মন্ত্রী যে প্রশ্নের উত্তর দেননি-বৃত্তাকার নৌপথের বৃত্তাকার স্থবিরতা
ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথ তৈরির প্রকল্প বৃত্তাকার দীর্ঘসূত্রতায় ভুগছে। সংসদে প্রশ্নোত্তরে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্প শেষ হবে ২০১২ সালের জুলাই মাসে। ২০০৩ সালে চালু হওয়া প্রকল্পটির জন্য তাহলে লাগবে মোট নয় বছর।
২০০৩ সালে তৎকালীন নৌমন্ত্রীও এ রকম আশ্বাস দিয়েছিলেন, ২০১১ সালের শুরুতে বর্তমান নৌমন্ত্রী দেখাচ্ছেন দেড় বছর পরের তারিখ। আশার ছলনে আর কত ভুলতে হবে আমাদের?
চারপাশে নদী আর ভেতরে খাল মিলিয়ে ঢাকা হতে পারত পৃথিবীর এক অনন্য শহর। এটি হতে পারত পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর, পরিবেশবান্ধব ও গতিশীল যোগাযোগের রাজধানী। কিন্তু পূর্বাপর সরকার এই শহরকে অসুন্দর, নোংরা, প্রকৃতিবিপর্যয়কর ও অচল যোগাযোগের শহরে পরিণত করেছে। বৃত্তাকার নৌপথের বেলাতেও তাঁরা ‘সফল’, কেননা তাঁদের গুণেই এত চমৎকার একটি প্রকল্প দীর্ঘসূত্রতা আর গাফিলতির কবলে পড়েছে।
ঢাকা মহানগরের পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন ও যানজট কমানো ছিল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এ ছাড়া নৌপথ উন্নয়নের মাধ্যমে দুই পারের কৃষিজমিতে সেচের সুবিধা দেওয়া এবং ঢাকা শহরের পরিবেশগত উন্নয়নের চিন্তাও ছিল। কিন্তু প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আমিনবাজার থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সাতটি স্থানের বিরাট অংশ দখলদারেরা ভরাট করে ফেলেছে। এতে নৌপথের ১৩ কিলোমিটার অংশ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে সংস্কার করা প্রায় ৩০ কিলোমিটার নৌপথ এখন চলাচলের প্রায় অযোগ্য। চরম অযত্ন আর অবহেলার শিকার ১২টি ল্যান্ডিং স্টেশন এখন বখাটেদের আখড়া।
খননকাজ নিয়ে জোট সরকারের সময় দুর্নীতি হয়েছে। পরেও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু সেসবের সুরাহা হচ্ছে না, কেবল বাজেটই বাড়ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ না হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ কোটি টাকায়। মাননীয় মন্ত্রী সংসদে যে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন কিন্তু দেননি তা হলো: সময়ের কাজ সময়ে না করার খেসারত কে দেবে, দায়িত্বহীন কর্তাব্যক্তিরা নাকি জনগণ? এত কিছুর পরও কি ঢাকাবাসী এবং ঢাকার নদী ও প্রকৃতি কাঙ্ক্ষিত সুফল পাবে?
চারপাশে নদী আর ভেতরে খাল মিলিয়ে ঢাকা হতে পারত পৃথিবীর এক অনন্য শহর। এটি হতে পারত পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর, পরিবেশবান্ধব ও গতিশীল যোগাযোগের রাজধানী। কিন্তু পূর্বাপর সরকার এই শহরকে অসুন্দর, নোংরা, প্রকৃতিবিপর্যয়কর ও অচল যোগাযোগের শহরে পরিণত করেছে। বৃত্তাকার নৌপথের বেলাতেও তাঁরা ‘সফল’, কেননা তাঁদের গুণেই এত চমৎকার একটি প্রকল্প দীর্ঘসূত্রতা আর গাফিলতির কবলে পড়েছে।
ঢাকা মহানগরের পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়ন ও যানজট কমানো ছিল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এ ছাড়া নৌপথ উন্নয়নের মাধ্যমে দুই পারের কৃষিজমিতে সেচের সুবিধা দেওয়া এবং ঢাকা শহরের পরিবেশগত উন্নয়নের চিন্তাও ছিল। কিন্তু প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আমিনবাজার থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সাতটি স্থানের বিরাট অংশ দখলদারেরা ভরাট করে ফেলেছে। এতে নৌপথের ১৩ কিলোমিটার অংশ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সদরঘাট থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে সংস্কার করা প্রায় ৩০ কিলোমিটার নৌপথ এখন চলাচলের প্রায় অযোগ্য। চরম অযত্ন আর অবহেলার শিকার ১২টি ল্যান্ডিং স্টেশন এখন বখাটেদের আখড়া।
খননকাজ নিয়ে জোট সরকারের সময় দুর্নীতি হয়েছে। পরেও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু সেসবের সুরাহা হচ্ছে না, কেবল বাজেটই বাড়ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা অনুমোদিত হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ না হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় ৪৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৬৫ কোটি টাকায়। মাননীয় মন্ত্রী সংসদে যে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতেন কিন্তু দেননি তা হলো: সময়ের কাজ সময়ে না করার খেসারত কে দেবে, দায়িত্বহীন কর্তাব্যক্তিরা নাকি জনগণ? এত কিছুর পরও কি ঢাকাবাসী এবং ঢাকার নদী ও প্রকৃতি কাঙ্ক্ষিত সুফল পাবে?
No comments