তালিকা তৈরিতে ধীরগতি কেন?-শহুরে কর্মজীবী মায়েদের ভাতা
শহুরে কর্মজীবী মায়েদের সহযোগিতার জন্য সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু উদ্যোগটি বাস্তবায়নে অস্বাভাবিক রকমের ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের আট মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মায়েদের সহায়তা তহবিলের’ অর্থ প্রদান শুরুই হয়নি।
চলতি অর্থবছরের জন্য এই তহবিলে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু অর্থ প্রদান শুরু হতে পারেনি। কারণ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী যাঁরা এ অর্থ পাওয়ার যোগ্য, সেসব শহুরে কর্মজীবী দরিদ্র মায়ের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়নি। এই তহবিলের অর্থ প্রদানসংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী কর্মজীবী দরিদ্র মায়েরা, যাঁদের মাসিক আয় পাঁচ হাজার টাকা বা এর কম, তাঁরা সন্তান জন্মদানের পর ২৪ মাস পর্যন্ত মাসিক ৩৫০ টাকা হারে ভাতা পাবেন। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেল, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আওতাভুক্ত নারীশ্রমিকদের মধ্যে যাঁদের দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে, তাঁরা এই ভাতা পাবেন শিশুটির দুই বছর বয়স পর্যন্ত। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের শহর ও শহরতলিগুলোর তৈরি পোশাকশিল্পের নারীশ্রমিকেরা এই তহবিল-সুবিধা পাবেন। কিন্তু এর বাইরেও অনেক নারীশ্রমিক আছেন, যাঁদের দুই বছর বা তার কম বয়সী দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে, যেমন গৃহনির্মাণশিল্পে। কিন্তু এই মায়েদের এ কর্মসূচির আওতায় নেওয়া হয়নি এ কারণে যে তাঁরা ভাসমান। এটা কোনো ভালো যুক্তি নয়, সহায়তা কর্মসূচিটি ফলপ্রসূ করতে হলে সব শহুরে দরিদ্র কর্মজীবী মাকে এর আওতায় আনা উচিত।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ—এই দুটি সংস্থায় নিবন্ধিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত মায়েদের মধ্য থেকে ভাতা পাওয়ার যোগ্যদের তালিকা তৈরি কেন অর্থবছরের আট মাসেও শেষ হলো না? কী প্রক্রিয়ায় তালিকা তৈরি করা হচ্ছে? এ কর্মসূচির গুরুত্বটা উপলব্ধি করা দরকার। দরিদ্র মেহনতি মা ও শিশুদের যদি সত্যিই কিছু সহযোগিতা করতে হয়, তবে সে লক্ষ্যে তৎপর হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ বিতরণের কাজ শুরু করা উচিত। ভাসমান শ্রমজীবী মায়েদেরও কীভাবে এ কর্মসূচির আওতায় নেওয়া যায়, তাও ভেবে দেখা দরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেল, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আওতাভুক্ত নারীশ্রমিকদের মধ্যে যাঁদের দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে, তাঁরা এই ভাতা পাবেন শিশুটির দুই বছর বয়স পর্যন্ত। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের শহর ও শহরতলিগুলোর তৈরি পোশাকশিল্পের নারীশ্রমিকেরা এই তহবিল-সুবিধা পাবেন। কিন্তু এর বাইরেও অনেক নারীশ্রমিক আছেন, যাঁদের দুই বছর বা তার কম বয়সী দুগ্ধপোষ্য শিশু রয়েছে, যেমন গৃহনির্মাণশিল্পে। কিন্তু এই মায়েদের এ কর্মসূচির আওতায় নেওয়া হয়নি এ কারণে যে তাঁরা ভাসমান। এটা কোনো ভালো যুক্তি নয়, সহায়তা কর্মসূচিটি ফলপ্রসূ করতে হলে সব শহুরে দরিদ্র কর্মজীবী মাকে এর আওতায় আনা উচিত।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ—এই দুটি সংস্থায় নিবন্ধিত পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মরত মায়েদের মধ্য থেকে ভাতা পাওয়ার যোগ্যদের তালিকা তৈরি কেন অর্থবছরের আট মাসেও শেষ হলো না? কী প্রক্রিয়ায় তালিকা তৈরি করা হচ্ছে? এ কর্মসূচির গুরুত্বটা উপলব্ধি করা দরকার। দরিদ্র মেহনতি মা ও শিশুদের যদি সত্যিই কিছু সহযোগিতা করতে হয়, তবে সে লক্ষ্যে তৎপর হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ বিতরণের কাজ শুরু করা উচিত। ভাসমান শ্রমজীবী মায়েদেরও কীভাবে এ কর্মসূচির আওতায় নেওয়া যায়, তাও ভেবে দেখা দরকার।
No comments