটির মালিক ছিলেন হাজি সোবহান।
এনামুর রহমান বলেন, “২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালান ধরা পড়ার দু’একদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব ওমর ফারুককে প্রধান করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির তিনি একজন সদস্য ছিলেন। কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক বৈঠক শেষ চট্টগ্রাম গিয়ে সরেজমিন ঘটনা তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর কমিটির আরো দুই সদস্যসহ তিনি ঘটনাস্থল সিইউএফএল জেটিতে গিয়ে সেখানে কর্মরত পুলিশ, নিরাপত্তা রক্ষীসহ বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের সঙ্গে হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ ও হাজি সোবহান জড়িত। পরে মাসখানেক পর তদন্ত কমিটির যে রিপোর্ট দাখিল করা হয়, তাতে এই তিনজনের নাম ছিল।”
এনামুর আদালতে আরো বলেন, “তদন্ত শেষে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরে যাওয়ার পর তিনি এনএসআইর একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি ফ্যাক্সবার্তা পান। তাতে বলা হয়, ‘এনএসআইর ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খানকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।’ অবশ্য পরে আর সিআইডির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিতে নাম দেয়া প্রসঙ্গে এনামুল আদালতে বলেন, তিনি তখন এনএসআইর বহির্বিভাগের পরিচালক ছিলেন। তার ঊর্ধতন কর্মকর্তা এনএসআইর ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম তদন্ত কমিটিতে তার নাম প্রস্তাব করেন এবং বলেন, ‘বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করবেন। অস্ত্রগুলো কোনো দেশ থেকে আনা হয়েছে তাও জানার চেষ্টা করবেন।
সাক্ষ্য দেয়ার পর তাকে জেরা করেন আসামি হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ, সোবহান ও আকবর হোসেনের আইনজীবীরা।
একপর্যায়ে তাকে জেরা করতে ওঠেন আসামি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিমের দু’জন আইনজীবী।
এসময় আদালত তাদের উদ্দেশে তারা বলেন, “সাক্ষী তো তার (রহিমের) বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তাহলে আপনারা কেন জেরা করতে চাচ্ছেন। জবাবে ওই দুই আইনজীবী বলেন, ‘‘রহিম তাকে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এমন মন্তব্য করার কারণে আমরা জেরা করতে চাই।’’
আদালত এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “এই মন্তব্যে তো আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এসময় আদালত সাক্ষীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি কি সাক্ষ্যে আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন? সাক্ষী বলেন, না।” এরপরও রহিমের আইনজীবীরা জেরা করতে চাইলে আদালত কয়েক মিনিট জেরার সুযোগ দেন।
এর আগে অন্য আসামিদের জেরার জবাবে এনামুর বলেন, “তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিইউএফএল জেটিতে গিয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, চৌকিদার বা এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেননি। তারা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বললে তারা হাফিজ, সোবহান ও দীন মোহাম্মদের নাম বলে।”
এ সময় হাফিজ, দ্বীন মোহাম্মদ ও হাজী সোবহানের আইনজীবীরা বলেন, “এনামুর ভাসা ভাসা তদন্তের ভিত্তিতে সত্যকে আড়াল করে আদালতে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন।” এনামুল বলেন, “আমি তদন্তে যা পেয়েছি তাই বলেছি।’’
আসামি পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান, তারিক আহমেদ, আবুল হাসান শাহাব উদ্দিন, কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, মো. আহসানসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
মামলার কার্যক্রম আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। বুধবার ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিটাচমেন্ট অফিসার কর্নেল অব. রেজাউর রহমানের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
ইতিপূর্বে এ মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও শিল্পসচিব ড. শোয়েব আহমদ চৌধুরী, বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম, সিএমপির তৎকালীন সহকারী-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুর রহমান সাক্ষ্য দেন।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানা সিইউএফএল এর জেটীতে খালাসকালে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকের ঘটনায় অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা হয়।
অবৈধ অস্ত্র আটক বিষয়ে মামলার আসামিদের মধ্যে নিজামী, বাবর, রেজ্জাকুল রহিমসহ ১১ আসামি আটক থাকলেও মূল ও সম্পূরক চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমীন ও আসাম ভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।
গত জোট সরকারের আমলে করা তদন্তে মূল আসামিদের বাদ দেয়া হয়েছে এ অভিযোগে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেয়া অধিকতর তদন্তের আদেশ মোতাবেক সাড়ে তিন বছর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রাম সিআইডি আদালতে ওই মামলা দুটির সম্পুরক চার্জশিট দাখিল করে। ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে এবং একই বছরের ২৯ নভেম্বর কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ আলোচিত মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
মামলার কার্যক্রম শুরুর কিছুক্ষণ আগে জামায়াত নেতা ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটক ১০ আসামিকে কড়া প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। সিইউএফএল এর সাবেক জিএম এনামুল হক অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি বলে জানানো হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. এনামুর বলেন, “এই তিনজনের জড়িত থাকার বিষয় তিনি স্বচক্ষে দেখেননি, পরবর্তীতে তদন্তে এদের নাম জানতে পারেন।”
তিনজনই বর্তমানে এই মামলার আসামি। এদের মধ্যে হাফিজুর রহমান ও দীন মোহাম্মদ ঘটনাস্থলের লেবার সাপ্লাইয়ার ও ক্যারিং কন্ট্রাক্টর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অপরদিকে যে দুটি ট্রলারে করে অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল তার একটির মালিক ছিলেন হাজি সোবহান।
এনামুর রহমান বলেন, “২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালান ধরা পড়ার দু’একদিন পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব ওমর ফারুককে প্রধান করে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির তিনি একজন সদস্য ছিলেন। কমিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক বৈঠক শেষ চট্টগ্রাম গিয়ে সরেজমিন ঘটনা তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর কমিটির আরো দুই সদস্যসহ তিনি ঘটনাস্থল সিইউএফএল জেটিতে গিয়ে সেখানে কর্মরত পুলিশ, নিরাপত্তা রক্ষীসহ বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন যে ১০ ট্রাক অস্ত্র চালানের সঙ্গে হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ ও হাজি সোবহান জড়িত। পরে মাসখানেক পর তদন্ত কমিটির যে রিপোর্ট দাখিল করা হয়, তাতে এই তিনজনের নাম ছিল।”
এনামুর আদালতে আরো বলেন, “তদন্ত শেষে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফিরে যাওয়ার পর তিনি এনএসআইর একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি ফ্যাক্সবার্তা পান। তাতে বলা হয়, ‘এনএসআইর ফিল্ড অফিসার আকবর হোসেন খানকে সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।’ অবশ্য পরে আর সিআইডির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটিতে নাম দেয়া প্রসঙ্গে এনামুল আদালতে বলেন, তিনি তখন এনএসআইর বহির্বিভাগের পরিচালক ছিলেন। তার ঊর্ধতন কর্মকর্তা এনএসআইর ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম তদন্ত কমিটিতে তার নাম প্রস্তাব করেন এবং বলেন, ‘বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করবেন। অস্ত্রগুলো কোনো দেশ থেকে আনা হয়েছে তাও জানার চেষ্টা করবেন।
সাক্ষ্য দেয়ার পর তাকে জেরা করেন আসামি হাফিজুর রহমান, দীন মোহাম্মদ, সোবহান ও আকবর হোসেনের আইনজীবীরা।
একপর্যায়ে তাকে জেরা করতে ওঠেন আসামি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিমের দু’জন আইনজীবী।
এসময় আদালত তাদের উদ্দেশে তারা বলেন, “সাক্ষী তো তার (রহিমের) বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তাহলে আপনারা কেন জেরা করতে চাচ্ছেন। জবাবে ওই দুই আইনজীবী বলেন, ‘‘রহিম তাকে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এমন মন্তব্য করার কারণে আমরা জেরা করতে চাই।’’
আদালত এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “এই মন্তব্যে তো আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এসময় আদালত সাক্ষীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি কি সাক্ষ্যে আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন? সাক্ষী বলেন, না।” এরপরও রহিমের আইনজীবীরা জেরা করতে চাইলে আদালত কয়েক মিনিট জেরার সুযোগ দেন।
এর আগে অন্য আসামিদের জেরার জবাবে এনামুর বলেন, “তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিইউএফএল জেটিতে গিয়ে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যান, চৌকিদার বা এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেননি। তারা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বললে তারা হাফিজ, সোবহান ও দীন মোহাম্মদের নাম বলে।”
এ সময় হাফিজ, দ্বীন মোহাম্মদ ও হাজী সোবহানের আইনজীবীরা বলেন, “এনামুর ভাসা ভাসা তদন্তের ভিত্তিতে সত্যকে আড়াল করে আদালতে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন।” এনামুল বলেন, “আমি তদন্তে যা পেয়েছি তাই বলেছি।’’
আসামি পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুর রহমান, তারিক আহমেদ, আবুল হাসান শাহাব উদ্দিন, কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, মো. আহসানসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।
মামলার কার্যক্রম আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। বুধবার ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিটাচমেন্ট অফিসার কর্নেল অব. রেজাউর রহমানের সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে।
ইতিপূর্বে এ মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও শিল্পসচিব ড. শোয়েব আহমদ চৌধুরী, বিসিআইসির সাবেক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান বীরবিক্রম, সিএমপির তৎকালীন সহকারী-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মাহমুদুর রহমান সাক্ষ্য দেন।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরবর্তী রাষ্ট্রায়ত্ব সার কারখানা সিইউএফএল এর জেটীতে খালাসকালে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আটকের ঘটনায় অস্ত্র ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা হয়।
অবৈধ অস্ত্র আটক বিষয়ে মামলার আসামিদের মধ্যে নিজামী, বাবর, রেজ্জাকুল রহিমসহ ১১ আসামি আটক থাকলেও মূল ও সম্পূরক চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমীন ও আসাম ভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।
গত জোট সরকারের আমলে করা তদন্তে মূল আসামিদের বাদ দেয়া হয়েছে এ অভিযোগে সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেয়া অধিকতর তদন্তের আদেশ মোতাবেক সাড়ে তিন বছর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রাম সিআইডি আদালতে ওই মামলা দুটির সম্পুরক চার্জশিট দাখিল করে। ২০১১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে এবং একই বছরের ২৯ নভেম্বর কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ আলোচিত মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
No comments