আশা করি জনসমক্ষে ফিরে আসবেন ইলিয়াস আলী by রফিক-উল হক

গুম কিংবা গুপ্ত হত্যা বন্ধ করার জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই। এখন যা হচ্ছে তাকে কি সন্ত্রাসীদের কাজ বলব, নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফসল বলব বুঝতে পারছি না। এই যে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুম হলেন, তারপর দেখা গেল, রাত ১২টায় মামলা হলো ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে।


এদিকে সরকার বলছে, ইলিয়াস আলীর ঘটনাটা সাজানো। এই ঘটনা বিএনপিই ঘটিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য পরিস্থিতি ঘোলাটে করা। বিএনপি বলছে, সরকারই ঘটিয়েছে এই ঘটনা। তাদের কথা, আসলে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে নিয়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যত্র সরানোর জন্য সরকার এই অস্বাভাবিক কাজটি করেছে। সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির দুর্নাম চাপা দেওয়ার জন্যই এ দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে। দুই পক্ষের কথা শুনে মনে হচ্ছে, এটা নিশ্চিতভাবে কোনো রাজনৈতিক বিষয়। আবার অন্যদিকে তাকালে দেখা যাবে, ইলিয়াস আলী যে এলাকার মানুষ, সেখানকারই আরো দুজন নিখোঁজ হন কিছুদিন আগে। দেখুন, সে বিষয়টি নিয়ে কিন্তু এত হৈচৈ হয়নি।
নিখোঁজ কিংবা গুম- এগুলো সমর্থন করা যায় না। তবে আমি মনে করি, ইলিয়াস আলী নিখোঁজ থাকলেও মারা যাননি। আরো বিশ্বাস করি, শিগগিরই বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে। ইলিয়াস আলী হয়তো আবারও জনসমক্ষে ফিরে আসবেন।
এমন ঘটনা ঘটতে পারে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ না করলে। আমাদের এখানে গণতন্ত্র আছে। আমাদের গণতন্ত্র তো এক পা এগিয়ে গেলে দুই পা পিছিয়ে যায়। আমাদের এখানকার সংস্কৃতিই যেন এমন। প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশি কিংবা বাঙালি গণতন্ত্রের ফসলই কি এগুলো?
আজকের এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায় বহন করতে হবে।
সুস্থ পরিবেশের জন্য সঠিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। আমি আশাবাদী, বাংলাদেশেও সেই পরিবেশ আসবে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের মধ্যে সে রকম নেতা পাওয়া যায়নি। আশা করি, তেমন নেতাও আসবেন। হয়তো সেই সময় আমি থাকব না।

No comments

Powered by Blogger.