খালেদা জিয়া চাইলে হরতাল নইলে না
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি-নির্যাতন করার প্রতিবাদে আজ শনিবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট এবং সমমনা দলগুলো ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে। এ সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
তবে হরতালের ঘোষণা হবে কি না, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর। তিনি সিদ্ধান্ত দিলে হরতাল হবে অন্যথায় হবে না বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, গত ১২ মার্চের মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীদের যোগ দিতে বাধা দিয়েছে সরকার। এর প্রতিবাদে ওই সমাবেশ থেকে ২৯ মার্চ হরতাল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে পুণ্যস্নান উৎসবের কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের অনুরোধে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়। হরতাল প্রত্যাহারের আগে চারদলীয় জোটের শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে চারদলীয় জোটের শরিকদের নিয়ে আবার বৈঠক করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শরিক নেতারা আবার হরতালের প্রস্তাব দেন। তবে বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর।
বিএনপির অন্য এক নেতা বলেন, সব পর্যায়ের নেতারা এ মুহূর্তে ব্যস্ত আগামী ৮ এপ্রিল দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক নিয়ে। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়া সভাপতিত্ব করবেন। এ ছাড়া ৭ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ওপর সাংবাদিক শফিক রেহমানের লেখা পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানেও খালেদা জিয়া থাকবেন। এমনকি সমুদ্রসীমা জয় নিয়ে বাংলাদেশ কী পেল না পেল- ব্যানারে ১৬ এপ্রিল বিএনপির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন কিংবা আলোচনা সভা হতে পারে। ওই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার থাকার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় শরিক নেতারা হরতালের ব্যাপারে পরামর্শ দিলেও হরতাল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে ওই নেতা জানান। এর পরও সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর।
এদিকে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য গতকাল ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথ সভা হয়। বিএনপির নগর কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশ সফল করতে সবাই একমত হন। সভা পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আবদুস সালাম। সভায় মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে চারদলীয় জোটের বৈঠকের পর ৪ এপ্রিল হরতাল ডাকা হতে পারে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গতকাল ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের একজন জানান, হরতালের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পুরো এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা চলার বিষয়টি মাথায় রেখে খালেদা জিয়ার ওপরই হরতালের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু চেয়ারপারসনের সম্মতি থাকলেই আজকের সমাবেশে হরতালের ঘোষণা হতে পারে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, গত ১২ মার্চের মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীদের যোগ দিতে বাধা দিয়েছে সরকার। এর প্রতিবাদে ওই সমাবেশ থেকে ২৯ মার্চ হরতাল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে পুণ্যস্নান উৎসবের কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের অনুরোধে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়। হরতাল প্রত্যাহারের আগে চারদলীয় জোটের শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন খালেদা জিয়া। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে চারদলীয় জোটের শরিকদের নিয়ে আবার বৈঠক করেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শরিক নেতারা আবার হরতালের প্রস্তাব দেন। তবে বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর।
বিএনপির অন্য এক নেতা বলেন, সব পর্যায়ের নেতারা এ মুহূর্তে ব্যস্ত আগামী ৮ এপ্রিল দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক নিয়ে। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়া সভাপতিত্ব করবেন। এ ছাড়া ৭ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ওপর সাংবাদিক শফিক রেহমানের লেখা পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানেও খালেদা জিয়া থাকবেন। এমনকি সমুদ্রসীমা জয় নিয়ে বাংলাদেশ কী পেল না পেল- ব্যানারে ১৬ এপ্রিল বিএনপির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন কিংবা আলোচনা সভা হতে পারে। ওই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার থাকার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় শরিক নেতারা হরতালের ব্যাপারে পরামর্শ দিলেও হরতাল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে ওই নেতা জানান। এর পরও সবকিছু নির্ভর করছে বিএনপির চেয়ারপারসনের ওপর।
এদিকে আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য গতকাল ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথ সভা হয়। বিএনপির নগর কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশ সফল করতে সবাই একমত হন। সভা পরিচালনা করেন সদস্যসচিব আবদুস সালাম। সভায় মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে চারদলীয় জোটের বৈঠকের পর ৪ এপ্রিল হরতাল ডাকা হতে পারে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গতকাল ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের একজন জানান, হরতালের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পুরো এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা চলার বিষয়টি মাথায় রেখে খালেদা জিয়ার ওপরই হরতালের বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু চেয়ারপারসনের সম্মতি থাকলেই আজকের সমাবেশে হরতালের ঘোষণা হতে পারে।
No comments