৪০ বাড়িতে আগুন, আটক ৩-মহেশখালীতে কুপিয়ে ও গুলি করে আ.লীগ নেতাকে হত্যা

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও স্থানীয় কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওচমান গণিকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে কালারমারছড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।


এ ঘটনায় নিহত ওচমনের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের প্রায় ৪০টি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও ওচমানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কালারমারছড়া বাজারের পশ্চিম পাশে নিজের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে বসে কাজ করছিলেন ওচমান। এ সময় ১০-১৫ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী সেখানে হামলা চালায় এবং ওচমানকে অফিস থেকে বের করে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওচমানের মৃত্যু হয়। হত্যার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওচমানের পক্ষের লোকজন মোহাম্মদ শাহ ঘোনা এলাকায় গিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের অন্তত ৪০টি বসতবাড়িতে আগুন দেয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেল পাঁচটায় কালারমারছড়া বাজার মাঠে ওচমানের জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
নিহত ওচমানের ছেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী এইচ এম আল নোমান শরীফ অভিযোগ করেছেন, তাঁদের প্রতিপক্ষ কালারমারছড়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মির কাসেম চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী আধারঘোনা, নোনাছড়ি ও দক্ষিণ ঝাপুয়ার সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাঁর বাবাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মির কাসেম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ওচমান সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এই হত্যাকণ্ডের সঙ্গে তাঁকে জড়ানো হচ্ছে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন ও জাফর আলম নামের তিন যুবককে আটক করেছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.