নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নির্বিকার বর্ণনা by এস এম রানা
স্ত্রীর লাশের অর্ধেক ফ্রিজে রেখে বাকিটা চার টুকরো করা থেকে শুরু করে কার্টনে ভরা, কার্টন সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী বাস কাউন্টারে যাওয়া, মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌর সদরে নেমে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করা, গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করা- সব ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক ছিল ঘাতক স্বামী সাইফুল ইসলাম জুয়েল।
পুলিশের এমন মন্তব্যের জোরালো সত্যতা মিলেছে গতকাল রবিবার জুয়েলের সঙ্গে এই প্রতিবেদক কথা বলার সময়ও। পুলিশের উপস্থিতিতে কালের কণ্ঠকে সে বলে, 'মিলির সঙ্গে আমার পরিচয় মোবাইল ফোনে। মিস্ড কলের সূত্র ধরে চার বছর আগে পরিচয়। পরে আমরা বিয়ে করি। কিন্তু রাগের মাথায় তাকে হত্যা ও লাশ টুকরো টুকরো কেন করেছি বুঝতে পারছি না। এখন মনে হচ্ছে নিজের সর্বনাশ নিজেই করেছি।'
গতকাল বিকেলে জুয়েলকে বন্দর থানায় নিয়ে আসে ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ। আনুমানিক ৩৩ বছর বয়সের এই যুবক উচ্চতায় খাটো। গায়ের রং ফর্সা। পরনে গেঞ্জি ও কালো রঙের প্যান্ট। বন্দর থানায় আলাপকালে সে অকপটে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।
জুয়েল বলে, 'মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে সাড়ে তিন বছর আগে আমি বাগেরহাটে যাই। কিন্তু প্রথম দেখায় পছন্দ না হওয়ায় ঢাকায় ফিরে আসি। এই সময় মোবাইল ফোনে মিলি কান্নাকাটি করায় বাগেরহাট থেকে তাকে খুলনায় এনে কাজী অফিসে বিয়ে করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দাম্পত্যজীবনে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এদিকে পারিবারিক প্রস্তাবে গত বছর একটি মেয়েকে বিয়ে করি। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাতে দাম্পত্য কলহ প্রতিক্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।'
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জুয়েল বলে, 'হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে ঢাকায় গিয়েছিলাম। গত বুধবার চট্টগ্রামে ফিরে আসি এবং বৃহস্পতিবার রাতে মিলির বাসায় গেলে মিলি আমাকে সন্দেহ করে এবং হোটেলে ছিলাম বলে বকা দেওয়া শুরু করে। এই নিয়ে একপর্যায়ে মিলি আমার গায়ে হাত তোলে। এতে আমার রাগ বেড়ে যায়। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মিলি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মুখে-মাথায় পানি দেওয়ার পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে সে আবারও তর্ক শুরু করে। এই সময় আবার ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে মিলি পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দেখি সে মারা গেছে।'
জুয়েল জানায়, স্ত্রীর লাশ পাশে নিয়ে সে রাতটুকু কাটিয়ে পরের দিন শুক্রবার বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে আগ্রাবাদে সিঙ্গাপুর মার্কেটে গিয়ে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কিনে এনে মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে তা টুকরো টুকরো করে। বাড়িতে লাশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জুয়েল জানায়, গ্রামের কবরস্থানে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে দুই দফায় একা একা দাফন করতে চেয়েছিল। সে জানায়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা মিলি তাকে কখনো জানাননি।
গতকাল বিকেলে জুয়েলকে বন্দর থানায় নিয়ে আসে ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ। আনুমানিক ৩৩ বছর বয়সের এই যুবক উচ্চতায় খাটো। গায়ের রং ফর্সা। পরনে গেঞ্জি ও কালো রঙের প্যান্ট। বন্দর থানায় আলাপকালে সে অকপটে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।
জুয়েল বলে, 'মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে সাড়ে তিন বছর আগে আমি বাগেরহাটে যাই। কিন্তু প্রথম দেখায় পছন্দ না হওয়ায় ঢাকায় ফিরে আসি। এই সময় মোবাইল ফোনে মিলি কান্নাকাটি করায় বাগেরহাট থেকে তাকে খুলনায় এনে কাজী অফিসে বিয়ে করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দাম্পত্যজীবনে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এদিকে পারিবারিক প্রস্তাবে গত বছর একটি মেয়েকে বিয়ে করি। বর্তমানে দ্বিতীয় স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাতে দাম্পত্য কলহ প্রতিক্ষণের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।'
ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জুয়েল বলে, 'হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে ঢাকায় গিয়েছিলাম। গত বুধবার চট্টগ্রামে ফিরে আসি এবং বৃহস্পতিবার রাতে মিলির বাসায় গেলে মিলি আমাকে সন্দেহ করে এবং হোটেলে ছিলাম বলে বকা দেওয়া শুরু করে। এই নিয়ে একপর্যায়ে মিলি আমার গায়ে হাত তোলে। এতে আমার রাগ বেড়ে যায়। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মিলি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মুখে-মাথায় পানি দেওয়ার পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে সে আবারও তর্ক শুরু করে। এই সময় আবার ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে মিলি পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দেখি সে মারা গেছে।'
জুয়েল জানায়, স্ত্রীর লাশ পাশে নিয়ে সে রাতটুকু কাটিয়ে পরের দিন শুক্রবার বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে আগ্রাবাদে সিঙ্গাপুর মার্কেটে গিয়ে ২০০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কিনে এনে মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে তা টুকরো টুকরো করে। বাড়িতে লাশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জুয়েল জানায়, গ্রামের কবরস্থানে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে দুই দফায় একা একা দাফন করতে চেয়েছিল। সে জানায়, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা মিলি তাকে কখনো জানাননি।
No comments