মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে রাজনীতি নয়-বাহাস বন্ধ করুন
শেয়ারবাজার ও নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি যে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের আচরণ ও কথাবার্তায় সে ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ লক্ষ করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতারা যে পরস্পরের প্রতি দোষ চাপিয়ে যাচ্ছেন, তাতে বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে।
আর সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে বাড়তি মুনাফা কামিয়ে নিচ্ছেন। অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের ভাষায়, শেয়ারবাজারকে ‘জুয়াখেলা’য় পরিণত করা হয়েছে।
এ কথা ঠিক যে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার দায়িত্ব তাঁদেরই বেশি, যাঁরা সরকারে আছেন। তাই বলে বিরোধী দলের কোনো দায় নেই, সে কথা বলা যাবে না। সরকার শুরুতে চাল-তেলসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে নাজুক পরিস্থিতি হয়তো এড়ানো যেত। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে জিনিসপত্রের দাম সরকার ঠিক করে দেয় না সত্য, কিন্তু বাজার মনিটরিংয়ের কাজটি তো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিকমতো করতে পারে। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ফাটকাবাজ ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিয়েছে। এদের হাত থেকে সাধারণ ভোক্তাদের বাঁচাতে হবে। দেরিতে হলেও গত রোববার প্রধানমন্ত্রী বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সরকারের এসব পদক্ষেপের সুবিধা সাধারণ ভোক্তারা পাবেন কি না?
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে শেয়ারবাজারে স্থিতি আসবে। কিন্তু পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই কঠিন কাজ। সে ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়টি সরকারের আরও আগে ভাবা উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে সরকারকে যেমন ‘একলা চলো’ নীতি পরিহার করতে হবে, তেমনি বিরোধী দলকেও উসকানিমূলক বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। যখন দেশের মানুষ জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মহা সংকটে আছে, তখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ ও বক্তব্যই আশা করে সবাই। বাজার বা শেয়ারবাজার নিয়ে যে সংকট চলছে, সে ব্যাপারে সরকার বিরোধী দলের কাছে পরামর্শ চাইতে পারে, সংসদে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে। রাজনৈতিক বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে মতভেদ থাকবে, তাই বলে মানুষের বাঁচা-মরার বিষয়কে রাজনীতির হাতিয়ার করা ঠিক নয়।
প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রসচিব জিওফ্রে পায়াটকে বলেছেন, সরকার চায় বিরোধী দল সংসদে এসে যথাযথ ভূমিকা পালন করুক। বিরোধী দল বলেছে, পরিবেশ সৃষ্টি হলেই তারা সংসদে যাবে। এখন বাজার-পরিস্থিতি নিয়েই সেই আলোচনা শুরু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সংসদ সম্পর্কে বিদেশি অতিথির কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে বললে তা আরও গুরুত্ববহ হতো। তাঁরা দুই পক্ষের দূতিয়ালির দায়িত্বও পালন করতে পারতেন।
বাজার-পরিস্থিতি ক্রমশ অসহনীয় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা ভেবে সরকার ও বিরোধী দলের উচিত বাহাস বন্ধ করা। পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে যাঁদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, দয়া করে তাঁদের জন্য কিছু করুন।
এ কথা ঠিক যে জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার দায়িত্ব তাঁদেরই বেশি, যাঁরা সরকারে আছেন। তাই বলে বিরোধী দলের কোনো দায় নেই, সে কথা বলা যাবে না। সরকার শুরুতে চাল-তেলসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিলে নাজুক পরিস্থিতি হয়তো এড়ানো যেত। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে জিনিসপত্রের দাম সরকার ঠিক করে দেয় না সত্য, কিন্তু বাজার মনিটরিংয়ের কাজটি তো বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিকমতো করতে পারে। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাণিজ্যমন্ত্রীর পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ফাটকাবাজ ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিয়েছে। এদের হাত থেকে সাধারণ ভোক্তাদের বাঁচাতে হবে। দেরিতে হলেও গত রোববার প্রধানমন্ত্রী বাজার-পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সরকারের এসব পদক্ষেপের সুবিধা সাধারণ ভোক্তারা পাবেন কি না?
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, কিছুদিনের মধ্যে শেয়ারবাজারে স্থিতি আসবে। কিন্তু পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই কঠিন কাজ। সে ক্ষেত্রে নিত্যপণ্যের দামের বিষয়টি সরকারের আরও আগে ভাবা উচিত ছিল। এ ক্ষেত্রে সরকারকে যেমন ‘একলা চলো’ নীতি পরিহার করতে হবে, তেমনি বিরোধী দলকেও উসকানিমূলক বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বিরত থাকতে হবে। যখন দেশের মানুষ জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মহা সংকটে আছে, তখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ ও বক্তব্যই আশা করে সবাই। বাজার বা শেয়ারবাজার নিয়ে যে সংকট চলছে, সে ব্যাপারে সরকার বিরোধী দলের কাছে পরামর্শ চাইতে পারে, সংসদে খোলামেলা আলোচনা হতে পারে। রাজনৈতিক বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে মতভেদ থাকবে, তাই বলে মানুষের বাঁচা-মরার বিষয়কে রাজনীতির হাতিয়ার করা ঠিক নয়।
প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রসচিব জিওফ্রে পায়াটকে বলেছেন, সরকার চায় বিরোধী দল সংসদে এসে যথাযথ ভূমিকা পালন করুক। বিরোধী দল বলেছে, পরিবেশ সৃষ্টি হলেই তারা সংসদে যাবে। এখন বাজার-পরিস্থিতি নিয়েই সেই আলোচনা শুরু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী সংসদ সম্পর্কে বিদেশি অতিথির কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে বললে তা আরও গুরুত্ববহ হতো। তাঁরা দুই পক্ষের দূতিয়ালির দায়িত্বও পালন করতে পারতেন।
বাজার-পরিস্থিতি ক্রমশ অসহনীয় হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা ভেবে সরকার ও বিরোধী দলের উচিত বাহাস বন্ধ করা। পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে যাঁদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, দয়া করে তাঁদের জন্য কিছু করুন।
No comments