শিল্পকারখানায় গ্যাস রেশনিং-ফলাফল অনিশ্চিত
ভয়াবহ বিদ্যুত্ ঘাটতি মোকাবিলায় ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনার পর এখন রাজধানীর গ্যাস সঙ্কট ঠেকাতে রেশনিং শুরু হয়েছে। বুধবার গ্যাস রেশনিংয়ের প্রথম দিনটা ছিল হতাশাজনক। যদিও রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন পেট্রোবাংলা আশার কথা শুনিয়েছে।
নিয়মিত রেশনিং চালু হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হবে বলে তাদের ধারণা। বর্তমানে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ২২৫ কোটি ঘনফুট আর উত্পাদন গড়ে ১৯৮ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট ঘাটতি মোকাবিলা করতেই পেট্রোবাংলার উদ্যোগে শিল্পকারখানায় গ্যাস রেশনিং শুরু হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি গ্যাস ব্যবহারকারী শিল্পমালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকাকে ৭টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন এক-একটা এলাকার কারখানায় গ্যাস ব্যবহার বন্ধ থাকবে। তবে সিরামিক, গ্লাস, কম্পোজিট টেক্সটাইলস ও স্পিনিং মিলের মতো কিছু শিল্প এর আওতাবহির্ভূত থাকবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার নরসিংদী, ঘোড়াশাল, ভালুকা, জিঞ্জিরা, মুন্সীগঞ্জ এবং মেট্রো-৪ অঞ্চল অর্থাত্ তিতাসের বাড্ডা জোনের অন্তর্ভুক্ত তেজগাঁও, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, গুলশান, উত্তরার শিল্পকারখানা বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী এসব এলাকার বেশিরভাগ কারখানাই চালু ছিল। যথাসময়ে পণ্য রফতানির তাগিদে কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থায় এবং অন্যরা প্রচলিত ব্যবস্থায়ই নিজেদের কারখানা চালু রেখেছিলেন। যদিও গ্যাস রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিকেএমইএ, বিজেএমইএ, বিটিএমএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিতাস থেকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন এলাকার শিল্পমালিকদের কাছে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না যাওয়ায় অনেকেই বিষয়টা জানতেন না বলে জানিয়েছেন।
এমনিতেই গ্যাস ও বিদ্যুত্ সরবরাহে নিয়মিত অনিয়মের কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জেনারেটর চালিয়ে পণ্য উত্পাদন অব্যাহত রাখছে। বছরের এ সময় কাজের চাপ বেশি থাকায় কেউই কোনোরকম রিস্ক নিতে রাজি নন। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির অতিরিক্ত সপ্তাহের আরও একটি দিন গ্যাসের কারণে কারখানা বন্ধ রেখে লোকসানের আশঙ্কাও অস্বীকার করা যাবে না। যেমন, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির পর বুধবার কারখানা বন্ধ রাখতে আগ্রহী হননি তেজগাঁওয়ের শিল্পমালিকরা। মুন্সীগঞ্জের অধিকাংশ মালিকের বিষয়টি জানাই ছিল না। নরসিংদী থেকে ঘোড়াশালেও গ্যাস রেশনিংয়ের আলামত দেখা যায়নি। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কপাল কুচকানোর জন্য যথেষ্ট বলা যায়। অঞ্চলভেদে সপ্তাহে একদিন গ্যাস রেশনিংয়ের ঘোষণা দেয়া হলেও এর বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব সেটাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। তিতাসের পক্ষে বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। আর সিদ্ধান্ত অমান্য করে কারখানা চালু রাখার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াও সম্ভব নয়— এটা সংশ্লিষ্টরা মেনেই নিয়েছেন। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহমুক্ত থাকার উপায় নেই।
অর্থাত্ গ্যাস সঙ্কট মোকাবিলায় রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরুতেই ভালোরকমের হোঁচট খাওয়া অবাস্তব ছিল না মোটেই। ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে বিদ্যুত্ সাশ্রয়ের কথা কাগজে-কলমে বলা হলেও বাস্তবে এমন ফলাফল নিয়ে সন্দেহ দূর হওয়ার আগেই কাঁটা পূর্বাবস্থানে ফিরে এসেছে। এখন দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট ঘাটতি মোকাবিলায় গ্যাস রেশনিং কতটা ফলদায়ক হবে সেটা সংশ্লিষ্টরাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। রেশনিং সফল হলেও মাত্র ৩ থেকে ৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় সামগ্রিক সঙ্কট দূর করতে কতটা সুফল বয়ে আনবে সেটা অনুমান করা কঠিন নয়। রাজধানীর বাসাবাড়িতে গৃহস্থালি কাজে গ্যাসের অভাব যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তাকে শান্ত করতেই যদি রেশনিংয়ের মুলা ঝোলানো হয় তবে বলার কিছু নেই। কিন্তু এ চালাকি ধোপে টিকবে না জোর দিয়ে বলা যায়।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস উত্পাদনের পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেয়া যে সম্ভব নয় সেটা মাথায় রেখেই সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভুক্তভোগীদের ঠাণ্ডা করতে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সময় ক্ষেপণ করার চেয়ে স্থায়ী সমাধানে সর্বশক্তি নিয়োগ করাটাই হবে সবার জন্য মঙ্গলজনক। রাজধানীর গ্যাস সঙ্কট নিয়েই যেখানে এমন অবস্থা সেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত কী ফল বয়ে আনবে সেটাও চিন্তার বিষয়।
এমনিতেই গ্যাস ও বিদ্যুত্ সরবরাহে নিয়মিত অনিয়মের কারণে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান জেনারেটর চালিয়ে পণ্য উত্পাদন অব্যাহত রাখছে। বছরের এ সময় কাজের চাপ বেশি থাকায় কেউই কোনোরকম রিস্ক নিতে রাজি নন। তাছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির অতিরিক্ত সপ্তাহের আরও একটি দিন গ্যাসের কারণে কারখানা বন্ধ রেখে লোকসানের আশঙ্কাও অস্বীকার করা যাবে না। যেমন, রোববার সাপ্তাহিক ছুটির পর বুধবার কারখানা বন্ধ রাখতে আগ্রহী হননি তেজগাঁওয়ের শিল্পমালিকরা। মুন্সীগঞ্জের অধিকাংশ মালিকের বিষয়টি জানাই ছিল না। নরসিংদী থেকে ঘোড়াশালেও গ্যাস রেশনিংয়ের আলামত দেখা যায়নি। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কপাল কুচকানোর জন্য যথেষ্ট বলা যায়। অঞ্চলভেদে সপ্তাহে একদিন গ্যাস রেশনিংয়ের ঘোষণা দেয়া হলেও এর বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব সেটাও নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। তিতাসের পক্ষে বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। আর সিদ্ধান্ত অমান্য করে কারখানা চালু রাখার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াও সম্ভব নয়— এটা সংশ্লিষ্টরা মেনেই নিয়েছেন। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহমুক্ত থাকার উপায় নেই।
অর্থাত্ গ্যাস সঙ্কট মোকাবিলায় রেশনিংয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন শুরুতেই ভালোরকমের হোঁচট খাওয়া অবাস্তব ছিল না মোটেই। ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে বিদ্যুত্ সাশ্রয়ের কথা কাগজে-কলমে বলা হলেও বাস্তবে এমন ফলাফল নিয়ে সন্দেহ দূর হওয়ার আগেই কাঁটা পূর্বাবস্থানে ফিরে এসেছে। এখন দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ কোটি ঘনফুট ঘাটতি মোকাবিলায় গ্যাস রেশনিং কতটা ফলদায়ক হবে সেটা সংশ্লিষ্টরাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। রেশনিং সফল হলেও মাত্র ৩ থেকে ৪ কোটি ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় সামগ্রিক সঙ্কট দূর করতে কতটা সুফল বয়ে আনবে সেটা অনুমান করা কঠিন নয়। রাজধানীর বাসাবাড়িতে গৃহস্থালি কাজে গ্যাসের অভাব যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে তাকে শান্ত করতেই যদি রেশনিংয়ের মুলা ঝোলানো হয় তবে বলার কিছু নেই। কিন্তু এ চালাকি ধোপে টিকবে না জোর দিয়ে বলা যায়।
এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে গ্যাস উত্পাদনের পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেয়া যে সম্ভব নয় সেটা মাথায় রেখেই সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ভুক্তভোগীদের ঠাণ্ডা করতে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সময় ক্ষেপণ করার চেয়ে স্থায়ী সমাধানে সর্বশক্তি নিয়োগ করাটাই হবে সবার জন্য মঙ্গলজনক। রাজধানীর গ্যাস সঙ্কট নিয়েই যেখানে এমন অবস্থা সেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ শেষ পর্যন্ত কী ফল বয়ে আনবে সেটাও চিন্তার বিষয়।
No comments