মানুষ পোড়ানোর হরতাল-এই জিঘাংসু রেওয়াজ থেকে মুক্তি চাই
অসুস্থ রাজনীতির শিকার হয়ে প্রাণ দিলেন গাড়িচালক বদর আলী বেগ। হরতালের আগের দিন আতঙ্ক বিস্তারের মাধ্যমে হরতাল সফল করার ঘৃণ্য কৌশল হিসেবে কিছু গাড়ি পোড়ানো যেন একটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
দূরপাল্লাঠ গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত বদর আলী শনিবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রাস্তার পাশে বাস রেখে বাসের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বেলা ২টায় কিছু লোক গাড়িতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, আর তাতে পুড়ে মারা যান বদর আলী। তাঁর পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে। বদর আলীর অবর্তমানে হয়তো তাঁর পরিবারকে রাস্তায় আশ্রয় নিতে হবে।
গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন এবং বুধবার দেশব্যাপী খবরটি রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিএনপির দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা সরকার তাঁকে গুম করেছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বৃহত্তর সিলেটে হরতাল পালন করা হয় এবং রবিবার সারা দেশে হরতাল ডাকা হয়। হরতালের রেওয়াজ হিসেবে শনিবার রাজধানীতে আটটি বাস পোড়ানো হয়। এতে জীবনহানি ছাড়াও কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাজধানীতে কিংবা রাজধানীর বাইরে আগেও এ রকম হরতালের কারণে বহু গাড়ি পোড়ানো হয়েছে এবং অনেক মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, একে কি আমরা সুস্থ রাজনীতি বলতে পারব?
সন্দেহ নেই, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের বিবেকবান প্রতিটি মানুষ এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজন চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দল বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু এ জন্য একজন নিরীহ বাসচালককে পুড়িয়ে মারা যায় কি? ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার এটি কি কোনো সুস্থ পন্থা? আটটি কেন ৮০টি বাস পোড়ানো যেতে পারে। তাতে বাসমালিকের ক্ষতি হবে কিংবা রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। কিন্তু এ কাজগুলো কোনোভাবেই কোনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে সহায়তা করার মতো নয়। আমরা হরতালের নামে এ ধরনের অমানবিক ও বর্বর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে আমরা নিন্দা জানাই সরকারি দলের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যেরও। তাঁদের কেউ কেউ এমনও বলছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপিই লুকিয়ে রেখে এখন নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। এসব কথা মুখে না বলে সেটি প্রমাণ করে দেখান। আর ইলিয়াস আলী তো প্রথম নন, এর আগেও বিএনপির আটজন নেতা-কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন এবং পরে দুজনের লাশও পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে তাঁদের উদ্ধার করার দায়িত্ব নিতে পারবেন না, আর মুখে নানা রকম কথা বলবেন- মানুষ কখনোই এটাকে সহজভাবে নেয়নি, নিতে পারে না। অতীতেও আমরা এ ধরনের মিথ্যাচার অনেক শুনেছি, এখনো শুনে যাচ্ছি এবং এগুলো আমাদের রাজনীতিকে দিন দিন কেবল কলুষিতই করছে। রাজনীতির লক্ষ্য যদি হয় দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ সাধন, তাহলে সেখানে রাজনৈতিক নোংরামি প্রশ্রয় পেতে পারে না। আমরা চাই, আমাদের দেশের রাজনীতি সেসব নোংরামি থেকে উঠে আসুক এবং রাজনীতি হোক জনকল্যাণের হাতিয়ার। হরতাল গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু বাস পুড়িয়ে, মানুষ পুড়িয়ে, বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে কাউকে হরতাল পালনে বাধ্য করাটা কোনো দেশেই গণতান্ত্রিক অধিকার বলে বিবেচিত হয় না। আমরা সুস্থ রাজনীতি চাই, শান্তিতে বসবাস করতে চাই এবং নোংরা রাজনীতির নিষ্ঠুর অভিঘাত থেকে মুক্তি চাই।
গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন এবং বুধবার দেশব্যাপী খবরটি রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিএনপির দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা সরকার তাঁকে গুম করেছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বৃহত্তর সিলেটে হরতাল পালন করা হয় এবং রবিবার সারা দেশে হরতাল ডাকা হয়। হরতালের রেওয়াজ হিসেবে শনিবার রাজধানীতে আটটি বাস পোড়ানো হয়। এতে জীবনহানি ছাড়াও কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। রাজধানীতে কিংবা রাজধানীর বাইরে আগেও এ রকম হরতালের কারণে বহু গাড়ি পোড়ানো হয়েছে এবং অনেক মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা, একে কি আমরা সুস্থ রাজনীতি বলতে পারব?
সন্দেহ নেই, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের বিবেকবান প্রতিটি মানুষ এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজন চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর দল বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু এ জন্য একজন নিরীহ বাসচালককে পুড়িয়ে মারা যায় কি? ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়ার এটি কি কোনো সুস্থ পন্থা? আটটি কেন ৮০টি বাস পোড়ানো যেতে পারে। তাতে বাসমালিকের ক্ষতি হবে কিংবা রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে এবং সাধারণ মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ আরো বাড়বে। কিন্তু এ কাজগুলো কোনোভাবেই কোনো নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারে সহায়তা করার মতো নয়। আমরা হরতালের নামে এ ধরনের অমানবিক ও বর্বর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে আমরা নিন্দা জানাই সরকারি দলের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যেরও। তাঁদের কেউ কেউ এমনও বলছেন, ইলিয়াস আলীকে বিএনপিই লুকিয়ে রেখে এখন নানা ধরনের কর্মসূচি দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। এসব কথা মুখে না বলে সেটি প্রমাণ করে দেখান। আর ইলিয়াস আলী তো প্রথম নন, এর আগেও বিএনপির আটজন নেতা-কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন এবং পরে দুজনের লাশও পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে তাঁদের উদ্ধার করার দায়িত্ব নিতে পারবেন না, আর মুখে নানা রকম কথা বলবেন- মানুষ কখনোই এটাকে সহজভাবে নেয়নি, নিতে পারে না। অতীতেও আমরা এ ধরনের মিথ্যাচার অনেক শুনেছি, এখনো শুনে যাচ্ছি এবং এগুলো আমাদের রাজনীতিকে দিন দিন কেবল কলুষিতই করছে। রাজনীতির লক্ষ্য যদি হয় দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ সাধন, তাহলে সেখানে রাজনৈতিক নোংরামি প্রশ্রয় পেতে পারে না। আমরা চাই, আমাদের দেশের রাজনীতি সেসব নোংরামি থেকে উঠে আসুক এবং রাজনীতি হোক জনকল্যাণের হাতিয়ার। হরতাল গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিষিদ্ধ নয়। কিন্তু বাস পুড়িয়ে, মানুষ পুড়িয়ে, বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে কাউকে হরতাল পালনে বাধ্য করাটা কোনো দেশেই গণতান্ত্রিক অধিকার বলে বিবেচিত হয় না। আমরা সুস্থ রাজনীতি চাই, শান্তিতে বসবাস করতে চাই এবং নোংরা রাজনীতির নিষ্ঠুর অভিঘাত থেকে মুক্তি চাই।
No comments