ঐতিহ্যের মূলে আঘাত
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে গড়ে ওঠা পুণ্ড্র নগরীর স্মৃতিবহ মহাস্থানগড় এখন হুমকির মুখে। আইন-আদালতকে তোয়াক্কা না করে এখন সেখানে চলছে ঐতিহ্যের মূলে আঘাত হানার প্রতিযোগিতা। যদিও সেখানে যাতে কেউ কোনো স্থাপনা গড়তে না পারে সে জন্য দেশের উচ্চ আদালত থেকে স্পষ্টভাবে নির্দেশনা রয়েছে।
এ নিয়ে লেখালেখিও হয়েছে অনেক। কালের কণ্ঠ একাধিক প্রতিবেদন এবং সম্পাদকীয়ও প্রকাশ করেছে। কিন্তু সেখানকার কিছু মানুষ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে সংরক্ষিত এলাকায় ঘর নির্মাণ করে চলেছে। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মহাস্থানগড়কে রক্ষা করার জন্য শুধু আদালতই নির্দেশ প্রদান করেননি, সরকারও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেখানে একটি পুলিশ ক্যাম্পও স্থাপন করা হয়েছে। অথচ পুলিশের উপস্থিতিতেই মহাস্থানগড়ে ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। ঘুষ দিয়ে নাকি তাদের মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
ঘুষ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মুখ বন্ধ করে এভাবে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংস করার চেষ্টা যারা করতে পারে, তারা যেকোনো অন্যায় কাজ করতে পারে। একটি জাতির এমন ঐতিহ্য থাকা গর্বের বিষয়। কোনো জাতিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এ ধরনের ঐতিহ্য বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে এভাবে ধ্বংস করার পাঁয়তারা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মহাস্থানগড়ে দুর্নীতি দেখে মনে হচ্ছে, দেশে যেন আইনের শাসন নেই। আইন মানার প্রয়োজনও কেউ মনে করছে না। বিশেষ করে দেশের সচেতন মানুষও এই ঐতিহ্য ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে না। ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়োজনে সচেতন জনগোষ্ঠীর এগিয়ে আসা প্রয়োজন।।
স্বার্থান্বেষী একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বিভিন্ন স্থানে মসজিদ-মন্দির ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে সেখানে স্থাপনা তৈরি করছে। কিন্তু কোথাও তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। তবে মহাস্থানগড়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও স্থানীয় পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তাকে গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। যদি এমন অপরাধের অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয়, তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ধ্বংস হতে দিতে চাই না, দিতে পারি না। এ ব্যাপারে অতিদ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হবে।
ঘুষ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মুখ বন্ধ করে এভাবে দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংস করার চেষ্টা যারা করতে পারে, তারা যেকোনো অন্যায় কাজ করতে পারে। একটি জাতির এমন ঐতিহ্য থাকা গর্বের বিষয়। কোনো জাতিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এ ধরনের ঐতিহ্য বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে এভাবে ধ্বংস করার পাঁয়তারা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মহাস্থানগড়ে দুর্নীতি দেখে মনে হচ্ছে, দেশে যেন আইনের শাসন নেই। আইন মানার প্রয়োজনও কেউ মনে করছে না। বিশেষ করে দেশের সচেতন মানুষও এই ঐতিহ্য ধ্বংসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে না। ঐতিহ্য রক্ষার প্রয়োজনে সচেতন জনগোষ্ঠীর এগিয়ে আসা প্রয়োজন।।
স্বার্থান্বেষী একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বিভিন্ন স্থানে মসজিদ-মন্দির ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের জায়গা দখল করে সেখানে স্থাপনা তৈরি করছে। কিন্তু কোথাও তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে না। তবে মহাস্থানগড়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ও স্থানীয় পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তাকে গুরুত্বসহ বিবেচনা করতে হবে। যদি এমন অপরাধের অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয়, তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আমাদের ঐতিহ্য ধ্বংস হতে দিতে চাই না, দিতে পারি না। এ ব্যাপারে অতিদ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হবে।
No comments