শুভ বাংলা নববর্ষ
আজ পহেলা বৈশাখ। ১৪১৮ বাংলা সনের প্রথম দিন আজ। 'তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে' উড়িয়ে দিয়ে 'আজি প্রাতে সূর্য ওঠা' সফল হলো। পুব আকাশের নতুন সূর্য জানিয়ে দিল 'ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা সরিয়ে দিয়ে' এসেছে নতুন দিন। এসেছে নতুন সকাল। এসেছে নতুন বছর। সেই নতুন বছরকে বরণ করে নিতেই আজ নানা আয়োজন।
'হৃত-নিঃশ্বাস অম্বর তলে/রুদ্ধ বাতাস তাপ-শৃঙ্খলে,/ঘন ঝঞ্ঝার দিক্ ঝংকার/অন্তর তব চঞ্চলি,/মন্থি আনুক মর্তস্বর্গ/তোমার অর্ঘ্য-অঞ্জলি।' প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রতিটি বাঙালি আজকের দিনটি বরণ করে নিচ্ছে। পালন করছে নববর্ষ। বাংলাদেশেই শুধু নববর্ষ পালিত হচ্ছে, তা নয়_বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিরা পালন করছে নববর্ষ। সবার মনে আজ একটাই সুর_'যাক পুরাতন স্মৃতি/যাক ভুলে যাওয়া গীতি,/অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।' নববর্ষ আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাঙালির প্রধান সাংস্কৃতিক উৎসব বাংলা নববর্ষ। নানা আয়োজনে দেশজুড়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে জীর্ণ মলিনকে, পেছনে ফেলে নতুনকে বরণ করে নেওয়ার দিন আজ। ঐতিহ্যের হালখাতা খোলার দিন আজ পহেলা বৈশাখ। আজ 'হুংকার সেই তপ্ত হাওয়ায়/প্রান্তর হতে প্রান্তরে ধায়,/দিগ্বধূদের নীরবে কাঁদায়,/শূন্যে শূন্যে উড়ায় ধূলি,/বিজয় পতাকা আকাশে তুলি।'
পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষ বাঙালির বিজয় পতাকা আকাশে তুলে ধরে। বাঙালির এই বিজয় হচ্ছে সংস্কৃতির বিজয়। এই সাংস্কৃতিক বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়েই আজকের দিনে সব বাঙালির একটিই আশা_'দিগন্তরের সঞ্চয় টুটি/অঞ্চলে মেঘ নিবে সে লুটি/বাজিয়া উঠিবে কল-কল্লোল/বনপল্লবে-পল্লবে_'।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির এই সর্বজনীন উৎসবের দিনে আজ সারা দেশে উৎসবের আমেজ। সারা দেশেই আজ 'ঐ নতুনের কেতন ওড়ে'। রাজধানী ঢাকায় আজকের দিনটি শুরু হবে রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠানটিও এখন বাঙালির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আজ রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নামবে। এই অনুষ্ঠানের ওপরও আঘাত এসেছিল। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের কাছে ঘটানো হয় বোমার বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে নিহত হন ৯ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামির আটজন গ্রেপ্তার হয়নি। এ বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ চলছে ১০ বছর ধরে। আহতদের মধ্যে রেজাউল করিম, আমানুল্লাহ, ইব্রাহিম খলিল ও রফিকুল ইসলামকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ডেমরার মাদানীনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আকবর হোসেন ওরফে আলী আকবরকে। ২০০১ সালের ১৪ জুন আলী আকবর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় আলী আকবর আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপন করে বলে জানা যায়।
পহেলা বৈশাখের আরেক আকর্ষণ ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে প্রথম যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়েছিল, তাও আজ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুধু রমনা বা চারুকলা নয়, রাজধানীজুড়েই আজ থাকবে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। সারা দেশে বৈশাখ ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।
আজ যখন এই দেশে একটি বিশেষ শ্রেণী 'ভুলেছে ছন্দ, ভালোয় মন্দ/একাকার তাই হায় রে।/কদর্য তাই করিছে বড়াই,/ধরণী লজ্জা পায় রে।' তখন আজকের এই বিশেষ দিনে সবারই চাওয়া 'মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/অগি্নস্নানে দেহে প্রাণে শুচি হোক ধরা।'
নববর্ষে আমাদের অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আজ সবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি_'বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক'। শুভ নববর্ষ।
পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষ বাঙালির বিজয় পতাকা আকাশে তুলে ধরে। বাঙালির এই বিজয় হচ্ছে সংস্কৃতির বিজয়। এই সাংস্কৃতিক বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়েই আজকের দিনে সব বাঙালির একটিই আশা_'দিগন্তরের সঞ্চয় টুটি/অঞ্চলে মেঘ নিবে সে লুটি/বাজিয়া উঠিবে কল-কল্লোল/বনপল্লবে-পল্লবে_'।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির এই সর্বজনীন উৎসবের দিনে আজ সারা দেশে উৎসবের আমেজ। সারা দেশেই আজ 'ঐ নতুনের কেতন ওড়ে'। রাজধানী ঢাকায় আজকের দিনটি শুরু হবে রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠানটিও এখন বাঙালির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আজ রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মানুষের ঢল নামবে। এই অনুষ্ঠানের ওপরও আঘাত এসেছিল। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের কাছে ঘটানো হয় বোমার বিস্ফোরণ। ঘটনাস্থলে নিহত হন ৯ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনো অজ্ঞাত। রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায় ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামির আটজন গ্রেপ্তার হয়নি। এ বোমা হামলা মামলার বিচারকাজ চলছে ১০ বছর ধরে। আহতদের মধ্যে রেজাউল করিম, আমানুল্লাহ, ইব্রাহিম খলিল ও রফিকুল ইসলামকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ডেমরার মাদানীনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আকবর হোসেন ওরফে আলী আকবরকে। ২০০১ সালের ১৪ জুন আলী আকবর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তবে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় আলী আকবর আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপন করে বলে জানা যায়।
পহেলা বৈশাখের আরেক আকর্ষণ ঢাকার মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে প্রথম যে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়েছিল, তাও আজ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শুধু রমনা বা চারুকলা নয়, রাজধানীজুড়েই আজ থাকবে উৎসবের আমেজ। এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে। সারা দেশে বৈশাখ ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের।
আজ যখন এই দেশে একটি বিশেষ শ্রেণী 'ভুলেছে ছন্দ, ভালোয় মন্দ/একাকার তাই হায় রে।/কদর্য তাই করিছে বড়াই,/ধরণী লজ্জা পায় রে।' তখন আজকের এই বিশেষ দিনে সবারই চাওয়া 'মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,/অগি্নস্নানে দেহে প্রাণে শুচি হোক ধরা।'
নববর্ষে আমাদের অগণিত পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আজ সবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি_'বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক'। শুভ নববর্ষ।
No comments