কিন্তু সম্পদ ও প্রাণহানির দায় কে নেবে?-আবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
এক দিনের হরতাল শেষ না হতেই আজ আবার হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। গতকালের সফল হরতালের জন্য বিরোধী দল বিএনপি আত্মতৃপ্তি পেতে পারে, কিন্তু একজন নিরীহ বাসচালককে পুড়িয়ে এবং অন্য একজনকে ধাওয়া দিয়ে যে মারা হলো, তার দায় কে নেবে? আজও কি আবার কয়েকজনকে প্রাণ দিতে হবে?
নির্মম হত্যাকাণ্ড ও সম্পদ ধ্বংসের তাণ্ডবলীলা দেশের হিংসাত্মক রাজনীতির বন্ধ দুয়ারে করাঘাত করে জানিয়ে দিয়ে গেল, ন্যায়সংগত একটি দাবি আদায়ের জন্য কত বড় অন্যায় করা হচ্ছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলীকে জীবন্ত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আদায়ের জন্য একজন বাসচালককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে হলো কেন, কেন একটি গাড়িকে ধাওয়া করে আরেকজন চালককে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেওয়া হলো—এসব প্রশ্নের সদুত্তর হরতাল আহ্বানকারী রাজনৈতিক নেতাদের কাছে নেই। রাজনৈতিক কারণে কাউকে অপহরণ বা গুম করে ফেলার চেয়ে নৃশংসতা আর কিছু হতে পারে না। এর প্রতিবাদে তো সারা দেশের মানুষই সোচ্চার হয়েছে। তাহলে কেন এত জ্বালাও-পোড়াও ও প্রাণহানি?
মানুষ কোনো অবস্থাতেই হরতাল পছন্দ করে না। কিন্তু একজন বিরোধী নেতা গুম হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক হরতাল হয়তো অনেকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছিল। এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হলো। এ অবস্থায় হরতালের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বাসে আগুন দিয়ে সম্পদহানির গতানুগতিক ধারায় কৃত্রিম পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। কিন্তু বিএনপি সেই অপ্রয়োজনীয় পথেই অগ্রসর হয়েছে।
হরতাল সফল করার অপরিহার্য শর্ত যদি হয় জনমনে ভয়ভীতি সৃষ্টি এবং এ জন্য আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা, তাহলে সেই হরতালের চেয়ে বড় অভিশাপ আর কী হতে পারে? বিগত দিনেও হরতাল উপলক্ষে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটতে দেখেছি। এর পুনরাবৃত্তি আর নয়।
হরতালে বাধা দেওয়ার জন্য পুলিশ যে মারমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা বিরোধী দলের চাপা ক্ষোভ আরও উসকে দিয়ে তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ে প্ররোচিত করেছে মাত্র। ঢালাও গ্রেপ্তার, মামলা ও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, গুলি পরিস্থিতিকে সংঘাতের দিকে আরও বেশি করে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের কাছে মানুষ চায় শান্তি, আর ওরা অশান্তি সৃষ্টির সর্বনাশা পথে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ রাজনৈতিক দুষ্টবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত ও সে কারণে নিন্দনীয়।
বিএনপির নেতা ইলিয়াসকে খুঁজে বের করতে না পারলে সরকারকেই এর দায় বহন করতে হবে। সরকার যে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। র্যাব, পুলিশ, ডিবি, এনএসআইসহ এত লোকলস্কর, গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে যদি সরকার একজন অপহূত নেতার হদিস করতে না পারে, মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার অজুহাত চলবে না। সরকারকে এটা পরিষ্কার বুঝতে হবে। আর বিরোধী দলকে বুঝতে হবে, হরতাল কোনো সমাধান নয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ইলিয়াস আলীকে জীবন্ত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আদায়ের জন্য একজন বাসচালককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারতে হলো কেন, কেন একটি গাড়িকে ধাওয়া করে আরেকজন চালককে মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেওয়া হলো—এসব প্রশ্নের সদুত্তর হরতাল আহ্বানকারী রাজনৈতিক নেতাদের কাছে নেই। রাজনৈতিক কারণে কাউকে অপহরণ বা গুম করে ফেলার চেয়ে নৃশংসতা আর কিছু হতে পারে না। এর প্রতিবাদে তো সারা দেশের মানুষই সোচ্চার হয়েছে। তাহলে কেন এত জ্বালাও-পোড়াও ও প্রাণহানি?
মানুষ কোনো অবস্থাতেই হরতাল পছন্দ করে না। কিন্তু একজন বিরোধী নেতা গুম হয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক হরতাল হয়তো অনেকেই স্বাভাবিক বলে ধরে নিয়েছিল। এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত রাখতে হলো। এ অবস্থায় হরতালের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে বাসে আগুন দিয়ে সম্পদহানির গতানুগতিক ধারায় কৃত্রিম পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। কিন্তু বিএনপি সেই অপ্রয়োজনীয় পথেই অগ্রসর হয়েছে।
হরতাল সফল করার অপরিহার্য শর্ত যদি হয় জনমনে ভয়ভীতি সৃষ্টি এবং এ জন্য আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারা, তাহলে সেই হরতালের চেয়ে বড় অভিশাপ আর কী হতে পারে? বিগত দিনেও হরতাল উপলক্ষে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটতে দেখেছি। এর পুনরাবৃত্তি আর নয়।
হরতালে বাধা দেওয়ার জন্য পুলিশ যে মারমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা বিরোধী দলের চাপা ক্ষোভ আরও উসকে দিয়ে তাদের জ্বালাও-পোড়াওয়ে প্ররোচিত করেছে মাত্র। ঢালাও গ্রেপ্তার, মামলা ও লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল, গুলি পরিস্থিতিকে সংঘাতের দিকে আরও বেশি করে ঠেলে দিয়েছে। সরকারের কাছে মানুষ চায় শান্তি, আর ওরা অশান্তি সৃষ্টির সর্বনাশা পথে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ রাজনৈতিক দুষ্টবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত ও সে কারণে নিন্দনীয়।
বিএনপির নেতা ইলিয়াসকে খুঁজে বের করতে না পারলে সরকারকেই এর দায় বহন করতে হবে। সরকার যে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। র্যাব, পুলিশ, ডিবি, এনএসআইসহ এত লোকলস্কর, গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে যদি সরকার একজন অপহূত নেতার হদিস করতে না পারে, মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতার অজুহাত চলবে না। সরকারকে এটা পরিষ্কার বুঝতে হবে। আর বিরোধী দলকে বুঝতে হবে, হরতাল কোনো সমাধান নয়।
No comments