প্রকৃতি-অরণ্য কুটিরে আগর বাগান by নীরব চৌধুরী
চারদিকে সবুজ গাছগাছালি ও লতাপাতার ঘন সন্নিবেশ। প্রায় ৪০ একর জায়গাজুড়ে এক মনোরম বাগান। পাখপাখালির কলকাকলিতে মুখর হয়ে আছে পরিবেশ। অনেকেই বেড়াতে আসেন এখানে। নাম ‘অরণ্য কুটির’।
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি উপজেলার পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে আসতে হয় অরণ্য কুটিরে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি উপজেলার পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে আসতে হয় অরণ্য কুটিরে।
জায়গাটির নাম শান্তিপুর। বৌদ্ধসম্প্রদায়ের তীর্থস্থান শান্তিপুরে এই অরণ্য কুটির নির্মাণ করা হয় ১৯৯৮ সালে। কুড়ি হাজার আগরগাছ নিয়ে এখানে সৃজন করা হয়েছে মনোরম এক বাগান। বৌদ্ধসম্প্রদায়ের লোকেরা তো তাঁদের এই তীর্থস্থানে আসেনই, এখন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও অনেকে বেড়াতে আসেন পাহাড়ি প্রকৃতির মধ্যে গড়ে তোলা এই বাগানে।
শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ মৈত্রী-লাভী শ্রীমৎ শাসনা রক্ষিত মহাস্থবির জানান, পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির কেন্দ্রটি ভিক্ষু সংঘ ও সহূদয় দাতাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার কেন্দ্র এবং তাঁকে কেন্দ্র করে বাগানটি বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রের সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং কুটিরের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে ২০ হাজার আগরগাছের বাগান করা হয়েছে। আগরবাগানটি খাগড়াছড়িতে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শান্তিপুর অরণ্য কুটির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সত্য নারায়ণ চাকমা জানান, ২০০০ সালে শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে আগরের বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করে পরে সেই চারা দিয়ে বাগান করা হয়। গাছগুলোর বয়স এখন ১২ বছর হয়েছে। সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে ক্রেতারা আসছেন গাছ কেনার জন্য। তবে এখনো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
খাগড়াছড়ি বন বিভাগের কর্মকর্তা জহুরুল আলম জানান, ‘পাহাড়ে আগরবাগান উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা ও পানছড়ি উপজেলায় কয়েকটি আগরবাগান হয়েছে। আগর একটি অর্থকরী বৃক্ষ। খাগড়াছড়ি অঞ্চলেও সিলেটের মতো আগরশিল্প গড়ে উঠতে পারে।
আগর চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতা সাধারণত ১৫-২০ মিটার, ক্ষেত্রবিশেষে ৪০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। শাখার উভয় দিকে বর্শা ফলাকৃতির পাতা গজায়। একই পুষ্পদণ্ডে সাদা রঙের অনেক ফুল হয়। পাপড়ি পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা, ফল নরম, তিন-চার সেন্টিমিটার লম্বা। ফল ডিম্বাকৃতির, চার-ছয় সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, পরিপক্ব বীজ সংগ্রহ করে পানিতে ২৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে পলিব্যাগে রোপণ করা হয়। চারার বয়স নয় মাস হলে বাগানে লাগানোর উপযুক্ত হয়। পাহাড়ি ঢালু অঞ্চলের কঙ্করময় মাটিতে এটি ভালো জন্মে। সাধারণত বীজের মাধ্যমে এটির বংশবিস্তার হয়ে থাকে। জুনে ফুল ফোটে এবং ফল হয় আগস্ট মাসে।
আগরের কাঠ খুবই সুগন্ধযুক্ত। এর নির্যাস থেকে অত্যন্ত মূল্যবান সুগন্ধি আতর ও তেল উৎপন্ন হয়। কাঠ আগরবাতির উপকরণ হিসেবেও ব্যবহূত হয়। এর ভেষজ গুণও রয়েছে। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাজহারুল করিমের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আগরের আদি জন্মভূমি পূর্ব হিমালয়, ভুটান ও আসাম। সুগন্ধি তরুটি বর্তমানে শোভা পাচ্ছে খাগড়াছড়িতে।
শান্তিপুর অরণ্য কুটিরের অধ্যক্ষ মৈত্রী-লাভী শ্রীমৎ শাসনা রক্ষিত মহাস্থবির জানান, পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির কেন্দ্রটি ভিক্ষু সংঘ ও সহূদয় দাতাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার কেন্দ্র এবং তাঁকে কেন্দ্র করে বাগানটি বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। কেন্দ্রের সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং কুটিরের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে ২০ হাজার আগরগাছের বাগান করা হয়েছে। আগরবাগানটি খাগড়াছড়িতে একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শান্তিপুর অরণ্য কুটির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সত্য নারায়ণ চাকমা জানান, ২০০০ সালে শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে আগরের বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করে পরে সেই চারা দিয়ে বাগান করা হয়। গাছগুলোর বয়স এখন ১২ বছর হয়েছে। সিলেট ও চট্টগ্রাম থেকে ক্রেতারা আসছেন গাছ কেনার জন্য। তবে এখনো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
খাগড়াছড়ি বন বিভাগের কর্মকর্তা জহুরুল আলম জানান, ‘পাহাড়ে আগরবাগান উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা ও পানছড়ি উপজেলায় কয়েকটি আগরবাগান হয়েছে। আগর একটি অর্থকরী বৃক্ষ। খাগড়াছড়ি অঞ্চলেও সিলেটের মতো আগরশিল্প গড়ে উঠতে পারে।
আগর চিরসবুজ বৃক্ষ। উচ্চতা সাধারণত ১৫-২০ মিটার, ক্ষেত্রবিশেষে ৪০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। শাখার উভয় দিকে বর্শা ফলাকৃতির পাতা গজায়। একই পুষ্পদণ্ডে সাদা রঙের অনেক ফুল হয়। পাপড়ি পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা, ফল নরম, তিন-চার সেন্টিমিটার লম্বা। ফল ডিম্বাকৃতির, চার-ছয় সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা জানান, পরিপক্ব বীজ সংগ্রহ করে পানিতে ২৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে পলিব্যাগে রোপণ করা হয়। চারার বয়স নয় মাস হলে বাগানে লাগানোর উপযুক্ত হয়। পাহাড়ি ঢালু অঞ্চলের কঙ্করময় মাটিতে এটি ভালো জন্মে। সাধারণত বীজের মাধ্যমে এটির বংশবিস্তার হয়ে থাকে। জুনে ফুল ফোটে এবং ফল হয় আগস্ট মাসে।
আগরের কাঠ খুবই সুগন্ধযুক্ত। এর নির্যাস থেকে অত্যন্ত মূল্যবান সুগন্ধি আতর ও তেল উৎপন্ন হয়। কাঠ আগরবাতির উপকরণ হিসেবেও ব্যবহূত হয়। এর ভেষজ গুণও রয়েছে। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাজহারুল করিমের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আগরের আদি জন্মভূমি পূর্ব হিমালয়, ভুটান ও আসাম। সুগন্ধি তরুটি বর্তমানে শোভা পাচ্ছে খাগড়াছড়িতে।
No comments