ভাষা প্রতিযোগ-দেশ ও মায়ের ভাষার জয়গান
চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী উম্মে ফাহমিদা হাসানের প্রশ্ন, ‘বড়দের ক্ষেত্রে “তাঁর” লেখা হয়, কিন্তু ছোটদের বেলায় “তার” কেন?’ আরেক শিক্ষার্থীর জিজ্ঞাসা, ‘চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার উৎপত্তি কোথা থেকে?’ শিক্ষার্থীদের এ ধরনের মজার ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্নে গতকাল শুক্রবার প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ ২০১২।
গতকাল চট্টগ্রাম নগরের এনায়েত বাজার মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভাষা প্রতিযোগ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে মুখর ছিল অনুষ্ঠানস্থল। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় দেশ ও মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা।
গতকাল চট্টগ্রাম অঞ্চলের এ প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়। এ সময় ভাষা প্রতিযোগের পতাকাও উত্তোলন করা হয়। এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম জাতীয় পতাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মহীবুল আজীজ ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় প্রথম আলোর আবাসিক সম্পাদক আবুল মোমেনসহ অন্যান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মাহমুদা খানম বলেন, ‘আমরা প্রথমে মা ডাকতে শিখেছি। মা ডাকের মাধ্যমেই আমরা আমাদের ভাষা প্রকাশ করি। এই ভাষা শুদ্ধভাবে প্রকাশ করার জন্য দরকার ভাষার চর্চা।’
উদ্বোধনের পরপর শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় ভাষা প্রতিযোগিতায়। পরীক্ষা শেষে শুরু হয় আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
ভাষা প্রতিযোগের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারিক মনজুর প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন। প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল হক, অধ্যাপক মহীবুল আজীজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, উপাধ্যক্ষ তাহরিন সবুর, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও এইচএসবিসির কর্মকর্তা দেবাশীষ চক্রবর্তী।
পরে ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভাষা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অধ্যাপক মহীবুল আজীজ। তিনি বলেন, ‘আমরা কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষার স্বাধীনতা পেয়েছি। বাংলা ভাষার পাশাপাশি আমাদের এখানকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকেও সম্মান জানাতে হবে। একুশে মাথা নত করিনি বলে ছাব্বিশে মার্চ প্রতিরোধ করতে পেরেছি। আর ষোলোই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি।’
প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক জাফর আহমদের পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন এইচএসবিসির কর্মকর্তা দেবাশীষ চক্রবর্তী ও বন্ধুসভার নুরুল আবরার।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলো বন্ধুসভা চট্টগ্রাম শাখার সাংস্কৃতিক দল নৃত্য ও সমবেত গান পরিবেশন করে। বন্ধুসভার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উৎসবে নিশীতা বড়ুয়া পরিবেশন করেন চারটি গান। তাঁর ‘কইলজার ভেতর বাঁধি রাইখখুম তোঁয়ারে’, ‘আমি তোমার মনের ভেতর’, যদি সুন্দর একখান মুখ ফাইতাম’ ইত্যাদি গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলায় শিক্ষার্থীরাও।
পুরস্কার পেয়েছে যারা: প্রতিযোগিতায় চারটি বিভাগে মোট ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে পুরস্কার পায়।
প্রাথমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নীহারিকা চৌধুরী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের হিমাদ্রি চৌধুরী ও কলেজিয়েট স্কুলের মো. ইজতিহাদ আবতাহী।
নিম্নমাধ্যমিক বিভাগে সেরা তিনজন হলো: যথাক্রমে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলের সামি আহমেদ, সিলভার বেলস স্কুলের সালসাবিল চৌধুরী ও ডা. খাস্তগীর স্কুলের লামিয়া সালেহীন। মাধ্যমিক বিভাগে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মো. এহতেশাম-উল-হোসাইন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নোশিন তাসনিম ও কলেজিয়েট স্কুলের অনিক মজুমদার।
উচ্চমাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের নাহিয়ান ইসরাত মেহের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে মুহসীন কলেজের মাহির আসিফ ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের মেশকাতুস সালেহীন।
গতকাল চট্টগ্রাম অঞ্চলের এ প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী উৎসবের সূচনা হয়। এ সময় ভাষা প্রতিযোগের পতাকাও উত্তোলন করা হয়। এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম জাতীয় পতাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মহীবুল আজীজ ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় প্রথম আলোর আবাসিক সম্পাদক আবুল মোমেনসহ অন্যান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় মাহমুদা খানম বলেন, ‘আমরা প্রথমে মা ডাকতে শিখেছি। মা ডাকের মাধ্যমেই আমরা আমাদের ভাষা প্রকাশ করি। এই ভাষা শুদ্ধভাবে প্রকাশ করার জন্য দরকার ভাষার চর্চা।’
উদ্বোধনের পরপর শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় ভাষা প্রতিযোগিতায়। পরীক্ষা শেষে শুরু হয় আকর্ষণীয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
ভাষা প্রতিযোগের সমন্বয়কারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তারিক মনজুর প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন। প্রশ্নের উত্তর দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল হক, অধ্যাপক মহীবুল আজীজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সৌরভ সিকদার, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, উপাধ্যক্ষ তাহরিন সবুর, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও এইচএসবিসির কর্মকর্তা দেবাশীষ চক্রবর্তী।
পরে ভাষা আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভাষা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন অধ্যাপক মহীবুল আজীজ। তিনি বলেন, ‘আমরা কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ভাষার স্বাধীনতা পেয়েছি। বাংলা ভাষার পাশাপাশি আমাদের এখানকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাকেও সম্মান জানাতে হবে। একুশে মাথা নত করিনি বলে ছাব্বিশে মার্চ প্রতিরোধ করতে পেরেছি। আর ষোলোই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি।’
প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক জাফর আহমদের পরিচালনায় এ সময় আরও বক্তব্য দেন এইচএসবিসির কর্মকর্তা দেবাশীষ চক্রবর্তী ও বন্ধুসভার নুরুল আবরার।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলো বন্ধুসভা চট্টগ্রাম শাখার সাংস্কৃতিক দল নৃত্য ও সমবেত গান পরিবেশন করে। বন্ধুসভার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উৎসবে নিশীতা বড়ুয়া পরিবেশন করেন চারটি গান। তাঁর ‘কইলজার ভেতর বাঁধি রাইখখুম তোঁয়ারে’, ‘আমি তোমার মনের ভেতর’, যদি সুন্দর একখান মুখ ফাইতাম’ ইত্যাদি গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলায় শিক্ষার্থীরাও।
পুরস্কার পেয়েছে যারা: প্রতিযোগিতায় চারটি বিভাগে মোট ৬০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি বিভাগ থেকে ১৫ জন করে পুরস্কার পায়।
প্রাথমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নীহারিকা চৌধুরী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের হিমাদ্রি চৌধুরী ও কলেজিয়েট স্কুলের মো. ইজতিহাদ আবতাহী।
নিম্নমাধ্যমিক বিভাগে সেরা তিনজন হলো: যথাক্রমে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলের সামি আহমেদ, সিলভার বেলস স্কুলের সালসাবিল চৌধুরী ও ডা. খাস্তগীর স্কুলের লামিয়া সালেহীন। মাধ্যমিক বিভাগে চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মো. এহতেশাম-উল-হোসাইন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নোশিন তাসনিম ও কলেজিয়েট স্কুলের অনিক মজুমদার।
উচ্চমাধ্যমিক বিভাগে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের নাহিয়ান ইসরাত মেহের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে মুহসীন কলেজের মাহির আসিফ ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের মেশকাতুস সালেহীন।
No comments