ভালোবাসার মূল্য কত?-জবাব দিতে হবে সরকারকেই

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে দিনটি। কিমাপুরির কিমা সীমাবদ্ধ থাকলেও প্রেমিক-প্রেমিকাদের মনে আজ আনন্দের কোনো সীমা নেই। আহা, তাদের আনন্দ দেখলে যে কারোর মনেই প্রেম করার বিপ্লবী চেতনা জেগে উঠতে পারে।


কিন্তু যে শব্দটিকে ঘিরে চারদিকে এত কিছু হচ্ছে, আসলে সেই ‘ভালোবাসা’র মূল্য কত? গর্ত থেকে ইঁদুর যেভাবে উঁকি দেয়, ভালোবাসা-সংক্রান্ত প্রশ্নটিও অনেকের মনেই উঁকিঝুঁকি মারছে। শুধু তা-ই নয়, ‘ভালোবাসার মূল্য কত/ সে তো আমি জানি না’ শিরোনামে একটা গানও আছে। তাও যেনতেন কোনো গান না, একেবারে খাঁটি বাংলা সিনেমার (পূর্ণদৈর্ঘ্য) গান। মোচওয়ালা এক নায়ক সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে ঘুরে গানের মাধ্যমে প্রশ্ন করছে। তবে এ প্রশ্নটা নায়কের বাপ-দাদার সম্পত্তি নয় যে সে একাই করবে। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ দিয়ে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে। অথচ আজ পর্যন্ত কেউ এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারল না। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। চারদিকে এত এত জ্ঞানী-গুণী লোক, এত গবেষক, অথচ সামান্য একটা প্রশ্নের উত্তর কেউ দিকে পারছে না! কী আজব ব্যাপার! আর সরকারই বা চুপচাপ বসে আছে কেন? চাল, ডাল, তেল—এসবের মূল্য তো ঠিকই সরকার নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে ভালোবাসার মূল্য নির্ধারণ করছে না কেন? মূল্য নির্ধারণ করে দিলে ভালোবাসা নিয়ে আর কোনো দ্বিধাই থাকত না। তা ছাড়া প্রেমিক-প্রেমিকারাও নিশ্চিন্ত থাকতে পারত। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকার যানজট-সমস্যার মতো প্রেমিক-প্রেমিকাদের সমস্যা নিয়েও কিছু ভাবছে না। কিন্তু এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। তাই, অবিলম্বে সরকারকে ভালোবাসার মূল্য নির্ধারণ করে আবহমান কাল ধরে ঝুলে থাকা এ প্রশ্নের সমাধান করতে হবে।
প্রচ্ছদ: মানিক ও রতন

No comments

Powered by Blogger.