ভালোবাসার সাত দিন by সারওয়ার-উল-ইসলাম

শনিবার যাই তেজগাঁ কলেজে মোহনার কাছে আমি
মোহনা আমাকে ফাজলামো করে বলে, ‘হে আমার স্বামী,
তোমাকে কেবল সপ্তাহে এই শনিবার পাই কাছে
আমি ছাড়া আর এ ঢাকা শহরে কজন প্রেমিকা আছে?’


মোহনাকে নিয়ে রমনায় যাই, রিকশায় বলি, আরে—
তুই ছাড়া বল আপন আমার কে আর থাকতে পারে?

হলিক্রসে যাই রোববার আমি খুব সাজুগুজু করে
গিয়ে শুনি আমি মেঘনা দাঁড়িয়ে পনেরো মিনিট ধরে।
মেঘনা তো রেগে লাল হয়ে আছে ভাবি আমি কী যে করি
‘হবে না কখনো এত দেরি আর’—বলে ওর হাত ধরি।
‘অপেক্ষা করা কী যে কষ্টের জানো না’—মেঘনা বলে
আমি বলি তুমি আড়ি দিয়ে দিও আবার এমন হলে।

ফিরোজা রঙের টি-শার্ট সঙ্গে জিনসের প্যান্ট পরি
সারা গায়ে কড়া পারফিউম মেখে মোটরবাইকে চড়ি।
কারণ সোহাগী ফিরোজা কালার পছন্দ করে, তাই
সোমবার দিন গান গেয়ে গেয়ে বাংলা কলেজে যাই।

মঙ্গলবার দেখা করবেই ইডেনের শবনম
টানা টানা চোখ মিষ্টি চেহারা কথা বলে খুব কম।
ছয় দিন নাকি ওর মনে হয় ছয় বছরের মতো
ছয় দিন পর দেখা হওয়াতে কষ্ট যে ওর কতো।

সিটি কলেজের ফারহানা খুব অস্থিরতায় ভোগে
বুধবার দিন দেখা হলে বলে ভুগছি তোমার রোগে
দিনে দিনে দেখো শুকিয়ে যাচ্ছি কিছুই লাগে না ভালো
চোখের নিচটা দেখো ভালো করে হয়েছে কেমন কালো।

বিষ্যুদবার নীনার সঙ্গে রোকেয়া হলের গেটে
দেখা করি আমি, বাদাম চিবোই তারপর হেঁটে হেঁটে।
কোন ছেলে নাকি ভালোবেসে ওকে চিঠিও দিয়েছে এক
চিঠিটা আমার হাতে দিয়ে বলে দেখ কী লিখেছে দেখ।
চিঠি পড়ে আমি হা হা করে হাসি হায়রে পাগল ছেলে
লিখেছে, ‘ও নীনা, মরে যাব আমি তোমাকে কাছে না পেলে।’

শুক্কুরবার লালমাটিয়ার সিলভি আমায় কয়
বাবা-মাকে আর বিশ্বাস নেই, তাই তো এখন ভয়
হয়তো আমার বিয়ে দিয়ে দিবে তখন কেমন হবে!
আমিও তখন চিন্তিত হই মুখে বলে ফেলি—তবে?
সিলভি তখন বলে ফেলে, ‘চলো পালিয়ে কোথাও যাই’
চলো আমাদের বাবা-মাকে বলি গুডবাই! গুডবাই!!

কৃষ্ণের ছিল একজন আর আমার সাতটি রাধা
হাতে নেই বাঁশি মোবাইল তো আছে ভাবুক সবাই গাধা।

No comments

Powered by Blogger.