বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি-অন্ধকার দূর করতে কতটা সহায়ক
বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বেড়েছে। কিন্তু বাড়েনি বিদ্যুৎ-সুবিধা। এ কারণেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা জানতে চায়, রাত গভীর হলেও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় যেখানে মানুষ অতিষ্ঠ, সেখানে আরো দাম বাড়ানোর পেছনে যুক্তিটা কী? দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যদি ধাপে ধাপে বিদ্যুতের সুবিধা বাড়ানো যেত, তাহলেও কথা ছিল।
বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের উৎপাদন-ব্যয় বেশি। বিক্রয় আর উৎপাদন-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার জন্যই সরকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছে, তা মানা কঠিন। এই সামঞ্জস্য বিধান করার জন্য পুরো দায়টাই সাধারণ মানুষের কাঁধে কোন কারণে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছিল চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। এক ঘণ্টা অন্তর বিদ্যুৎ সরবরাহ করার উদাহরণ তৈরি হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিল তৎকালীন সরকারের প্রতি। নির্বাচন এলে তারা সেই ব্যর্থতার প্রতিশোধ গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে। আর মহাজোটকে সমর্থন করার পেছনে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, সে সময় আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা সরকার গঠন করতে পারলে দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে দেবে। সেই প্রতিশ্রুতিপূরণে কতটা সফল হয়েছে বর্তমান সরকার- এই প্রশ্নটি চলে আসে। সরকার কুইক রেন্টাল পদ্ধতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নেও অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ঘটে। যদিও কুইক রেন্টাল সার্ভিস আপৎকালীন সমস্যা সমাধানে ব্যয়বহুল উৎপাদনব্যবস্থা হিসেবে সর্বত্রই গণ্য। উচ্চ দরে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদেও টান পড়ে। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে জ্বালানি তেলের দামও বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। সেখানেও সরকারকে উপায়হীন অবস্থায় থাকতে হয়েছে। কারণ জ্বালানি তেলের ওপর অধিক ভর্তুকি দেওয়া সরকারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এই মৌসুমে কৃষি খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সরকার কিছু আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেখানেও বাড়তি চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি, তাই সংগত কারণেই লোডশেডিং বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। সরকার ইতিমধ্যে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করেছে আরো কঠিনভাবে। দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্যহানি হওয়ার মুহূর্তে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৩০ পয়সা বৃদ্ধি করায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর।
বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য সরকার বারবার মূল্য বৃদ্ধি করার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, অথচ এই বিদ্যুৎ খাতে যেসব দুর্নীতি-অনিয়ম রয়েছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে না। দুর্নীতি কমিয়ে আনতে পারলে কিছুটা সাশ্রয় হতো উৎপাদন-ব্যয়ের। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও ব্যয়বৃদ্ধির কারণ। তাই একতরফা বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া, দুর্নীতি কমিয়ে আনার মতো উদ্যোগও গ্রহণ করা উচিত।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছিল চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। এক ঘণ্টা অন্তর বিদ্যুৎ সরবরাহ করার উদাহরণ তৈরি হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছিল তৎকালীন সরকারের প্রতি। নির্বাচন এলে তারা সেই ব্যর্থতার প্রতিশোধ গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে। আর মহাজোটকে সমর্থন করার পেছনে একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে, সে সময় আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা সরকার গঠন করতে পারলে দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে দেবে। সেই প্রতিশ্রুতিপূরণে কতটা সফল হয়েছে বর্তমান সরকার- এই প্রশ্নটি চলে আসে। সরকার কুইক রেন্টাল পদ্ধতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নেও অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব ঘটে। যদিও কুইক রেন্টাল সার্ভিস আপৎকালীন সমস্যা সমাধানে ব্যয়বহুল উৎপাদনব্যবস্থা হিসেবে সর্বত্রই গণ্য। উচ্চ দরে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করে এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়ার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদেও টান পড়ে। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে জ্বালানি তেলের দামও বাড়িয়ে দিতে হয়েছে। সেখানেও সরকারকে উপায়হীন অবস্থায় থাকতে হয়েছে। কারণ জ্বালানি তেলের ওপর অধিক ভর্তুকি দেওয়া সরকারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এই মৌসুমে কৃষি খাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সরকার কিছু আগাম ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেখানেও বাড়তি চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি, তাই সংগত কারণেই লোডশেডিং বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। সরকার ইতিমধ্যে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করেছে আরো কঠিনভাবে। দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে মানুষের ধৈর্যহানি হওয়ার মুহূর্তে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে ৩০ পয়সা বৃদ্ধি করায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর।
বিদ্যুতের ওপর ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্য সরকার বারবার মূল্য বৃদ্ধি করার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে, অথচ এই বিদ্যুৎ খাতে যেসব দুর্নীতি-অনিয়ম রয়েছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে না। দুর্নীতি কমিয়ে আনতে পারলে কিছুটা সাশ্রয় হতো উৎপাদন-ব্যয়ের। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও ব্যয়বৃদ্ধির কারণ। তাই একতরফা বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া, দুর্নীতি কমিয়ে আনার মতো উদ্যোগও গ্রহণ করা উচিত।
No comments