এসএসসির ফল ৬ মে প্রকাশ হতে পারে by অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য
আগামী ৬ মে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ই-মেইল ও সনাতন পদ্ধতিতে ফল পাঠানো হবে। এবার পাঁচটি মানদণ্ডে শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
তচলতি বছর দুই হাজার ৪৬৪টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ২০ হাজার ৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র সাত লাখ ৩৫ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ৬ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে তাঁর দপ্তরে গতকাল রবিবার সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে ফল প্রকাশ করা হবে।
নতুবা প্রধানমন্ত্রীর সময় অনুযায়ী ফল প্রকাশ করা হবে।
আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ৪ মে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। ওই দিন শুক্রবার। এ জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে ৪ মের পর থেকে যেকোনো দিনে ফল প্রকাশের জন্য।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ফল প্রকাশের সময় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সও করেন। এসব কারণে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় নিতে হয়।
এদিকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফল সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি ই-মেইলেও পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পর্কে আগামী ২৫ এপ্রিল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসি ও সমমানের দুই হাজার ৪৬৪টি কেন্দ্র ও ২৬ হাজার ৮৫৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-মেইলে ফল পাঠানো হবে। এ জন্য টেলিটক কাজ করছে। ফল ডাউনলোডের পদ্ধতি সম্পর্কে বিভিন্ন বোর্ডে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফল সংগ্রহপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়, প্রথমে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboard.gov.bd) যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব মেইল অপশন রয়েছে। মেইল অপশনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে হবে। ফল ডাউনলোড করার পদ্ধতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd)তে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাগজবিহীন অবস্থায় ই-মেইলে ফল প্রকাশ এসএসসিতে এবারই প্রথম। এর আগে ব্যক্তি বিশেষের ফল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা গেলেও প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ফল পাওয়া যেত না। ই-মেইলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ফলের জন্য অপেক্ষারও অবসান হচ্ছে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মো. মনজুরুল কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ই-মেইলে ফল প্রকাশের জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে আগের নিয়মে জেলা প্রশাসকের কাছে ফলের একটি সেট থাকবে। যারা ই-মেইলের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে না তাদের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ফল নিতে হবে।
পাঁচ মানদণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, এ বছর পাঁচটি পদ্ধতিতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে। এগুলো হলো : নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর হার, পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও গড় জিপিএ।
উল্লেখ্য, বোর্ডওয়ারি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বোর্ডে তিন লাখ ২৪ হাজার ৯১৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে এক লাখ ৩২ হাজার ৫৬৩ জন, কুমিল্লা বোর্ডে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৯৫ জন, যশোর বোর্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৪১১ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৫ হাজার ৯৩৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬৩ হাজার ৭০৫ জন, সিলেট বোর্ডে ৫৮ হাজার ৫০০ জন, দিনাজপুর বোর্ডে এক লাখ ২৪ হাজার ৯৪০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৩০ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৯১ হাজার ১৫৮ জন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ৬ মে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে তাঁর দপ্তরে গতকাল রবিবার সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে ফল প্রকাশ করা হবে।
নতুবা প্রধানমন্ত্রীর সময় অনুযায়ী ফল প্রকাশ করা হবে।
আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ৪ মে এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। ওই দিন শুক্রবার। এ জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে ৪ মের পর থেকে যেকোনো দিনে ফল প্রকাশের জন্য।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ফল প্রকাশের সময় কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সও করেন। এসব কারণে ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় নিতে হয়।
এদিকে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফল সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি ই-মেইলেও পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পর্কে আগামী ২৫ এপ্রিল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, এসএসসি ও সমমানের দুই হাজার ৪৬৪টি কেন্দ্র ও ২৬ হাজার ৮৫৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ই-মেইলে ফল পাঠানো হবে। এ জন্য টেলিটক কাজ করছে। ফল ডাউনলোডের পদ্ধতি সম্পর্কে বিভিন্ন বোর্ডে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফল সংগ্রহপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যায়, প্রথমে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.educationboard.gov.bd) যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটে একটি ওয়েব মেইল অপশন রয়েছে। মেইল অপশনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে হবে। ফল ডাউনলোড করার পদ্ধতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.dhakaeducationboard.gov.bd)তে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাগজবিহীন অবস্থায় ই-মেইলে ফল প্রকাশ এসএসসিতে এবারই প্রথম। এর আগে ব্যক্তি বিশেষের ফল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে সংগ্রহ করা গেলেও প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক ফল পাওয়া যেত না। ই-মেইলের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ফলের জন্য অপেক্ষারও অবসান হচ্ছে বলে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মো. মনজুরুল কবীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ই-মেইলে ফল প্রকাশের জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে আগের নিয়মে জেলা প্রশাসকের কাছে ফলের একটি সেট থাকবে। যারা ই-মেইলের মাধ্যমে ফল সংগ্রহ করতে পারবে না তাদের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ফল নিতে হবে।
পাঁচ মানদণ্ডে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, এ বছর পাঁচটি পদ্ধতিতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে। এগুলো হলো : নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর হার, পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও গড় জিপিএ।
উল্লেখ্য, বোর্ডওয়ারি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বোর্ডে তিন লাখ ২৪ হাজার ৯১৮ জন, রাজশাহী বোর্ডে এক লাখ ৩২ হাজার ৫৬৩ জন, কুমিল্লা বোর্ডে এক লাখ ২৮ হাজার ৯৯৫ জন, যশোর বোর্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৪১১ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৫ হাজার ৯৩৭ জন, বরিশাল বোর্ডে ৬৩ হাজার ৭০৫ জন, সিলেট বোর্ডে ৫৮ হাজার ৫০০ জন, দিনাজপুর বোর্ডে এক লাখ ২৪ হাজার ৯৪০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৩০ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৯১ হাজার ১৫৮ জন।
No comments