বাহিনীটির সংস্কার প্রয়োজন-র্যাব ও মানবাধিকার
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টার’ নাম দিয়ে যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে বা ঘটাচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে র্যাব গঠনের পর থেকেই; দেশের ভেতরে ও বাইরে এ নিয়ে বিস্তর প্রতিবাদ ও সমালোচনাও হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইট ওয়াচ এক প্রতিবেদনে র্যাবকে একটি ‘খুনে বাহিনী’ আখ্যা দিয়ে এই বাহিনীর সংস্কার বা বাহিনীটি ভেঙে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে।
আইনের শাসনভিত্তিক রাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৈধ নয়। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার। কিন্তু বাস্তবে তা চলছে আগের মতোই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার প্রতিবেদনে বলেছে, ‘র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য নিপীড়নমূলক ঘটনার সমাপ্তি ঘটানো এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।’ এ কথা সরকার অস্বীকার করবে কীভাবে? এ পর্যন্ত সংঘটিত সব ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টারের’ ঘটনার তদন্ত করে র্যাব নিজেই। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তও যদি সে-ই করে, তা হলে অপরাধ প্রমাণিত হয় কী করে? ফলে এ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনার জন্য একজনও শাস্তির মুখোমুখি হননি। বিভিন্ন ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তের দাবি উঠলেও সরকার কখনো তা বিবেচনায় নেয়নি। তাই প্রশ্ন জাগে, সরকার কি এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে আদৌ আগ্রহী? সরকার কি এসব বেছে নিয়েছে সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্ত দমনের সবচেয়ে সহজ পন্থা হিসেবে?
এলিট বাহিনী হিসেবে র্যাব গঠনের পর এই বাহিনীর সাফল্য লক্ষ করা গেছে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি তৎপরতা দমনে। গোয়েন্দা তৎপরতা, অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করা ও খুঁজে বের করার ক্ষেত্রেও এই বাহিনীর সাফল্য যথেষ্ট। কিন্তু ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টার’ ধরনের ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি না হওয়ায় এই বাহিনী আজ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
র্যাব হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নাকচ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কেন র্যাবের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দেবে? র্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তো বাংলাদেশের অনেক মানবাধিকারকর্মী ও সংস্থাও করেছে।
আমরা মনে করি, র্যাবের সংস্কার প্রয়োজন। বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ এই বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে, তা থেকে এই বাহিনীকে মুক্ত হতে হবে। অতীতে যত ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টারের’ ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর তদন্ত হতে হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। কেউ অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তাঁকে বাহিনী থেকে সরিয়ে নিতে হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে র্যাবকে একটি সম্পূর্ণ বেসামরিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা বা সেভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবকে আমরা সুবিবেচনাপ্রসূত মনে করি।
আইনের শাসনভিত্তিক রাষ্ট্রে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৈধ নয়। ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার। কিন্তু বাস্তবে তা চলছে আগের মতোই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার প্রতিবেদনে বলেছে, ‘র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য নিপীড়নমূলক ঘটনার সমাপ্তি ঘটানো এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।’ এ কথা সরকার অস্বীকার করবে কীভাবে? এ পর্যন্ত সংঘটিত সব ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টারের’ ঘটনার তদন্ত করে র্যাব নিজেই। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তও যদি সে-ই করে, তা হলে অপরাধ প্রমাণিত হয় কী করে? ফলে এ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনার জন্য একজনও শাস্তির মুখোমুখি হননি। বিভিন্ন ঘটনায় স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্তের দাবি উঠলেও সরকার কখনো তা বিবেচনায় নেয়নি। তাই প্রশ্ন জাগে, সরকার কি এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে আদৌ আগ্রহী? সরকার কি এসব বেছে নিয়েছে সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্ত দমনের সবচেয়ে সহজ পন্থা হিসেবে?
এলিট বাহিনী হিসেবে র্যাব গঠনের পর এই বাহিনীর সাফল্য লক্ষ করা গেছে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি তৎপরতা দমনে। গোয়েন্দা তৎপরতা, অপরাধী চক্রকে চিহ্নিত করা ও খুঁজে বের করার ক্ষেত্রেও এই বাহিনীর সাফল্য যথেষ্ট। কিন্তু ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টার’ ধরনের ঘটনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি না হওয়ায় এই বাহিনী আজ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
র্যাব হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটিকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নাকচ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা কেন র্যাবের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন দেবে? র্যাবের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ তো বাংলাদেশের অনেক মানবাধিকারকর্মী ও সংস্থাও করেছে।
আমরা মনে করি, র্যাবের সংস্কার প্রয়োজন। বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ এই বাহিনীর বিরুদ্ধে রয়েছে, তা থেকে এই বাহিনীকে মুক্ত হতে হবে। অতীতে যত ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘এনকাউন্টারের’ ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর তদন্ত হতে হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে। কেউ অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, তাঁকে বাহিনী থেকে সরিয়ে নিতে হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে র্যাবকে একটি সম্পূর্ণ বেসামরিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা বা সেভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবকে আমরা সুবিবেচনাপ্রসূত মনে করি।
No comments