নোট-গাইড বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-শিক্ষক সমিতি-প্রকাশক আঁতাত
নিয়ম অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বোর্ডের বইয়ের বাইরে কোনো বই পাঠ্য করার সুযোগ নেই। আর নোট বা গাইড—এ ধরনের বই তো নয়ই। কিন্তু ভোলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, তা এর উল্টো চিত্রকেই তুলে ধরছে। সেখানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড কেনা অনেকটা বাধ্যতামূলক।
এর পেছনে রয়েছে শিক্ষকদের হাত। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, শুধু দু-একজন শিক্ষক নন, এই অপকর্ম ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে শিক্ষক সমিতিগুলো সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভোলার শিক্ষক সমিতিগুলো বিভিন্ন প্রকাশনী ও পুস্তক বিক্রেতাদের কাছ থেকে কমিশন হিসেবে লাখ লাখ টাকা নেয়। বিনিময়ে শিক্ষক সমিতিগুলো বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন প্রকাশনীর অনুমোদনহীন নোট বা গাইড কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে। বলে দেওয়া নোট বই অনুযায়ী উত্তর না লিখে দিলে নম্বর পাওয়া যাবে না—শিক্ষকেরা যখন শিক্ষার্থীদের এ ধারণা দেন, তখন নোট-গাইড না কিনে আর তাদের উপায় কী!
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে ভোলার শিক্ষক সমিতিগুলো কোন প্রকাশনীর কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে, তার কিছু বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষক সমিতিগুলো ও প্রকাশকেরা টাকা নেওয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন স্কুলে নোট-গাইড বাধ্যতামূলক করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। চর বোরহানউদ্দিনের শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের সূত্রে অবশ্য আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। তিনি বলেছেন, ‘জননীর বই পাঠ্য করতে গিয়ে আমরা কোনো চুক্তি করিনি। তবে সমিতি উন্নয়নে তারা কিছু সহায়তা দিয়ে থাকতে পারে।’ প্রথম কথা হচ্ছে, সমিতির ‘উন্নয়নে’ প্রকাশকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া নৈতিকভাবে কতটা সঠিক? দ্বিতীয়ত, সমিতি ওই প্রকাশকের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে কিছু টাকা নিয়ে থাকলে সভাপতি হিসেবে তাঁর বিষয়টি জানার কথা। সেখানে ‘সহায়তা দিয়ে থাকতে পারে’ কথাটি গ্রহণ করা কঠিন।
ভোলায় বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির সঙ্গে প্রকাশকদের এই আর্থিক লেনদেন এবং এর বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড কিনতে বাধ্য করার অভিযোগটি গুরুতর। আর এ ধরনের ঘটনা যে দেশের অন্যান্য এলাকায় ঘটছে না, তারই বা নিশ্চয়তা কী? বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পিছপা হবে না বলে আশা করি।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ভোলার শিক্ষক সমিতিগুলো বিভিন্ন প্রকাশনী ও পুস্তক বিক্রেতাদের কাছ থেকে কমিশন হিসেবে লাখ লাখ টাকা নেয়। বিনিময়ে শিক্ষক সমিতিগুলো বিভিন্ন স্কুলে বিভিন্ন প্রকাশনীর অনুমোদনহীন নোট বা গাইড কিনতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে। বলে দেওয়া নোট বই অনুযায়ী উত্তর না লিখে দিলে নম্বর পাওয়া যাবে না—শিক্ষকেরা যখন শিক্ষার্থীদের এ ধারণা দেন, তখন নোট-গাইড না কিনে আর তাদের উপায় কী!
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে ভোলার শিক্ষক সমিতিগুলো কোন প্রকাশনীর কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে, তার কিছু বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষক সমিতিগুলো ও প্রকাশকেরা টাকা নেওয়ার বিনিময়ে বিভিন্ন স্কুলে নোট-গাইড বাধ্যতামূলক করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। চর বোরহানউদ্দিনের শিক্ষক সমিতির সভাপতির বক্তব্যের সূত্রে অবশ্য আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায়। তিনি বলেছেন, ‘জননীর বই পাঠ্য করতে গিয়ে আমরা কোনো চুক্তি করিনি। তবে সমিতি উন্নয়নে তারা কিছু সহায়তা দিয়ে থাকতে পারে।’ প্রথম কথা হচ্ছে, সমিতির ‘উন্নয়নে’ প্রকাশকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া নৈতিকভাবে কতটা সঠিক? দ্বিতীয়ত, সমিতি ওই প্রকাশকের কাছ থেকে উন্নয়নের নামে কিছু টাকা নিয়ে থাকলে সভাপতি হিসেবে তাঁর বিষয়টি জানার কথা। সেখানে ‘সহায়তা দিয়ে থাকতে পারে’ কথাটি গ্রহণ করা কঠিন।
ভোলায় বিভিন্ন শিক্ষক সমিতির সঙ্গে প্রকাশকদের এই আর্থিক লেনদেন এবং এর বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড কিনতে বাধ্য করার অভিযোগটি গুরুতর। আর এ ধরনের ঘটনা যে দেশের অন্যান্য এলাকায় ঘটছে না, তারই বা নিশ্চয়তা কী? বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পিছপা হবে না বলে আশা করি।
No comments